কলকাতা, 31 মার্চ : লকডাউনের জেরে স্তব্ধ রাজ্য । সমাজের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের রুটি-রুজিও বন্ধ । অনেকেই অনাহারে ভুগছেন । কারও ভাঁড়ারে ফুরিয়ে এসেছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী । এই পরিস্থিতিতে এলাকায় এলাকায় গিয়ে গরিব মানুষদের মধ্যে খাবার বিলি করছেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিক, সাংসদ, বিধায়ক ও রাজনৈতিক নেতারা । কিন্তু এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত । আজ BJP-র তরফে অভিযোগ করা হয় তাদের নেতা-কর্মীদের খাদ্য বিলিতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ । এবিষয়ে নাম না করে BJP-কে ফিরহাদের কটাক্ষ, "অনেক জায়গায় জমায়েত করে খাদ্য বিলি করা হচ্ছে । এতে কি লকডাউনের নিয়ম অমান্য হচ্ছে না ? এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি না করে মানুষকে সচেতন করতে হবে । তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে।"
আজ সাংবাদিক বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এই সময় রাজনীতি না করে, ভেদাভেদ না করে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতি-ভোট সারাবছর থাকবে । কিন্তু মানুষ যদি না থাকে তাহলে রাজনীতি কাকে নিয়ে হবে? ভোট কাকে নিয়ে হবে ?এই মুহূর্তে আমরা রাজনীতি দূরে রেখে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে মানুষ বাঁচানোর অভিযান চালাচ্ছি।"
আজ BJP-র তরফে অভিযোগ করা হয়, সব্যসাচী দত্ত খাদ্য সামগ্রী বিলি করতে গেলে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ । একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুরাও । এবিষয়ে নাম না করে BJP-র উদ্দেশে ফিরহাদের কটাক্ষ, "এইসময় যাঁরা রাজনীতি করছেন তাঁরা ভুল করছেন। এখন রাজনীতি না করে মানুষকে সচেতন করা এবং মানুষের পাশে থাকা প্রয়োজন। যদি রাজনৈতিক নেতারাই বহু মানুষের জমায়েত করে, একসঙ্গে ভিড় করে খাদ্য বিলি করেন । তাহলে লকডাউনের গুরুত্বটা কোথায় ?"