কলকাতা, 9 জানুয়ারি: ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একাংশ নিয়ে ইসলামিক স্টেট (Islamic State) গঠন করতে সচেষ্ট আইসিস জঙ্গি সংগঠন (IS Activities in India)। তবে তাদের এই প্রচেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারত । যে কারণে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ও মণিপুরের একটি অংশে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের মাস্টারমাইন্ডরা (Masterminds hiding in India)। কলকাতা থেকে আইসিস জঙ্গি (ISIS Suspected Terrorist) সন্দেহে ধৃত দুই যুবককে জেরা করে এই তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে ৷
হাওড়ার দুই যুবক সইদ আহমেদ এবং মহম্মদ সাদ্দামকে আইসিস (IS militant activities) জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্যাক্স ফোর্সের গোয়েন্দারা । পুলিশের অভিযোগ, ধৃত 2 যুবকের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের নিয়মিত ওঠাবসা ছিল । তাঁদের প্রাথমিকভাবে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, আইসিস-এর একটি গোষ্ঠী ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমারের একাংশ নিয়ে ইসলামিক স্টেট গঠন করার প্রচেষ্টায় রয়েছে ৷
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ-সহ অসম পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও এনআইএ-এর মতো সংস্থা একযোগে তল্লাশি চালিয়ে অসমের বুকে গজিয়ে ওঠা একাধিক জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ঘাঁটিতে অভিযান চালায় । এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অসম পুলিশ-সহ একাধিক রাজ্যের পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ, রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাক্স ফোর্সের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ । কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে । প্রয়োজন পড়লে কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত এই দুই যুবককে নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে ভিন রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ।
আরও পড়ুন: নৃশংস ভিডিয়ো ভাইরাল করে অশান্তি ছড়ানোই উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সাদ্দাম ও সইদের
ধৃত দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছেন এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা । লালবাজার সূত্রের খবর, ধৃত দুই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ এবং একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রথম সারির নেতার নাম পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । তবে তাঁদের মধ্যে কথোপকথনের যে সংলাপ উঠে এসেছে, তার বেশিরভাগই এখনও জেনে উঠতে পারেননি গোয়েন্দারা । এর কারণ বেশিরভাগ কথাবার্তাই রয়েছে সাংকেতিক ভাবে । ফলে তা বোঝার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা ।