কলকাতা, 22 জুলাই: অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ইসকনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা দাস। রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি, তার জন্য ক্ষমা চেয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করলেন অমোঘ লীলা।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে এর আগে রামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিদ্রূপ করতে শোনা য়ায় অমোঘ লীলাকে । যে ভিডিয়ো কার্যত ভাইরাল হয়ে যায় । আর সেই ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে ইসকন কর্তৃপক্ষও । এরপর অমোঘ লীলাকে সাসপেন্ডও করা হয় । এমনকী তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে বলেও ইসকনের তরফে জানানো হয়। এরপর শনিবার ভিডিয়ো প্রকাশ করে কৃতকার্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা চাইলেন অমোঘ লীলা ।
ভিডিয়ো প্রকাশ করে তিনি বলেন, "কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে প্রশ্নোত্তরের সময় আমাকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, তার পরিবর্তে আমি উত্তর দিতে গিয়ে অসাবধনতাবশত এই মন্তব্য করেছিলাম। এই মন্তব্যের জেরে যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।" এই ধরনের কাজ আর কোনওদিন করবেন না বলেও বার্তায় জানিয়েছেন অমোঘ লীলা। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের বাণী "যত মত, তত পথ"-কে বিকৃত করে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে । সেখানে ওই মন্তব্যের সঙ্গে ইসকনের সন্ন্যাসী বলেন, "স্বামী বিবেকানন্দ যদি মাছ খান, তাহলে তিনি কী করে একজন সিদ্ধপুরুষ?"
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে ধৃত নূর আমিনের 13 দিনের পুলিশি হেফাজত
ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ইসকনের বিরুদ্ধে সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ নিজে এই মন্তব্যের নিন্দা করে টুইট করেন। পরবর্তীকালে চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস সাইবার ক্রাইম বিভাগে একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন অমোঘ লীলা দাসের বিরুদ্ধে। যদি সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই বিষয়ে সহযোগিতা না-করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুংকারও দিয়েছিলেন। তবে ইসকনের পক্ষ থেকে এই সম্পূর্ণ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, অমোঘ লীলা দাস তাঁর এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। এর প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ তিনি গোবর্ধন পাহাড়ে এক মাসের ব্রত রাখবেন এবং জনজীবন থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা করে দেবেন। তবে এবার জনসম্মুখে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা দাস।