কলকাতা, 4 অগস্ট: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের হাওড়া ময়দান স্টেশনে শুরু হয়েছে এএফসি-পিসি গেট বসানোর প্রক্রিয়া। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে, আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না ৷ দ্রুত চালু হবে এই রুটের মেট্রো ৷ বলা যায় দেশবাসীর কাছে আত্মপ্রকাশ করবে দেশের প্রথম নদীর তলায় অবস্থিত মেট্রো।
প্রায় শেষের মুখে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ । জরুরি কাজ শেষ হয়ে এলেও স্টেশনকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা থেকে শুরু করে বেশ কিছু ইলেকট্রিক্যাল কাজ বাকি রয়েছে । সব কিছু ঠিকঠাক হলে চলতি বছরের শেষের দিকেই চালু হয়ে যাবে পরিষেবা । তাই সেই লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কাজ চালাচ্ছে জোর কদমে । নিয়মিতভাবে চলেছে ট্রায়াল রান । মেট্রোর কর্তাদের একাংশের অনুমান, নতুন বছরের আগেই বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়ে যেতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা।
হাওড়া ময়দান ও মেট্রো স্টেশনে একদিকে যেমন নজর রাখা হচ্ছে যাত্রী সুরক্ষার দিকে অন্যদিকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের সমস্ত খুঁটিনাটিতেও নজর রয়েছে কর্তৃপক্ষের । তাই স্টেশনের কনকোর্স স্তরে এই গেটগুলি বসানো হচ্ছে মোট আটটি এএফসি-পিসি গেট । এর মধ্যে 4টি গেট হবে দ্বিমুখী । এরফলে দিনের সব থেকে ব্যস্ত সময়েও একই গেট দিয়ে অনেক বেশি সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই হুগলি নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চালু করতে বদ্ধপরিকর কর্তৃপক্ষ, নিয়মিতভাবে চলছে মহড়া
প্রয়োজনে গেটগুলির দিক পরিবর্তনও করা যাবে ৷ এছাড়াও বিশেষভাবে স্বক্ষম যাত্রীদের জন্য দুটি গেট দিয়ে হুইল চেয়ার নিয়ে যাওয়-আসার ব্যবস্থা থাকবে । বাকি আর চারটি গেটের মধ্যে দুটি দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করা যাবে। বাকি দুটির সাহায্যে স্টেশন থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন যাত্রীরা। সূত্রের দাবি, প্রতি মিনিটে এই গেট দিয়ে 45 জন যাত্রী বেরোতে প্রবেশ করতে পারবেন। গেটের সঙ্গেই থাকছে কিউআর কোড স্ক্যান করার যন্ত্র । যাতে খুব সহজেই টোকেন বা টিকিটের উপরের বারকোডটি স্ক্যান করে নেবে মেশিন। ফলে যাত্রীদেরও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।