কলকাতা, 25 জুলাই: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এবার মৃত্যু রিংকি রায় মজুমদার নামের এক গূহবধূর ৷ বছর ত্রিশের ওই গৃহবধূ দক্ষিণ দমদম পৌরসভার 29 নম্বর ওয়ার্ডের লেকটাউন বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ৷ ওই পরিবারের সদস্যরা এর আগে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৷ তখনই তাঁরা পৌরসভাের দ্বারস্থ হন ৷ কিন্তু কেউ তোয়াক্কা করেনি ৷ দীর্ঘদিন ধরে মশার আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে লেকটাউন বাঙুর অ্যাভিনিউ ৷ পরিবারের সদস্য থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, এলাকার কাউন্সিলরও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৷
দেড় বছর আগে বাঙুরের বাসিন্দা পল্লব মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয় রিংকির। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত 14 জুলাই লেকটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রিংকি ভরতি হন জ্বর নিয়ে। এরপরে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করালে ডেঙ্গি পজিটিভ আসে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন রিংকির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। এরপরেই 21 তারিখে তাঁর মৃত্যু হয়। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু হওয়ার পরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্য ঋত্বিক মজুমদার জানান, 2017 সালে তাঁর বাবা পঙ্কজ মজুমদার ও পিসি রমা ধর দু'জনেই ডেঙ্গিতে মারা যান।
আরও পড়ুন: 'জিরো ডেঙ্গি'র লক্ষ্যে সচেতনতায় জলপাইগুড়ি পৌরসভা
আবার বছর খানেক পরে, একইরকমভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তার বউদির মৃত্যু হল। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির পাশে একটি ফাঁকা জঞ্জাল জায়গা পড়ে থেকে মশার আঁতুঘর হয়ে রয়েছে ৷ দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভাকে জানিয়েছেন, এমনকী কাউন্সিলরকেও জানিয়েছিলাম কিন্তু কোনও কাজ হয়নি এখনও পর্যন্ত। পৌরসভার এখনও পর্যন্ত হেলদোল নেই ৷ প্রত্যেকবারই দক্ষিণ দমদম পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ে মৃতের হারও তেমন বেড়ে চলে।
পাশাপাশি দক্ষিণ দমদম পৌরসভার অধিকাংশ মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ এলাকার কাউন্সিলরও আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে ৷ উল্লেখ্য, গতকাল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 10 বছরের এক নাবালিকার। কয়েকদিন ধরে সে শহরের একটি হাসপাতালে ভরতি ছিল। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ও পরে তার মৃত্যু হয় ৷
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি সংক্রমণে শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু প্রাক্তন সাংসদপুত্রের