ETV Bharat / state

'ঐতিহ্যবাহী' বাড়ির মেলেনি গ্রেড ! নিশ্চিহ্নের পথে বিপ্লবী যতীন দাসের জন্মস্থল ! উদাসীন পৌরনিগম

House of Freedom Fighter Jatin Das in dilapidated condition: কলকাতার অন্যতম জনবহুল এলাকায় বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাসের বাড়ি ৷ স্বাধীনতার 75 বছর পরে এই ভগ্নপ্রায় বাড়িটি এখন শুধু হেরিটেজ তকমাধারী, তবে কোনও গ্রেড দেওয়া হয়নি ৷ বাড়ির মুখে স্বাধীনতা সংগ্রামীর একটি বিশাল মূর্তি ৷ তবে হারিয়ে যেতে বসেছে তাঁর জন্মভিটে ৷

ETV Bharat
বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাসের বাড়ির ভগ্নপ্রায় দশায় উদাসীন প্রশাসন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 27, 2023, 7:45 AM IST

নিশ্চিহ্নের পথে কলকাতায় বিপ্লবী যতীন দাসের জন্মস্থল

কলকাতা, 26 নভেম্বর: তিলোত্তমার এই ব্যস্ত রাস্তা প্রায় সারাবছরই আমজনতার ভিড় থাকে ৷ এখানেই বাড়ি বাংলার অন্যতম বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ দাসের ৷ উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে টাউন স্কুলের বিপরীতে গণেন্দ্র মিত্র লেন ৷ এই চার ফুটের সরু গলিতে ঢোকার মুখেই রয়েছে বিপ্লবীর মূর্তি ৷ এই গলিতে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাস ওরফে যতীন দাস ৷

এই গলির প্রথম বাড়িটি বেশ কয়েক বছর আগে প্রোমটিং হয়ে গিয়েছে ৷ দ্বিতীয় বাড়িটি গায়ে বিরাট অশ্বত্থ গাছ ৷ দেওয়াল জুড়ে শুধুই শিকড় ৷ ভগ্নপ্রায় বাড়িটির ঠিকানা 1বি, গণেন্দ্র মিত্র লেন ৷ 1904 সালে 27 অক্টোবর এই বাড়ির নীচতলার একটি ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লবী যতীন দাস ৷ এটা তাঁর মামার বাড়ি ৷ পরে ভবানীপুরে নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন তিনি ৷ এরপর ভারতের ইতিহাস অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাঁদের মতো বিপ্লবীদের সংগ্রামের বিনিময়ে ৷

এই বাড়িতে বিপ্লবীর মামার বাড়ির পরিবারের তিন শরিক বসবাস করে ৷ প্রায় 120 বছরের এই বাড়িটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ৷ গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলেই দেওয়াল জুড়ে ফাটল ৷ দরজার কাঠ খুলে গিয়েছে ৷ ফাটল ওঠা-নামার সিঁড়িতে ৷ দোতলার ঘরের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়েছে ৷ ঘরে ঘরে ধুলোর আস্তরণ ৷ উপর-নিচ মিলিয়ে মোট 8 টি ঘর রয়েছে ৷

বাড়িতে এখন থাকেন সপ্তর্ষি ঘোষ ৷ তিনি ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি ৷ তবে বাড়ির ভগ্নদশা নিয়ে সপ্তর্ষি ঘোষ বলেন, "বাড়ি ঘুরে দেখুন কী অবস্থা ! আমাদের আর্থিক অবস্থা এতটা ভালো নয় যে এই বিরাট বাড়ি সংস্কার করে ফেলব ৷ শরিকি সমস্যা তো আছেই ৷ বাকিরা থাকতে না পেরে অন্য জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন ৷ আর আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রয়ে গিয়েছি ৷ বাড়িতে বয়স্ক মা আছেন ৷ তাই বাড়ি ডেভেলপমেন্ট করার পরিকল্পনা করছি ৷ সেই বিষয়ে আলোচনাও চলছে ৷"

ভারতের স্বাধীনতার 75 বছরে দেশে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' পালিত হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটে নাম রয়েছে বিপ্লবী যতীন দাসের ৷ সেখানে তাঁর সম্বন্ধে লেখা হয়েছে, মাত্র 17 বছর বয়সে তিনি মহাত্মা গান্ধির অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ৷ 1929 সালে 63 দিন ধরে একটানা অনশনের পর তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তখন তাঁর বয়স মাত্র 25 বছর ৷ লাহোর সেন্ট্রাল জেলে সেই সময় শহিদ ভগৎ সিং এবং অন্য বন্দিরাও অনশন করছিলেন ৷ তবে যতীন্দ্রনাথ দাসের উপর ব্রিটিশরা প্রবল অত্যাচার করেছিল ৷ ফলে তাঁর ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায় ৷ ধীরে ধীরে পুরো শরীরটাই প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছিল ৷

