কলকাতা, 24 অগাস্ট : ট্যাংরায় জোড়া খুনে ক্রমশ দানা বাঁধছিল রহস্য ৷ শ্বশুর-বউমা দু'জনকেই প্রাণে মারতে চেয়েছিল কেউ । লোহার বালতি দিয়ে মুখে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ করছিল পুলিশ ৷ রক্তমাখা একটি বালতিও উদ্ধার হয়েছিল ৷ তদন্তে নেমে মৃতের স্বামী লি ওয়ান থোকে গ্রেপ্তার করল ট্যাংরা থানার পুলিশ ৷
গতরাতে ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিশ ৷ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ জানা যায়, সম্পর্ক ভালো ছিল না স্বামী-স্ত্রীর ৷ তারপরই স্বামী লি ওয়ান থোকে আটক করে পুলিশ ৷ দফায় দফায় চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ শেষমেশ খুনের কথা স্বীকার করে লি ৷ জানা যায়, নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত দু'জনের । মেইহার সন্দেহ ছিল, অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্বামী লি ওয়ান থোর ৷

গতকাল সন্ধ্যা 7টা 11 নাগাদ বাড়ি থেকে লি বেরিয়ে যায় । ফেরে 8টা 20 নাগাদ । এরপর অশান্তি আরও চরমে ওঠে ৷ স্বামীর এভাবে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় ৷ রাগের চোটেই লি বালতি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে স্ত্রীকে ৷ এদিকে চিৎকার শুনে বাবা পৌঁছালে তাকেও খুন করতে হাত কাঁপেনি লির ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় জোড়া খুন : রক্তমাখা বালতি ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য
৮/১ নিউ ট্যাংরা রোড ৷ গতরাত ন'টা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । শ্বশুর লি কা সংয়ের বয়স 80 । আর বউমা লি হউ মেইহার বয়স 60 । দেহ দুটি উদ্ধার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ কর্তারা পাঠিয়ে দেয় NRS হাসপাতালে । সেখানে মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । সংয়ের অবশ্য তখনও প্রাণ ছিল । পরে মৃত্যু হয় তাঁরও ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার শ্বশুরও