কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: চলছে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। রেজিস্ট্রেশন ফর্মে ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষর বাধ্যতামূলক। বেশ কয়েকদিন ধরেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ডাকা যাবে কি না তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আজ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল, ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষর করানোর সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজ় করার মতো COVID-19 সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলিকে। প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে জারি করা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই বিজ্ঞপ্তির পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের মতে, এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ রেজিস্ট্রেশনের জন্য পড়ুয়াদের স্কুলে আসায় অনুমতি দিয়েছে।
গত 21 সেপ্টেম্বর থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফর্ম দেওয়া শুরু করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। যা পূরণ করে 12 থেকে 16 অক্টোবরের মধ্যে সংসদের দপ্তরে জমা করতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রেশন ফর্মে ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষর বাধ্যতামূলক। কিন্তু, লকডাউনের সময় রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তর পড়ুয়াদের স্কুলে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়নি। ফলে, রেজিস্ট্রেশন ফর্মে পড়ুয়াদের সাক্ষর করাতে তাঁদের স্কুলে ডাকা যাবে কিনা তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন প্রধান শিক্ষকদের অধিকাংশই।
পড়ুয়াদের স্কুলে না ডেকে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে তাঁদের সাক্ষর কী করে করানো যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিসট্রেসের তরফে। আবার অন্যদিকে, পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকলে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের রোষের মুখে পড়তে হয় তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলেন তাঁরা। একাধিকবার উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষা সংসদের কাছে এবিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা চেয়েও মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কোপের মুখে পড়ার আশঙ্কা নিয়েই একাধিক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষর করানোর কাজ শুরু হয়েছে। অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপেক্ষা করছিলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকার। তবে, নির্দেশিকা না পেলে তাঁরাও যে পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকতে বাধ্য হবেন তা জানিয়েছেন। অবশেষে, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বিজ্ঞপ্তিতে পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্কুলে ডাকা নিয়ে দোলাচল থেকে মুক্তি পেলেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আজ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষর করানোর সময় প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজ়েশনের মতো COVID-19 সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি, প্রধান শিক্ষকরা চাইলে অভিভাবকদের তাঁদের সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ছেলে-মেয়েদের সাক্ষর করানোর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিসট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দনকুমার মাইতি বলেন, "সরাসরি না বললেও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসা যাবে সেটাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে। এতে কিছুটা ধন্ধ কাটলেও আর একটি বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি হল। কোনও অভিভাবকদের হাতে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাঠালে তাতে যে সাক্ষর থাকবে সেটা যে ওই পড়ুয়ারই, তা যাচাই কীভাবে করা হবে ? আবার অভিভাবকরা যদি একবার এসে ফর্ম নিয়ে গিয়ে আবার তা জমা দিতে আসেন তাহলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও দ্বিগুণ হয়ে গেল।"
একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষরে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি - রাজ্যে কোরোনা পরিস্থিতি
আজ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষর করানোর সময় প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজ়েশনের মতো COVID-19 সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: চলছে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। রেজিস্ট্রেশন ফর্মে ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষর বাধ্যতামূলক। বেশ কয়েকদিন ধরেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ডাকা যাবে কি না তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আজ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল, ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষর করানোর সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজ় করার মতো COVID-19 সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলিকে। প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে জারি করা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই বিজ্ঞপ্তির পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের মতে, এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ রেজিস্ট্রেশনের জন্য পড়ুয়াদের স্কুলে আসায় অনুমতি দিয়েছে।
গত 21 সেপ্টেম্বর থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফর্ম দেওয়া শুরু করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। যা পূরণ করে 12 থেকে 16 অক্টোবরের মধ্যে সংসদের দপ্তরে জমা করতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রেশন ফর্মে ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষর বাধ্যতামূলক। কিন্তু, লকডাউনের সময় রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তর পড়ুয়াদের স্কুলে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়নি। ফলে, রেজিস্ট্রেশন ফর্মে পড়ুয়াদের সাক্ষর করাতে তাঁদের স্কুলে ডাকা যাবে কিনা তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন প্রধান শিক্ষকদের অধিকাংশই।
পড়ুয়াদের স্কুলে না ডেকে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে তাঁদের সাক্ষর কী করে করানো যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিসট্রেসের তরফে। আবার অন্যদিকে, পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকলে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের রোষের মুখে পড়তে হয় তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলেন তাঁরা। একাধিকবার উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষা সংসদের কাছে এবিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা চেয়েও মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কোপের মুখে পড়ার আশঙ্কা নিয়েই একাধিক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষর করানোর কাজ শুরু হয়েছে। অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপেক্ষা করছিলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকার। তবে, নির্দেশিকা না পেলে তাঁরাও যে পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকতে বাধ্য হবেন তা জানিয়েছেন। অবশেষে, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বিজ্ঞপ্তিতে পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্কুলে ডাকা নিয়ে দোলাচল থেকে মুক্তি পেলেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আজ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্মে সাক্ষর করানোর সময় প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজ়েশনের মতো COVID-19 সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি, প্রধান শিক্ষকরা চাইলে অভিভাবকদের তাঁদের সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ছেলে-মেয়েদের সাক্ষর করানোর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিসট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দনকুমার মাইতি বলেন, "সরাসরি না বললেও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসা যাবে সেটাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে। এতে কিছুটা ধন্ধ কাটলেও আর একটি বিষয়ে প্রশ্ন তৈরি হল। কোনও অভিভাবকদের হাতে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাঠালে তাতে যে সাক্ষর থাকবে সেটা যে ওই পড়ুয়ারই, তা যাচাই কীভাবে করা হবে ? আবার অভিভাবকরা যদি একবার এসে ফর্ম নিয়ে গিয়ে আবার তা জমা দিতে আসেন তাহলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও দ্বিগুণ হয়ে গেল।"