কলকাতা, 20 মে : 20 টি ডিজ়াস্টার রিলিফ টিম । সঙ্গে ইনফ্লেমেবল বোট, লাইফ জ্যাকেট, মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স । রাতভর সমুদ্রে নজরদারি । আমফান মোকাবিলায় এভাবেই তৈরি উপকূলরক্ষী বাহিনী । তাদের মূল মন্ত্র "উই প্রোটেক্ট"।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ বিকেলের মধ্যেই রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়বে আমফান । আপাতত ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ -পূর্বে 125 কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এটি । এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর মেরিটাইম রিসার্চ রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে উদ্ধারকাজে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে । উপকূলরক্ষী বাহিনীর উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সদর দপ্তর কলকাতা । পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় এই ধরনের ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে তারা । এর আগে ফণীর সময় উদ্ধারকাজের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই বাহিনী । তথ্য বলছে, গতবছর সমুদ্রে 400 জনের জীবন বাঁচিয়েছেন বাহিনীর কর্মীরা । রাজ্য সরকারি বিভিন্ন দলের সঙ্গে মিলে তাঁরা রক্ষা করেছিলেন আরও 4500 টি প্রাণ ।
এবারও আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী । পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়ে কথা বলেছে তারা । কথা হয়েছে দুই রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের সঙ্গেও । এই বাহিনীর তরফে আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । শনিবার থেকে তারা 300 মৎস্যজীবীর বোট নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে । গতকাল রাতভর সমুদ্রে নজরদারিও চালিয়েছে তারা ।
উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, গতরাত থেকে তাদের এয়ারক্রাফ্ট এবং ICG শিপ নজরদারি চালাচ্ছে সমুদ্র এবং উপকূলবর্তী এলাকায় । 20 টি ডিজ়াস্টার রিলিফ টিম কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে । সঙ্গে পাঁচটি ICG শিপ এবং এয়ারক্রাফ্ট মোতায়েন করা হয়েছে তামিলনাডু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ।