কলকাতা, 8 নভেম্বর: বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি টাকা, প্রসাধনী সামগ্রী-সহ বিএসএফের হাতে আটক ভারতীয় মহিলা। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের উত্তর 24 পরগনার আইসিপি পেট্রাপোলে ওই মহিলাকে আটক করা হয়। তাঁর কাছে তিন লক্ষ 50 হাজার মূল্যের বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে ৷ যার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য দুই লক্ষ 63 হাজার 377 টাকা ৷ এরই সঙ্গে, 28 হাজার টাকার বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী এবং সাড়ে সাত হাজার টাকার 300টি চকলেট পাওয়া গিয়েছে। ওই মহিলা এই জিনিসগুলো ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ৷
বিএসএফ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইসিপি ওল্ড ইমিগ্রেশন পার্টির সতর্ক বাহিনী যাত্রীদের উপর কড়া নজর রাখছিল। তারা সন্দেহভাজন ওই মহিলাকে দেখতে পান ৷ এরপর জওয়ানরা ওই মহিলার ব্য়াগের ভিতরের কী আছে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেও সে উত্তর দিতে ইতস্তত বোধ করে। এরপর জওয়ানরা লাগেজটি তল্লাশি করে ৷ আর সেসময়ই তার লাগেজে অতিরিক্ত সাড়ে তিন লক্ষ বাংলাদেশি টাকা এবং প্রচুর পরিমাণে প্রসাধনী পণ্য পাওয়া যায়। যাত্রীকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হলেও সে অতিরিক্ত টাকার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ৷ এরপরই ওই মহিলাকে আটক করা হয় ৷ বাংলাদেশি টাকা ও সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করা হয়। আটক মহিলার নাম নার্গিস মণ্ডল। বাগদা থানার মালিপোতা গ্রামের বাসিন্দা সে।
আরও পড়ুন: কর বাবদ বকেয়া 5 হাজার কোটিরও বেশি অর্থ পেল রাজ্য
পরে জিজ্ঞাসাবাদে নার্গিস জানায়, সে তার জীবিকা নির্বাহের জন্য গত কয়েকদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে কসমেটিক পণ্যের আদান-প্রদানের কাজ করছিল। প্রসাধনী পণ্যগুলি পেট্রাপোলের স্থানীয় বাজার থেকে সে নগদে কিনেছিল বলেও জানা গিয়েছে ৷ বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য্য জানান, এটা ডিউটিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতার প্রতিফলন মাত্র। তিনি জনগণকে কোনও অবস্থাতেই চোরাচালানের পথ অবলম্বন না-করারও আহ্বান জানিয়েছেন। কড়া ভাষায় ডিআইজি বলেন, "সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবে না ৷ এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।"