কলকাতা, 29 জুন : BSNL ধ্বংস হওয়ার মুখে । কলকাতার যোগাযোগভবনের দিকে তাকালে তা স্পষ্ট । দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে অফিসে এসে বিক্ষোভ ধর্নায়বসেন BSNL-রকর্মীরা । এটাই ছিল লকডাউনের আগে পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচি BSNL কর্মচারীদের । টানা এক বছর দুই মাসবেতন না পেয়ে বারো জন BSNL-রকর্মচারী আত্মঘাতী হয়েছেন । লকডাউনের আগে পাঁচ জন আত্মহত্যা করেছেন । লকডাউনেরমধ্যে সাতজন ৷ এটাই হচ্ছে BSNL-রবর্তমান চিত্র।
স্থায়ীকর্মচারীদের বেতন নিয়েও সমস্যা শুরু হয়েছে চলতি মাস থেকে । এক মাসের বেতন বকেয়ারয়েছে বলে জানিয়েছেন BSNL-রকর্মচারী সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক শিশিরকুমার রায় । নিয়মিত স্থায়ীকর্মচারীদের মে মাসের বেতন হয়েছে 25 দিন পরে । ঠিকা কর্মচারীরা 14 মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না ।
অথচকেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ বন্ধ হয়েছে গতপাঁচ বছর ধরে । অস্থায়ী চুক্তির ভিত্তিতে BSNL-এ লোক নিয়োগ করা হচ্ছে । যাদেরকেনিয়োগ করা হয়েছে, বেতনপাচ্ছেন না তাঁরা । আর্থিক সংকটে জেরবার হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন । ঠিকা কর্মচারীদেরছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার । অথচ গত মে মাসে 1400 কোটি টাকা মুনাফা করেছে BSNL । অথচ বেতন দিতে খরচ হয় মাত্র 350 কোটি টাকা । এই সময়ে রাজ্য জুড়ে 4200 জন কর্মচারী রয়েছে । রাজ্যেচুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছে মোট 1200 জন । প্রায় 5500 জন কর্মী পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে । তাঁদেরবেতন দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছে সরকার ।