কলকাতা, 11 জানুয়ারি: বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলবস্থা নিয়ে আচার্যের সঙ্গে বৈঠক করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ৷ বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই বৈঠকে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, তিনি আইনি পরামর্শ নিয়ে দ্রুত যাদবপুরের জট মেটাতে চান ৷ এছাড়া তাঁর কাছে একাধিক দাবিও তুলে ধরা হয়েছে জুটার তরফে ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, "একাধিক বিষয় নিয়ে আচার্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ৷ স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট সার্চ কমিটি করলে তবেই এই সমস্যার সমাধান হবে ৷" তিনি আরও জানান, যাদবপুরের এখনকার অবস্থা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে ৷ রাজ্যপাল খুবই চিন্তিত ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজ যাতে আটকে না-থাকে, সেই কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের মধ্যে থেকে দরকারি নির্দেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন ৷
স্থায়ী উপাচার্য পাওয়ার আগে যাদবপুরের উপাচার্য নিয়ে কী করা যায় সেই বিষয়ে রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের কাছ থেকে মতামত জানতে চাইছেন বলে দাবি জুটার সাধারণ সম্পাদকের। এছা়ড়া অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্ট্যাচু নিয়ে কোর্ট মিটিং করতে সম্মত হয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷
গত 9 জানুয়ারির জুটার সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে উচ্চশিক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং আচার্যকে চিঠি দেওয়া হয় ৷ সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব অসুবিধে হচ্ছে সেগুলি বিস্তারিত জানাতে রাজ্যপালের কাছে সময় চাওয়া হয় ৷ তারই ভিত্তিতে আজ সাক্ষাতের জন্য আচার্যের দফতর থেকে সময় দেওয়া হয়েছিল ৷
সন্ধ্যা 5টা 45 মিনিটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায়-সহ অন্যরা রাজভবনে পৌঁছন ৷ 7টা নাগাদ রাজভবনে বৈঠক শুরু হয় ৷ রাত সাড়ে 8টা নাগাদ জুটার প্রতিনিধিরা রাজভবন ছাড়েন ৷ পার্থ প্রতিম রায়ের কথায়, "আমরা বর্তমান অচলাবস্থা কাটানোর কথা এবং স্থায়ী উপাচার্যের বিষয়টি জানিয়েছি ৷ আগে আচার্যকে সাবজেক্ট এক্সপার্ট পাঠানোর জন্য যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তারও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ইন্টারিম পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ নতুন উপাচার্য কে হবেন, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ তবে, সার্টিফিকেট নিয়ে আলোচনা হয়নি ৷ ছাত্র মৃত্যুর শাস্তি নিয়েও কথা হয়েছে ৷ এই বিষয়ে তিনি ব্যথিত ৷"
আরও পড়ুন: