সল্টলেক, 4 ফেব্রুয়ারি: অফিসের আভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরেই কি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আইটি সংস্থার ঐশ্বর্য শর্মা ? গতকালের সল্টলেকের ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এলাকার একটি অফিসের বহুতলের নীচে এক যুবতীর রক্তক্ত দেহ উদ্ধার হয় (Internal problems in office lead to IT professionals Premature Death) ৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য জানতে পারছেন তদন্তাকারীরা ৷ তবে, কী বিষয়ে অফিসে সমস্যা চলছিল তা এখনও অজানা পুলিশের ৷ এ নিয়ে ঐশ্বর্য শর্মার অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
ইতিমধ্যেই, মৃত ঐশ্বর্য শর্মার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ ৷ তাঁরা শিলচরের বাড়ি থেকে কলকাতা এসে পৌঁছেছে ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, অফিসে যে সমস্যা চলছিল, তা পরিবারের সদস্য়দের জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্য ৷ তবে, ঠিক কী সমস্যা তা পরিবারের কেউ জানতে না ৷ ইতিমধ্যেই ঐশ্বর্য শর্মার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ তাঁর ই-মেল খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ সেখান থেকে অফিসের সমস্যা সম্পর্কে কিছু জানা যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ তবে, এই ঘটনায় ঐশ্বর্য শর্মার অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি পুলিশের ৷
তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান 13 তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ঐশ্বর্য শর্মা ৷ কিন্তু, ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না-এলে পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে চায়নি ৷ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত 8টা নাগাদ সল্টলেকের সৃজন ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্সের 13 তলা বিল্ডিং এর নীচ থেকে উদ্ধার হয় বছর 23-এর ঐশ্বর্য শর্মার রক্তাক্ত দেহ ৷ তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই অফিসের বন্ধুদের সঙ্গে ঐশ্বর্য একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের 10 তলা থেকে ঝাঁপ দুবাইয়ের ব্যবসায়ীর
পাশাপাশি, ঐশ্বর্যের একাধিক সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা ৷ জানতে পেরেছেন কয়েক মাস ধরেই অফিসে এটি আভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন ঐশ্বর্য ৷ খোলা মনের না-হওয়ায় এই বিষয়ে বিশেষভাবে সহকর্মীদের কিছু বলতে পারেননি তিনি ৷ জানা গিয়েছে, ওই সমস্যার পর গত কয়েক মাস ধরেই ঐশ্বর্য বেশ চুপচাপ থাকতেন ৷ কিন্তু, সিনেমা দেখে আসার পরক্ষণেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে তা অনুমান করতে পারেননি ঐশ্বর্যর সহকর্মীরাও ৷