কলকাতা, 5 ডিসেম্বর : সোমবার বোনের বিয়ে । সেই বিয়েতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন । যেতে চেয়েছিলেন লখনউ । কিন্তু স্বামী শিশুপুত্রের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি । তারপরই আজ বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন ওই গৃহবধূ। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বোনের বিয়েতে না নিয়ে যাওয়ার অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন ওই গৃহবধূ । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গতবছর খুশবু কুমারীর বিয়ে হয় রাজকুমার গুপ্তার সঙ্গে । তাঁরা থাকতেন কসবা থানা এলাকার মধ্যপাড়া নস্করহাটে । তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন রাজকুমারের বাবা প্রসাদ গুপ্ত এবং মা কলাবতী দেবী । মাস তিনেক আগে মা হন খুশবু কুমারী । দিন কয়েক আগে তাঁদের শিশুপুত্র অসুস্থ হয়। সেই অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। সন্তানের অসুস্থতা নিয়ে যথেষ্ট বিচলিত ছিলেন রাজকুমার। এদিকে সোমবার খুশবু কুমারীর বোনের বিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি । তাতে আপত্তি ছিল রাজকুমারের । লখনউয়ে ঠান্ডা আবহাওয়ায় অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে যেতে চাননি তিনি ।
আরও পড়ুন : কোভ্যাকসিন নিয়েও কোরোনায় আক্রান্ত হরিয়ানার মন্ত্রী
রাজকুমার একটি ক্যাটারিং সংস্থায় কর্মরত । তিনি আজ ভোর পাঁচটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান । সাড়ে পাঁচটায় জামশেদপুরগামী ট্রেনে ওঠেন । সেখানে কাজ আছে তার । সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গোপালপ্রসাদ গুপ্তা খুশবুকে ছাদে যেতে দেখেন । কিছুক্ষণ পরে ছাদ থেকে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান । তিনি দ্রুত ছাদে উঠে দেখেন খুশবু সেখানে নেই । তড়িঘড়ি নিচে এলে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি । তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । ঘটনায় তদন্তে নেমেছে কসবা থানার পুলিশ । এটি আদৌ আত্মহত্যার ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । নিয়ম মাফিক এই ঘটনায় ভিডিয়োগ্রাফি করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।