ETV Bharat / state

ট্যাংরায় সন্দেহের বশে ঝামেলা, স্ত্রী-বাবাকে খুনে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার - ট্যাংরায় জোড়া খুনে ক্রমশ দানা বাঁধছিল রহস্য ৷

৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডে গতরাত ন'টা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । শ্বশুর লি কা সংয়ের বয়স 80 । আর বউমা লি হউ মেইহার বয়স 60 । মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । পরে মৃত্যু হয় সংয়ের। তদন্তে নেমে মৃতের স্বামী লি ওয়ান থোকে গ্রেপ্তার করল ট্যাংরা থানার পুলিশ ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 10:42 AM IST

Updated : Aug 24, 2019, 10:48 AM IST

কলকাতা, 24 অগাস্ট : ট্যাংরায় জোড়া খুনে ক্রমশ দানা বাঁধছিল রহস্য ৷ শ্বশুর-বউমা দু'জনকেই প্রাণে মারতে চেয়েছিল কেউ । লোহার বালতি দিয়ে মুখে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ করছিল পুলিশ ৷ রক্তমাখা একটি বালতিও উদ্ধার হয়েছিল ৷ তদন্তে নেমে মৃতের স্বামী লি ওয়ান থোকে গ্রেপ্তার করল ট্যাংরা থানার পুলিশ ৷

গতরাতে ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিশ ৷ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ জানা যায়, সম্পর্ক ভালো ছিল না স্বামী-স্ত্রীর ৷ তারপরই স্বামী লি ওয়ান থোকে আটক করে পুলিশ ৷ দফায় দফায় চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ শেষমেশ খুনের কথা স্বীকার করে লি ৷ জানা যায়, নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত দু'জনের । মেইহার সন্দেহ ছিল, অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্বামী লি ওয়ান থোর ৷

image
ট্যাংরার বাড়িতে পুলিশ

গতকাল সন্ধ্যা 7টা 11 নাগাদ বাড়ি থেকে লি বেরিয়ে যায় । ফেরে 8টা 20 নাগাদ । এরপর অশান্তি আরও চরমে ওঠে ৷ স্বামীর এভাবে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় ৷ রাগের চোটেই লি বালতি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে স্ত্রীকে ৷ এদিকে চিৎকার শুনে বাবা পৌঁছালে তাকেও খুন করতে হাত কাঁপেনি লির ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় জোড়া খুন : রক্তমাখা বালতি ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য

৮/১ নিউ ট্যাংরা রোড ৷ গতরাত ন'টা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । শ্বশুর লি কা সংয়ের বয়স 80 । আর বউমা লি হউ মেইহার বয়স 60 । দেহ দুটি উদ্ধার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ কর্তারা পাঠিয়ে দেয় NRS হাসপাতালে ‌। সেখানে মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । সংয়ের অবশ্য তখনও প্রাণ ছিল । পরে মৃত্যু হয় তাঁরও ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার শ্বশুরও

কলকাতা, 24 অগাস্ট : ট্যাংরায় জোড়া খুনে ক্রমশ দানা বাঁধছিল রহস্য ৷ শ্বশুর-বউমা দু'জনকেই প্রাণে মারতে চেয়েছিল কেউ । লোহার বালতি দিয়ে মুখে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ করছিল পুলিশ ৷ রক্তমাখা একটি বালতিও উদ্ধার হয়েছিল ৷ তদন্তে নেমে মৃতের স্বামী লি ওয়ান থোকে গ্রেপ্তার করল ট্যাংরা থানার পুলিশ ৷

গতরাতে ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিশ ৷ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ জানা যায়, সম্পর্ক ভালো ছিল না স্বামী-স্ত্রীর ৷ তারপরই স্বামী লি ওয়ান থোকে আটক করে পুলিশ ৷ দফায় দফায় চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ শেষমেশ খুনের কথা স্বীকার করে লি ৷ জানা যায়, নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত দু'জনের । মেইহার সন্দেহ ছিল, অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্বামী লি ওয়ান থোর ৷

image
ট্যাংরার বাড়িতে পুলিশ

গতকাল সন্ধ্যা 7টা 11 নাগাদ বাড়ি থেকে লি বেরিয়ে যায় । ফেরে 8টা 20 নাগাদ । এরপর অশান্তি আরও চরমে ওঠে ৷ স্বামীর এভাবে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় ৷ রাগের চোটেই লি বালতি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে স্ত্রীকে ৷ এদিকে চিৎকার শুনে বাবা পৌঁছালে তাকেও খুন করতে হাত কাঁপেনি লির ৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় জোড়া খুন : রক্তমাখা বালতি ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য

