ETV Bharat / state

বাজি নিষ্ক্রিয়র পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্যই কি নৈহাটিতে বিস্ফোরণ? - massive explosion

বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়েছিল নৈহাটিতে। পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্যই এই বিস্ফোরণ বলে মনে করছেন রাজ্যের সিনিয়র কর্তারা।

naihati
ছবি
author img

By

Published : Jan 10, 2020, 8:15 PM IST

কলকাতা, 10 জানুয়ারি : নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছিল পদ্ধতিগত ত্রুটি । রাজ্যের একাধিক সিনিয়র পুলিশকর্তার মত তেমনই । তাঁদের কথায়, এই কাজে যথেষ্ট পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার অভাব ছিল । এক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের বাজি নিষ্ক্রিয় করার পদ্ধতিকে মডেল হিসেবে তুলে ধরেছেন সিনিয়র কর্তারা ।

প্রতিবছর দীপাবলির আগে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ । তারপর বাজেয়াপ্ত করা বাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ । আদালতের অনুমতি পাওয়া গেলে যোগাযোগ করা হয় পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে । তাদের মাধ্যমে সেগুলি তুলে দেওয়া হয় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের হাতে । কলকাতা পুলিশের হাতে আটক হওয়া বাজি সুরক্ষিত পদ্ধতিতে চলে যায় হলদিয়া । সেখানেই পেশাদারিত্বের সঙ্গেই নিষ্ক্রিয় করা হয় বাজি ।

কী সেই পদ্ধতি?

হলদিয়া নিয়ে যাওয়ার পর বাজিগুলিকে প্রথমে জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয় । তারপর একটি নির্দিষ্ট কেমিকেল মেশানো হয় । এই কেমিকেল বারুদের সঙ্গে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া করে । এর ফলে কোনওভাবেই সেই বারুদ বিস্ফোরণযোগ্য থাকে না । এবার বাজিগুলিকে একটি নির্দিষ্ট মেশিনে দিয়ে কেটে দেওয়া হয় । মেশিনটির নাম ইনসিনেরেটর । এই পদ্ধতিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করার ফলে বারুদ প্রায় মাটির মতো হয়ে যায় ।

যে বাজিগুলিতে বেশি বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে সেগুলির ক্ষেত্রে এছাড়াও অন্য একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় । এই পদ্ধতির নাম আর্থ ট্রিটমেন্ট । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক সিনিয়র অফিসার বলছেন, "আর্থ ট্রিটমেন্ট এতটাই কার্যকরী যে এর মাধ্যমে ক্রুড বোমা পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় । বারুদ মিশে যায় মাটির সঙ্গে ।"

সিনিয়র পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ, গতকাল নৈহাটিতে যেভাবে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল তাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল । এই পদ্ধতিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে হলে মাটি অনেকখানি গর্ত করে তারপর একসঙ্গে বাজিগুলিকে না রেখে একটু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখে নিষ্ক্রিয় করতে হয় । তাহলে হয়ত এত বড় বিস্ফোরণ হত না । বিস্ফোরণের ফলে যে হিটওয়েভ তৈরি হয় তার জেরেই চুঁচুড়া পর্যন্ত বিস্ফোরণের প্রভাব দেখা গেছে । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওই কর্তা বলেন, "ভাগ্যিস ওই সময় কোনও যাত্রীবোঝাই নৌকা যাচ্ছিল না । তাহলে তা ডুবে যেতে পারত ।"

কলকাতা, 10 জানুয়ারি : নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছিল পদ্ধতিগত ত্রুটি । রাজ্যের একাধিক সিনিয়র পুলিশকর্তার মত তেমনই । তাঁদের কথায়, এই কাজে যথেষ্ট পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার অভাব ছিল । এক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের বাজি নিষ্ক্রিয় করার পদ্ধতিকে মডেল হিসেবে তুলে ধরেছেন সিনিয়র কর্তারা ।

প্রতিবছর দীপাবলির আগে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ । তারপর বাজেয়াপ্ত করা বাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ । আদালতের অনুমতি পাওয়া গেলে যোগাযোগ করা হয় পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে । তাদের মাধ্যমে সেগুলি তুলে দেওয়া হয় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের হাতে । কলকাতা পুলিশের হাতে আটক হওয়া বাজি সুরক্ষিত পদ্ধতিতে চলে যায় হলদিয়া । সেখানেই পেশাদারিত্বের সঙ্গেই নিষ্ক্রিয় করা হয় বাজি ।

কী সেই পদ্ধতি?

হলদিয়া নিয়ে যাওয়ার পর বাজিগুলিকে প্রথমে জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয় । তারপর একটি নির্দিষ্ট কেমিকেল মেশানো হয় । এই কেমিকেল বারুদের সঙ্গে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া করে । এর ফলে কোনওভাবেই সেই বারুদ বিস্ফোরণযোগ্য থাকে না । এবার বাজিগুলিকে একটি নির্দিষ্ট মেশিনে দিয়ে কেটে দেওয়া হয় । মেশিনটির নাম ইনসিনেরেটর । এই পদ্ধতিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করার ফলে বারুদ প্রায় মাটির মতো হয়ে যায় ।

যে বাজিগুলিতে বেশি বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে সেগুলির ক্ষেত্রে এছাড়াও অন্য একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় । এই পদ্ধতির নাম আর্থ ট্রিটমেন্ট । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক সিনিয়র অফিসার বলছেন, "আর্থ ট্রিটমেন্ট এতটাই কার্যকরী যে এর মাধ্যমে ক্রুড বোমা পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় । বারুদ মিশে যায় মাটির সঙ্গে ।"

সিনিয়র পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ, গতকাল নৈহাটিতে যেভাবে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল তাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল । এই পদ্ধতিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে হলে মাটি অনেকখানি গর্ত করে তারপর একসঙ্গে বাজিগুলিকে না রেখে একটু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখে নিষ্ক্রিয় করতে হয় । তাহলে হয়ত এত বড় বিস্ফোরণ হত না । বিস্ফোরণের ফলে যে হিটওয়েভ তৈরি হয় তার জেরেই চুঁচুড়া পর্যন্ত বিস্ফোরণের প্রভাব দেখা গেছে । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওই কর্তা বলেন, "ভাগ্যিস ওই সময় কোনও যাত্রীবোঝাই নৌকা যাচ্ছিল না । তাহলে তা ডুবে যেতে পারত ।"

Intro:কলকাতা, 9 জানুয়ারি: নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছিল পদ্ধতিগত ত্রুটি। রাজ্যের একাধিক সিনিয়র পুলিশ কর্তার মত তেমনটাই। এই কাজে যথেষ্ট পেশাদারিত্ব দেখানো হয়নি। এক্ষেত্রে মডেল হতে পারে কলকাতা পুলিশের বাজি নিষ্ক্রিয় করার পদ্ধতি। কিন্তু সমস্যা হল সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবে কে? সেটি অনুসরণ করলে কোন ভাবেই এই ঘটনা ঘটত না বলেই মনে করা হচ্ছে।



Body:প্রতিবছর দীপাবলীর আগে হাজার হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করে কলকাতা পুলিশ। আদালতের নির্দেশ নিয়ে সেই বাজি নিষ্ক্রিয় করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই ধরনের ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়নি। কারণটা আর কিছু নয়। কলকাতা পুলিশের পেশাদারিত্ব। লালবাজার সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা বাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। আদালতের অনুমতি পাওয়া গেলে যোগাযোগ করা হয় পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে। তাদের মাধ্যমে সেগুলো তুলে দেওয়া হয় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের হাতে। কলকাতা পুলিশের হাতে আটক হওয়া বাজি সুরক্ষিত পদ্ধতিতে চলে যায় হলদিয়া। সেখানে পেশাদারিত্বের সঙ্গেই নিষ্ক্রিয় করা হয় বাজি।

কি সেই পদ্ধতি?

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হলদিয়া নিয়ে যাওয়ার পর বাজি গুলোকে প্রথমে জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়। তারপর মেশানো হয় একটি নির্দিষ্ট কেমিক্যাল। সেই কেমিক্যালের সঙ্গে বারুদের রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। যাতে আর কোনভাবেই সেই বারুদ বিস্ফোরণ যোগ্য থাকে না। তারপর সেই বাজি গুলিকে একটি নির্দিষ্ট মেশিনে দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। সেই মেশিনটির নাম “ইনসিনেরেটর"। এই পদ্ধতিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করার ফলে বারুদ প্রায় মাটির মতো হয়ে যায়। আবার অন্য একটি পদ্ধতিও আছে। যে বাজি গুলিতে বেশি বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে সেগুলিতে নেওয়া হয় এই পদ্ধতি। তার নাম আর্থ ট্রিটমেন্ট। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক সিনিয়র অফিসার বলছেন, “ আর্থ ট্রিটমেন্ট এতটাই কার্যকরী যে এর মাধ্যমে ক্রুড বোমা পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বারুদ মিশে যায় মাটির সঙ্গে।"


Conclusion:সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সন্দেহ, আজ নৈহাটিতে যেভাবে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল তাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। এই পদ্ধতিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে হলে মাটি অনেকখানি গর্ত করে তারপর একসঙ্গে বাজি গুলিকে না রেখে একটু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখে নিষ্ক্রিয় করা হলে এত বড় বিস্ফোরণ হতো না। বিস্ফোরণের ফলে যে হিট ওয়েভ তৈরি হয় তার জেরেই চুঁচুড়া পর্যন্ত বিস্ফোরণের প্রভাব দেখা গেছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওই কর্তা বলেন, “ ভাগ্যিস ওই সময় ওই জায়গা দিয়ে কোনো যাত্রী বোঝাই নৌকা যাচ্ছিল না। সেই সময় নৌকা গেলে তার ডুবে পর্যন্ত যেতে পারত।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.