গণেন্দ্রনাথ লেনের এই বাড়িতে ঢুকলেই গেটের মুখে দেওয়ালে পাথরের ফলক ৷ তাতে লেখা 'বিপ্লবী যতীন্দ্র নাথ দাস'। বাড়িটি ঐতিহ্যশালী ভবনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ৷ তবে এখনও গ্রেড দেওয়া হয়নি ৷ বিপ্লবীর ধুলো, ঝুলে ভর্তি ঘরটি তালা বন্ধ ৷ আশঙ্কা ভগ্নপ্রায় বাড়িটি হয়তো একদিন প্রোমোটারের হাত চলে যাবে ৷

প্রশ্ন উঠছে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় যিনি গ্রেফতার হলেন এবং অনশনে যাঁর মৃত্যু, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি কি এভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ? তাঁর মৃত্যুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান লিখেছেন ৷ তাঁর শবদেহ নিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মিছিল করেছিলেন ৷ এমন ব্যক্তিত্বের জন্মভিটে রক্ষায় কেন উদাসীন রাজ্য সরকার, কলকাতা পৌরনিগম ? কেন শুধু হেরিটেজ তালিকায় নাম তুলে দায় ঝেড়ে ফেলা হল ? প্রশাসন কি হস্তক্ষেপ করবে না ?

প্রাক্তন নগর পরিকল্পক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, "এই বাড়ি গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ হওয়া দরকার ৷ বাড়িটা যদি ভেঙে পড়ে বা প্রোমোটার নিয়ে নেয়, তাহলে কি রক্ষা করা যাবে ? মূর্তি বানিয়ে লাভ কী ? যদি আসল জিনিসই রক্ষা করা না-যায় !" মায়ের বাড়ি, ভগিনী নিবেদিতার বাড়ির কথা উত্থাপন করেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ৷

তিনি আরও বলেন, "প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন টাউন হলে অফিস করার কথা হয়েছিল ৷ তখন জ্যোতি বসু একটি কমিটি গঠন করেন ৷ সেই কমিটি ঐতিহ্য রক্ষার বিকল্প হিসেবে 20 হাজার স্কোয়্যার ফুট জায়গায় অফিস করার নির্দেশ দেয় ৷ হাটকো বিল্ডিং করেন ৷ এই ক্ষেত্রে যতীন দাসের বাড়িতে যাঁরা আছেন, তাঁদের হয় সরকারিভাবে পুনর্বাসন দিতে হবে অথবা ওই বাড়ির সমান জায়গা বা অতিরিক্ত এফএআর দিতে হবে ৷ যাতে বাড়ির বাসিন্দারা কোনও প্রোমোটার দিয়ে ওই বাড়ি সারিয়ে নিতে পারেন ৷ আর অতিরিক্ত এফএআর জায়গায় প্রোমোটার নির্মাণ করে বিক্রি করতে পারবেন ৷ তাহলে দুই পক্ষের স্বার্থই রক্ষিত হবে ৷ পাশাপাশি ঐতিহ্যও রক্ষা করা যাবে ৷"

কলকাতা পৌরনিগমের হেরিটেজ বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার বলেন, "ওই বাড়ি চাইলেও কেউ প্রোমোটিং করতে পারা যাবে না ৷ হেরিটেজ কমিটির কাছে আবেদন জানাতে হবে ৷ সেই অনুসারে কলকাতা পৌরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার বলে দেবেন বাড়ির কাঠামো নকশা কতটা অপরিবর্তিত রেখে সংস্কার করা যেতে পারে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. চন্দননগরে বিপ্লবী ভবনের জানালা বন্ধের অভিযোগ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
  2. পুজো বন্ধ করতে চেয়েছিল ব্রিটিশরা, বিপ্লবী আন্দোলনের স্মৃতি নিয়ে আজও কালী বন্দনায় নায়েক পরিবার
  3. প্রেমিকাকে চিঠি থেকে গোপনে বিপ্লবী যোগ, নেতাজির স্মৃতি আগলাচ্ছে গিদ্দা পাহাড়ের বাড়ি

নিশ্চিহ্নের পথে কলকাতায় বিপ্লবী যতীন দাসের জন্মস্থল

কলকাতা, 26 নভেম্বর: তিলোত্তমার এই ব্যস্ত রাস্তা প্রায় সারাবছরই আমজনতার ভিড় থাকে ৷ এখানেই বাড়ি বাংলার অন্যতম বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ দাসের ৷ উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে টাউন স্কুলের বিপরীতে গণেন্দ্র মিত্র লেন ৷ এই চার ফুটের সরু গলিতে ঢোকার মুখেই রয়েছে বিপ্লবীর মূর্তি ৷ এই গলিতে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাস ওরফে যতীন দাস ৷