৮/১ নিউ ট্যাংরা রোড ৷ গতরাত ন'টা পনেরো নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দুই চিন বংশোদ্ভূত কলকাতাবাসীকে । শ্বশুর লি কা সংয়ের বয়স 80 । আর বউমা লি হউ মেইহার বয়স 60 । দেহ দুটি উদ্ধার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ কর্তারা পাঠিয়ে দেয় NRS হাসপাতালে ‌। সেখানে মেইহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । সংয়ের অবশ্য তখনও প্রাণ ছিল । পরে মৃত্যু হয় তাঁরও ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : ট্যাংরায় ঘর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার শ্বশুরও

Intro:ট্যাংরায় লোহার বালতি দিয়ে মেরে খুন দু'জনকে

লোহার বালতি দিয়ে মেরেই খুন করা হয় ওই মহিলা এবং তাঁর শ্বশুর মশাই কে।
লোহার বালতিটি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারি কর্তারা।
মহিলা এবং তাঁর শ্বশুর মশাইয়ের মাথা, মুখ পুরো থেঁতলে গিয়েছে।
এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দাপ্রধান।
মহিলার নাম, হাউ মি হা।
বয়স ৬০।
শ্বশুর মশাইয়ের নাম, লি কা সিয়ং।
বয়স ৮৯।
বৃদ্ধ এক সময় পুরোহিতের কাজ করতেন।
শুক্রবার রাতে ৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডের বাড়িটি থেকে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
বাড়িটির সামনে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ট্যাংরা থানার পুলিশ।
একই সঙ্গে আসেন ডিসি দেবস্মীতা দাস।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান মুরলিধর শর্মা'ও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
বাড়ির উঠোনে তখন চাপ চাপ রক্ত পড়ে।
দু'জনকেই উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে কেউই আর বেঁচে নেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির উঠোনের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল মহিলাটি।
তাঁর ঠিক পাশেই দরজার কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল শ্বশুরমশাই।
বাড়ির সদর দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার স্বামী, বছর ৬৬র লি ওয়ান সাং সন্ধে ৭টা ১১ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন।
এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন।
স্ত্রী'র মোবাইলে বারবার ফোন করে যান।
দরজা'ও ঠকঠক করতে থাকেন।
কিন্তু গেট না খোলায় এলাকার বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান মহিলার স্বামী।
এরপর একটি মই নিয়ে এসে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সদর দরজা খুলে দেন এলাকার এক যুবক।
তখন উঠোনের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে খাকতে দেখেন তাঁদেরকে।
ঘটনাটি চাউর হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে কোনও জিনিষ পত্রই চুরি যায়নি।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
আততায়ী একজন না কি একের বেশি সেই বিষয়েও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন, আততায়ী কি চেনা পরিচিতই ছিল বাড়ির সদস্যদের কাছে?
আততায়ী দরজা নক করায়, মহিলা নিজেই কি সদর দরজা খুলে দিয়েছিলেন?
নাকি আততায়ী পাচিল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকেছিল?
খুনের পেছনে কি কারণ রয়েছে, সেই বিষয়ে অবশ্য তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।।
বাইরের লোকের সঙ্গে তো বটেই, নিজেদের মধ্যেও কার্যত বাক্যালাপ করতেন না চায়না টাউন এর অভিশপ্ত সিয়োং পরিবার। এই বাড়িতে প্রায় 13 বছর ধরে কাজ করা পরিচারিকা লক্ষী দে-র এমনটাই বয়ান । প্রতিদিন সকাল 7 টা থেকে 9 টা পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। শুক্রবার সকালেও এই পরিবারের কোনো সদস্যের আচরণে কোনো অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করেন নি তিনি। স্বামীর সঙ্গে হাউ মি হা-র তেমন সুসম্পর্ক ছিল না। কারন মাঝেমধ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হত। লি কা সিয়োং প্রায় কথাই বলতেন না। তার পক্ষে পুত্রবধূকে বালতি দিয়ে আঘাত করা খুব অস্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। বাড়িতে আপাতদৃষ্টিতে কারুর ঢোকা বেরনোর প্রমান নেই। তাই কোনো একটি ইস্যুতে হিট অফ দ্য মোমেন্টে পারস্পরিক সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পরে বলে প্রাথমিক অনুমান। আবার চায়না টাউনের মতো জায়গায় প্রায় আড়াই কাঠা জমির ওপর বাড়ি দখলের জন্য বাইরের কেউও এই কাজ করতে পারে, এমন সম্বাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার আগে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারী অফিসার রা।
Body:ট্যাংরায় লোহার বালতি দিয়ে মেরে খুন দু'জনকে

