কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর : আগামী 13 সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল পরিষেবা । আর এই মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হলে শহরের ফের আবার কোরোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন পৌর কর্তারা । টানা একমাস সাপ্তাহিক লকডাউন চলার ফলে কলকাতায় কোরোনা সংক্রমণ বেশ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন প্রায় 450-এর কাছাকাছি চলে এসেছে প্রতিদিন কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মেট্রোরেল আবার আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কারণ ট্রেনের কামরায় মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আজ কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য সবকিছু বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। চিরদিনের জন্য যদি সবকিছু লকডাউন করে বন্ধ করে রাখা হয় তাহলে মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে না। কোরোনা সংক্রমণের জেরে একেই আর্থিক মন্দা তৈরি হয়েছে । আগামী দিনে আরও ব্যাপক ভাবে ভেঙে পড়বে অর্থনৈতিক কাঠামো। তাই একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্রমশ ধাপে ধাপে সবকিছুই চালু করতে হবে । অবশ্যই মেট্রোরেল চালু হলে শহরে কোরোনার সংক্রমণ বাড়বে। বাজার হাট খোলার পরে ও সংক্রমণ বেড়েছে শহরে । বাস চালু করার পরেও সংক্রমণ বেড়েছে শহরে । সংক্রমণ বাড়লে তার সঙ্গে আমাদের আবার লড়াই করতে হবে। কোরোনা এখন আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে । তাই আগামী দিনেও মানুষকে সচেতন হতে হবে । রাজ্য সরকার মানুষের জন্য কাজ করবে। এইসবের সঙ্গেই মানুষকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
আজও নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের বেশ কিছু সমস্যা । তাঁরা ভেবেছিলেন হাততালি দিলে আলো জ্বালিয়ে কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে কোরোনাকে দেশ থেকে দূর করবে । কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই কেন্দ্র টানা লকডাউন চালিয়েছিল।