কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ-ডি কর্মীদের (Illegally employed Group-D workers) এখনই চাকরি যাচ্ছে না ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলের শুনানিতে এ কথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷ যদিও এই মামলারই আজ সকালের শুনানিতে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে ৷
সকালে রুষ্ট হলেও বিকেলে সুর নরম করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । সকালে গ্রুপ-ডিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া 1698 জন গ্রুপ ডি কর্মীকে আর একদিনও স্কুলে চাকরি করতে দিতে নারাজ হাইকোর্ট । এখনই তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিতে চান তিনি ৷ তাই আজই বেলা তিনটের মধ্যে বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য দেওয়ার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি ৷ তারপরেই তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ তবে বিকেলের শুনানিতে সুর নরম করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বললেন যে, দেশের আইন আজমল কাসভকে তাঁর বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেয়, সেখানে এই বিতর্কিত ভাবে নিযুক্তদেরও বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাওয়া উচিত ।
সিবিআইয়ের হিসেব মতো বেআইনি নিয়োগ পাওয়া 1698 জনের বিস্তারিত তালিকা আজ আদালতে জমা দেয় বোর্ড । সেই তালিকা মেনে জেলাগুলোর ডিআই-দের এই নির্দেশ পাঠাতে হবে । তাঁদের নিয়োগ নিয়ে যে মামলা হয়েছে, সেই তথ্য জানাতে হবে ওই বিতর্কিত কর্মীদের । আগামী 24 জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে । ওই দিন এঁদের ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত ।
আরও পড়ুন: বেআইনি ভাবে নিযুক্ত গ্রুপ-ডি কর্মীদের তথ্য বিকেল 3টের মধ্যে জানানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
আজই ওই কর্মীদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে চেয়েছিল আদালত । কিন্তু রাজ্যের আইনজীবী এ ব্যাপারে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়ে বলেন, আজই এটা করলে বহু স্কুলে ঘণ্টা বাজানো, ঘরের তালা খোলার লোক পাওয়া যাবে না । তার পরে এ দিন আর কোনও কড়া নির্দেশ দেয়নি আদালত ।
গ্রুপ-ডি-র ওএমআর শিট বিকৃত করা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি আজ বেলা তিনটের মধ্যে বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের তালিকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন পর্ষদকে । প্রত্যেকের নাম, স্কুলের নাম, ঠিকানা নিয়ে বেলা তিনটেয় হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । তিনি বলেছিলেন, "নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে । আর নয় । যাঁরা বেআইনি ভাবে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তাঁরা এক মুহূর্তও আর চাকরি করতে পারবেন না । একদিনও এঁদের স্কুলে ঢুকতে দেব না ।"