লোহার বালতি দিয়ে মেরেই খুন করা হয় ওই মহিলা এবং তাঁর শ্বশুর মশাই কে।
লোহার বালতিটি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারি কর্তারা।
মহিলা এবং তাঁর শ্বশুর মশাইয়ের মাথা, মুখ পুরো থেঁতলে গিয়েছে।
এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দাপ্রধান।
মহিলার নাম, হাউ মি হা।
বয়স ৬০।
শ্বশুর মশাইয়ের নাম, লি কা সিয়ং।
বয়স ৮৯।
বৃদ্ধ এক সময় পুরোহিতের কাজ করতেন।
শুক্রবার রাতে ৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডের বাড়িটি থেকে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
বাড়িটির সামনে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ট্যাংরা থানার পুলিশ।
একই সঙ্গে আসেন ডিসি দেবস্মীতা দাস।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান মুরলিধর শর্মা'ও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
বাড়ির উঠোনে তখন চাপ চাপ রক্ত পড়ে।
দু'জনকেই উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে কেউই আর বেঁচে নেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির উঠোনের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল মহিলাটি।
তাঁর ঠিক পাশেই দরজার কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল শ্বশুরমশাই।
বাড়ির সদর দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার স্বামী, বছর ৬৬র লি ওয়ান সাং সন্ধে ৭টা ১১ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন।
এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন।
স্ত্রী'র মোবাইলে বারবার ফোন করে যান।
দরজা'ও ঠকঠক করতে থাকেন।
কিন্তু গেট না খোলায় এলাকার বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান মহিলার স্বামী।
এরপর একটি মই নিয়ে এসে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সদর দরজা খুলে দেন এলাকার এক যুবক।
তখন উঠোনের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে খাকতে দেখেন তাঁদেরকে।
ঘটনাটি চাউর হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে কোনও জিনিষ পত্রই চুরি যায়নি।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
আততায়ী একজন না কি একের বেশি সেই বিষয়েও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন, আততায়ী কি চেনা পরিচিতই ছিল বাড়ির সদস্যদের কাছে?
আততায়ী দরজা নক করায়, মহিলা নিজেই কি সদর দরজা খুলে দিয়েছিলেন?
নাকি আততায়ী পাচিল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকেছিল?
খুনের পেছনে কি কারণ রয়েছে, সেই বিষয়ে অবশ্য তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।।
বাইরের লোকের সঙ্গে তো বটেই, নিজেদের মধ্যেও কার্যত বাক্যালাপ করতেন না চায়না টাউন এর অভিশপ্ত সিয়োং পরিবার। এই বাড়িতে প্রায় 13 বছর ধরে কাজ করা পরিচারিকা লক্ষী দে-র এমনটাই বয়ান । প্রতিদিন সকাল 7 টা থেকে 9 টা পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। শুক্রবার সকালেও এই পরিবারের কোনো সদস্যের আচরণে কোনো অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করেন নি তিনি। স্বামীর সঙ্গে হাউ মি হা-র তেমন সুসম্পর্ক ছিল না। কারন মাঝেমধ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হত। লি কা সিয়োং প্রায় কথাই বলতেন না। তার পক্ষে পুত্রবধূকে বালতি দিয়ে আঘাত করা খুব অস্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। বাড়িতে আপাতদৃষ্টিতে কারুর ঢোকা বেরনোর প্রমান নেই। তাই কোনো একটি ইস্যুতে হিট অফ দ্য মোমেন্টে পারস্পরিক সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পরে বলে প্রাথমিক অনুমান। আবার চায়না টাউনের মতো জায়গায় প্রায় আড়াই কাঠা জমির ওপর বাড়ি দখলের জন্য বাইরের কেউও এই কাজ করতে পারে, এমন সম্বাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার আগে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারী অফিসার রা।
Conclusion:ট্যাংরায় লোহার বালতি দিয়ে মেরে খুন দু'জনকে

