কলকাতা, 12 মে : প্রবল রোদের তেজ । সঙ্গে আর্দ্রতা । এই গরমেও ঠায় পথে দাঁড়িয়ে কাজ করে চলেছেন ট্রাফিক পুলিশরা । একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালানো সেইসব যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ালেন লালবাজারের আধিকারিকরা । তাদের হাতে তুলে দিলেন বিস্কুট, ক্যাডবেরি, ফ্রুটজুস । সঙ্গে সহানুভূতির জিজ্ঞাসা, " ভালো আছেন তো? "
তপ্ত বৈশাখের দুপুরেও তাঁরা ঠায় দাঁড়িয়ে লকডাউনে শহর পাহারা দিতে । অন্যান্য বছর গরমের এই সময়টায় কমিয়ে দেওয়া হয় ডিউটির সময় । এবার তার উপায় নেই । কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেওয়ার অবসরটুকুও নেই । চলছে নাকা চেকিং । পুলিশকর্মীরা জানেন, সাময়িক বিশ্রাম নিতে গেলেও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেবে একাংশ অবাধ্য শহরবাসী । তাই কড়া হাতেই চলছে চেকিং । কাগজ পরীক্ষা, অনুমতির পরীক্ষা সবকিছু খতিয়ে দেখার পরেই ছাড়তে হচ্ছে । কোনও কোনও দিন আবার প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে । অথচ চিকিৎসকরা বলছেন এখন ঠান্ডা লাগানো যাবে না। কিন্তু ওরা যে পুলিশ কর্মী । ইতিমধ্যেই 12 জন আক্রান্ত হওয়ার পরেও ওদের আতঙ্ক থাকতে নেই । নাছোড়বান্দা মনোভাব সংক্রমণের হাত থেকে শহরবাসীকে বাঁচানোর এক ধনুক ভাঙা পণ ।
এই পুলিশকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আজ বিকেলে পথে নামলেন DC ট্রাফিক রূপেশ কুমার-সহ কয়েকজন আধিকারিক । একেবারে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইলেন সুবিধা অসুবিধা । হাতে তুলে দিলেন বিস্কুট, ক্যাডবেরি, ফ্রুটজুস । পিঠে হাত রেখে বোঝাতে চাইলেন, "পাশে আছি । "