কলকাতা, 29 জানুয়ারি : NRC বিরোধী আন্দোলনে প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করল বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ এই ঘটনায় বাম-কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই বলেও জানিয়েছে দুই দল ৷ তাদের দাবি, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷
প্রসঙ্গত, আজ NRC-বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার সাহেবনগরে ৷ আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের উপর চলে গুলি ৷ ঘটনায় মৃত্যু হয় দু'জনের ৷ জখম প্রায় 20 ৷
জলঙ্গির এই ঘটনাকে ভয়াবহ বলে আখ্যা দেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যেভাবে শাসকদলের গুলিতে দু'জনের প্রাণ গেল তা নজিরবিহীন ৷ একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় NRC-র বিরুদ্ধে পথে নামছেন ৷ অন্যদিকে, NRC-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্ত এক কর্মী ৷ এর থেকেই বোঝা যায় BJP এবং তৃণমূল উভয়েরই উদ্দেশ্য একই । অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও ৷ তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাহেবনগর যেভাবে CAA-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের উপর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নেতৃত্বে বোমা-গুলি চালিয়ে প্রতিবাদীদের প্রাণে মেরে ফেলা হল, তাতে আবার এটাই প্রমাণ হয় যে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের সঙ্গে এরাজ্যের দিদির সরকারের কোনও ফারাক নেই । বরং উভয় দল এবং উভয় সরকারই একই মুদ্রার দুই পিঠ মাত্র । সমগ্র ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি ।
BJP-র সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "মাননীয়া আগে দাবি করেছিলেন, CAA, NRC-র প্রতিবাদ করতে গিয়ে কয়েকজন মারা গেছে ৷ কিন্তু, তার সত্যতা জানা যায়নি ৷ কারা মারা গিয়েছে তাও জানা যায়নি ৷ কিন্তু, আজ সত্যিই জলঙ্গি অঞ্চলে NRC নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দু'জন প্রাণ হারিয়েছে ৷ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এসে গুলি করছেন, আর মাননীয়া তখন ছবি আঁকছেন ৷"