লোহার বালতি দিয়ে মেরেই খুন করা হয় ওই মহিলা এবং তাঁর শ্বশুর মশাই কে।
লোহার বালতিটি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারি কর্তারা।
মহিলা এবং তাঁর শ্বশুর মশাইয়ের মাথা, মুখ পুরো থেঁতলে গিয়েছে।
এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দাপ্রধান।
মহিলার নাম, হাউ মি হা।
বয়স ৬০।
শ্বশুর মশাইয়ের নাম, লি কা সিয়ং।
বয়স ৮৯।
বৃদ্ধ এক সময় পুরোহিতের কাজ করতেন।
শুক্রবার রাতে ৮/১ নিউ ট্যাংরা রোডের বাড়িটি থেকে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
বাড়িটির সামনে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ট্যাংরা থানার পুলিশ।
একই সঙ্গে আসেন ডিসি দেবস্মীতা দাস।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান মুরলিধর শর্মা'ও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
বাড়ির উঠোনে তখন চাপ চাপ রক্ত পড়ে।
দু'জনকেই উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে কেউই আর বেঁচে নেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির উঠোনের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল মহিলাটি।
তাঁর ঠিক পাশেই দরজার কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল শ্বশুরমশাই।
বাড়ির সদর দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার স্বামী, বছর ৬৬র লি ওয়ান সাং সন্ধে ৭টা ১১ নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন।
এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন।
স্ত্রী'র মোবাইলে বারবার ফোন করে যান।
দরজা'ও ঠকঠক করতে থাকেন।
কিন্তু গেট না খোলায় এলাকার বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান মহিলার স্বামী।
এরপর একটি মই নিয়ে এসে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সদর দরজা খুলে দেন এলাকার এক যুবক।
তখন উঠোনের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে খাকতে দেখেন তাঁদেরকে।
ঘটনাটি চাউর হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে কোনও জিনিষ পত্রই চুরি যায়নি।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
আততায়ী একজন না কি একের বেশি সেই বিষয়েও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন, আততায়ী কি চেনা পরিচিতই ছিল বাড়ির সদস্যদের কাছে?
আততায়ী দরজা নক করায়, মহিলা নিজেই কি সদর দরজা খুলে দিয়েছিলেন?
নাকি আততায়ী পাচিল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকেছিল?
খুনের পেছনে কি কারণ রয়েছে, সেই বিষয়ে অবশ্য তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।।
বাইরের লোকের সঙ্গে তো বটেই, নিজেদের মধ্যেও কার্যত বাক্যালাপ করতেন না চায়না টাউন এর অভিশপ্ত সিয়োং পরিবার। এই বাড়িতে প্রায় 13 বছর ধরে কাজ করা পরিচারিকা লক্ষী দে-র এমনটাই বয়ান । প্রতিদিন সকাল 7 টা থেকে 9 টা পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। শুক্রবার সকালেও এই পরিবারের কোনো সদস্যের আচরণে কোনো অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করেন নি তিনি। স্বামীর সঙ্গে হাউ মি হা-র তেমন সুসম্পর্ক ছিল না। কারন মাঝেমধ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হত। লি কা সিয়োং প্রায় কথাই বলতেন না। তার পক্ষে পুত্রবধূকে বালতি দিয়ে আঘাত করা খুব অস্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। বাড়িতে আপাতদৃষ্টিতে কারুর ঢোকা বেরনোর প্রমান নেই। তাই কোনো একটি ইস্যুতে হিট অফ দ্য মোমেন্টে পারস্পরিক সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পরে বলে প্রাথমিক অনুমান। আবার চায়না টাউনের মতো জায়গায় প্রায় আড়াই কাঠা জমির ওপর বাড়ি দখলের জন্য বাইরের কেউও এই কাজ করতে পারে, এমন সম্বাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার আগে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারী অফিসার রা।
Last Updated : Aug 24, 2019, 10:48 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.