ETV Bharat / state

India Post: কম ঝঞ্ঝাটে রফতানির ব্যবসায় মোটা টাকা আয়ের সুযোগ দিচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগ

India Post Initiative on Export Business: সহজে বিদেশে রফতানি ব্যবসার সুযোগ দিচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগ ৷ তাদের বক্তব্য, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নতুন প্রজন্মের উদ্যাগপতি হওয়ার দারুণ সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে ৷ এই ব্যবসার প্রয়োজনীয় নথি তৈরিতেও সাহায্য করবে ডাক বিভাগ ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 14, 2023, 3:14 PM IST

India Post
India Post

কলকাতা, 14 অক্টোবর: কাগজপত্রের ঝক্কি এড়িয়ে কম ঝঞ্ঝাটে রফতানির ব্যবসা করুন ! মোটা অংকের টাকাও লাগবে না ! বরং, নথির পাহাড় ডিঙিয়ে অল্প টাকায় নিজের শিল্পকলাকে বিদেশ বিভুঁইয়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগ । এতে যেমন এক লাভের অংক বড়, তেমনই লোকবলও বিশেষ প্রয়োজন নেই । ভারতীয় ডাক বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নতুন প্রজন্মের উদ্যাগপতি হওয়ার দারুণ সুযোগ বলা চলে । পোস্ট অফিসের ডাক নিরায়েত কেন্দ্র বা ডিএনকে-র মাধ্যমে দার্জিলিং চা, বর্ধমানের ল্যাংচা কিংবা সুন্দরবনের মধু কিংবা কাঁথা, শাড়ি-চুরি বিদেশে পাঠানো যাবে ।

ভারতীয় ডাকঘরের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের মেইল এবং বিডি বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল অনিল কুমার বলেন, ‘‘এখন ছোট বড় প্রায় সমস্ত ব্যবসা অনলাইনে চলছে । নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা চাইলেই ঘরে বসে 'এক্সপোর্ট' ব্যবসা করতে পারেন । বিশেষ করে, যাঁরা শিল্পকলায় জড়িত । প্রত্যন্ত গ্রামে বসে নিজেদের তৈরি 'ইউনিক' কাজ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন । সুন্দরবন কিংবা তার থেকেও অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের 'ইউনিক' সামগ্রী আমেরিকা জার্মানি কিংবা সৌদি আরবে পৌঁছে দেব আমরা । স্বল্প খরচে । এই ব্যবসায় প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথি তৈরিতে আমরা সাহায্য করব ।"

কী কী নথি লাগবে: ডিএনকে-র মাধ্যমে রফতানির ব্যবসা করতে মূলত চার রকমের ডকুমেন্ট দরকার । 1. ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কোড । যেটা ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) দফতর থেকে নিতে হবে । 2. জিএসটিএন নম্বর ৷ 3. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও 4. লেটার অফ আন্ডার টেকিং (জিএসটি পোর্টাল থেকে পাওয়া যাবে) ।

ভারতীয় ডাকঘরের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের মেইল এবং বিডি বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল অনিল কুমার বলেন, ‘‘এই চার প্রকার নথি অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব । আমরা সাহায্য করব । ট্রেড লাইসেন্স লাগবে না । ঘর থেকেই প্রোডাক্ট পিকআপের দায়িত্বও নেবে ডাক বিভাগ ।"

বিক্রি করবেন কার কাছে বা কীভাবে: আধিকারিকদের কথায়, অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটিং সাইট (ফ্লিপ কার্ট, আমাজন ইত্যাদি) আছে । সেই সাইটে নিজের একটা দোকান খুলতে হবে । সুন্দর করে নিজের প্রোডাক্ট ছবি, ভিডিয়ো দিয়ে সাজিয়ে দিন । সেখান থেকেই বিদেশের ক্রেতারা খুঁজে নেবে প্রোডাক্ট । (আলাদা করে ডোমেন কিনে নিজস্ব পোর্টাল গড়ে তোলা যায় । কিন্তু, তাতে সময় লাগবে বেশি ।)

গোবরের ঘুঁটে থেকে হাতে তৈরি নানা উপকরণের বড় চাহিদা এখন অনলাইনে । অনিল কুমার বলেন, ‘‘জীবন বদলানোর দারুণ সুযোগ । এক জেলা এক জেলা এক ইউনিক প্রডাক্টের হিসাবে কলকাতা রিজিয়নের 30টি ডিএনকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । আগামীতে 50 টি জায়গায় এই পরিষেবা মিলবে ।"

আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের স্মরণে বিশেষ কভার প্রকাশ করল ভারতীয় ডাক বিভাগ

কলকাতা, 14 অক্টোবর: কাগজপত্রের ঝক্কি এড়িয়ে কম ঝঞ্ঝাটে রফতানির ব্যবসা করুন ! মোটা অংকের টাকাও লাগবে না ! বরং, নথির পাহাড় ডিঙিয়ে অল্প টাকায় নিজের শিল্পকলাকে বিদেশ বিভুঁইয়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগ । এতে যেমন এক লাভের অংক বড়, তেমনই লোকবলও বিশেষ প্রয়োজন নেই । ভারতীয় ডাক বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নতুন প্রজন্মের উদ্যাগপতি হওয়ার দারুণ সুযোগ বলা চলে । পোস্ট অফিসের ডাক নিরায়েত কেন্দ্র বা ডিএনকে-র মাধ্যমে দার্জিলিং চা, বর্ধমানের ল্যাংচা কিংবা সুন্দরবনের মধু কিংবা কাঁথা, শাড়ি-চুরি বিদেশে পাঠানো যাবে ।

ভারতীয় ডাকঘরের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের মেইল এবং বিডি বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল অনিল কুমার বলেন, ‘‘এখন ছোট বড় প্রায় সমস্ত ব্যবসা অনলাইনে চলছে । নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা চাইলেই ঘরে বসে 'এক্সপোর্ট' ব্যবসা করতে পারেন । বিশেষ করে, যাঁরা শিল্পকলায় জড়িত । প্রত্যন্ত গ্রামে বসে নিজেদের তৈরি 'ইউনিক' কাজ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন । সুন্দরবন কিংবা তার থেকেও অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের 'ইউনিক' সামগ্রী আমেরিকা জার্মানি কিংবা সৌদি আরবে পৌঁছে দেব আমরা । স্বল্প খরচে । এই ব্যবসায় প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথি তৈরিতে আমরা সাহায্য করব ।"

কী কী নথি লাগবে: ডিএনকে-র মাধ্যমে রফতানির ব্যবসা করতে মূলত চার রকমের ডকুমেন্ট দরকার । 1. ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কোড । যেটা ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) দফতর থেকে নিতে হবে । 2. জিএসটিএন নম্বর ৷ 3. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও 4. লেটার অফ আন্ডার টেকিং (জিএসটি পোর্টাল থেকে পাওয়া যাবে) ।

ভারতীয় ডাকঘরের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের মেইল এবং বিডি বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল অনিল কুমার বলেন, ‘‘এই চার প্রকার নথি অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব । আমরা সাহায্য করব । ট্রেড লাইসেন্স লাগবে না । ঘর থেকেই প্রোডাক্ট পিকআপের দায়িত্বও নেবে ডাক বিভাগ ।"

বিক্রি করবেন কার কাছে বা কীভাবে: আধিকারিকদের কথায়, অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটিং সাইট (ফ্লিপ কার্ট, আমাজন ইত্যাদি) আছে । সেই সাইটে নিজের একটা দোকান খুলতে হবে । সুন্দর করে নিজের প্রোডাক্ট ছবি, ভিডিয়ো দিয়ে সাজিয়ে দিন । সেখান থেকেই বিদেশের ক্রেতারা খুঁজে নেবে প্রোডাক্ট । (আলাদা করে ডোমেন কিনে নিজস্ব পোর্টাল গড়ে তোলা যায় । কিন্তু, তাতে সময় লাগবে বেশি ।)

গোবরের ঘুঁটে থেকে হাতে তৈরি নানা উপকরণের বড় চাহিদা এখন অনলাইনে । অনিল কুমার বলেন, ‘‘জীবন বদলানোর দারুণ সুযোগ । এক জেলা এক জেলা এক ইউনিক প্রডাক্টের হিসাবে কলকাতা রিজিয়নের 30টি ডিএনকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । আগামীতে 50 টি জায়গায় এই পরিষেবা মিলবে ।"

আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের স্মরণে বিশেষ কভার প্রকাশ করল ভারতীয় ডাক বিভাগ

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.