কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: বেশ কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে মন্ত্রিসভার রদবদল করতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন যাত্রার আগেই সেই রদবদল হতে পারে । সূত্রের খবর খবর, রাজভবনে রদবদলের চিঠি পাঠানোও হয়েছে । সেই চিঠি পাঠানোর পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও নিরুত্তর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । আর তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি রদবদল নিয়েও রাজভবনের অসহযোগিতা শুরু হয়েছে ! যদিও এই নিয়ে সরকার বা রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে সূত্রের খবর, রাজভবনের এহেন ভূমিকা আদৌ ভালো চোখে দেখছে না নবান্ন ।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী কাকে মন্ত্রী করবেন, কোন কোন দফতর দেবেন সম্পূর্ণভাবে তাঁর নিজের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয় । এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা মুখ্যমন্ত্রীর রয়েছে । আর এখানে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারেন না রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান । কিন্তু রাজ্যপালকে জানানোর পরেও মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে রাজভবনের নীরব থাকা, অসহযোগিতারই সমান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
সাম্প্রতিক সময়ে উপাচার্য বদল-সহ একাধিক বিষয়ে রাজভবন এবং নবান্নের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে । সরাসরি এই নিয়ে মুখ খুলতেও দেখা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজভবনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে অর্থনৈতিক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি ৷ পালটা হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকেও ৷ এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে রাজভবনের ‘উদাসীনতা’ পুরো বিষয়টিকে অন্যমাত্রা দিয়েছে ৷
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের আগে নবান্নের অন্দরে রদবদল নিয়ে জোর আলোচনা চলছে । সূত্রের খবর, এবার মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন মুখ সেভাবে না এলেও কয়েকজন মন্ত্রীর দফতর অদলবদল করা হতে পারে । এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের আগে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে রাজভবন থেকে কোনও ইতিবাচক উত্তর আসে কি না, সেটাই এখন দেখার । নাকি রাজভবনের উত্তর না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মতো করে মন্ত্রীদের দফতর বদল সম্পন্ন করেন, সেটাও এখন দেখার বিষয় । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু নতুন মুখ আসছে না, সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন কিন্তু বাধ্যতামূলক নয় ।
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস, রাজ্যের সঙ্গীত 'বাংলার মাটি বাংলার জল'; সরকারের আনা প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়