এই গলির প্রথম বাড়িটি বেশ কয়েক বছর আগে প্রোমটিং হয়ে গিয়েছে ৷ দ্বিতীয় বাড়িটি গায়ে বিরাট অশ্বত্থ গাছ ৷ দেওয়াল জুড়ে শুধুই শিকড় ৷ ভগ্নপ্রায় বাড়িটির ঠিকানা 1বি, গণেন্দ্র মিত্র লেন ৷ 1904 সালে 27 অক্টোবর এই বাড়ির নীচতলার একটি ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লবী যতীন দাস ৷ এটা তাঁর মামার বাড়ি ৷ পরে ভবানীপুরে নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন তিনি ৷ এরপর ভারতের ইতিহাস অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাঁদের মতো বিপ্লবীদের সংগ্রামের বিনিময়ে ৷

এই বাড়িতে বিপ্লবীর মামার বাড়ির পরিবারের তিন শরিক বসবাস করে ৷ প্রায় 120 বছরের এই বাড়িটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ৷ গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলেই দেওয়াল জুড়ে ফাটল ৷ দরজার কাঠ খুলে গিয়েছে ৷ ফাটল ওঠা-নামার সিঁড়িতে ৷ দোতলার ঘরের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়েছে ৷ ঘরে ঘরে ধুলোর আস্তরণ ৷ উপর-নিচ মিলিয়ে মোট 8 টি ঘর রয়েছে ৷

বাড়িতে এখন থাকেন সপ্তর্ষি ঘোষ ৷ তিনি ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি ৷ তবে বাড়ির ভগ্নদশা নিয়ে সপ্তর্ষি ঘোষ বলেন, "বাড়ি ঘুরে দেখুন কী অবস্থা ! আমাদের আর্থিক অবস্থা এতটা ভালো নয় যে এই বিরাট বাড়ি সংস্কার করে ফেলব ৷ শরিকি সমস্যা তো আছেই ৷ বাকিরা থাকতে না পেরে অন্য জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন ৷ আর আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রয়ে গিয়েছি ৷ বাড়িতে বয়স্ক মা আছেন ৷ তাই বাড়ি ডেভেলপমেন্ট করার পরিকল্পনা করছি ৷ সেই বিষয়ে আলোচনাও চলছে ৷"

ভারতের স্বাধীনতার 75 বছরে দেশে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' পালিত হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটে নাম রয়েছে বিপ্লবী যতীন দাসের ৷ সেখানে তাঁর সম্বন্ধে লেখা হয়েছে, মাত্র 17 বছর বয়সে তিনি মহাত্মা গান্ধির অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ৷ 1929 সালে 63 দিন ধরে একটানা অনশনের পর তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তখন তাঁর বয়স মাত্র 25 বছর ৷ লাহোর সেন্ট্রাল জেলে সেই সময় শহিদ ভগৎ সিং এবং অন্য বন্দিরাও অনশন করছিলেন ৷ তবে যতীন্দ্রনাথ দাসের উপর ব্রিটিশরা প্রবল অত্যাচার করেছিল ৷ ফলে তাঁর ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায় ৷ ধীরে ধীরে পুরো শরীরটাই প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছিল ৷

গণেন্দ্রনাথ লেনের এই বাড়িতে ঢুকলেই গেটের মুখে দেওয়ালে পাথরের ফলক ৷ তাতে লেখা 'বিপ্লবী যতীন্দ্র নাথ দাস'। বাড়িটি ঐতিহ্যশালী ভবনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ৷ তবে এখনও গ্রেড দেওয়া হয়নি ৷ বিপ্লবীর ধুলো, ঝুলে ভর্তি ঘরটি তালা বন্ধ ৷ আশঙ্কা ভগ্নপ্রায় বাড়িটি হয়তো একদিন প্রোমোটারের হাত চলে যাবে ৷

প্রশ্ন উঠছে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় যিনি গ্রেফতার হলেন এবং অনশনে যাঁর মৃত্যু, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি কি এভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ? তাঁর মৃত্যুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান লিখেছেন ৷ তাঁর শবদেহ নিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মিছিল করেছিলেন ৷ এমন ব্যক্তিত্বের জন্মভিটে রক্ষায় কেন উদাসীন রাজ্য সরকার, কলকাতা পৌরনিগম ? কেন শুধু হেরিটেজ তালিকায় নাম তুলে দায় ঝেড়ে ফেলা হল ? প্রশাসন কি হস্তক্ষেপ করবে না ?

প্রাক্তন নগর পরিকল্পক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, "এই বাড়ি গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ হওয়া দরকার ৷ বাড়িটা যদি ভেঙে পড়ে বা প্রোমোটার নিয়ে নেয়, তাহলে কি রক্ষা করা যাবে ? মূর্তি বানিয়ে লাভ কী ? যদি আসল জিনিসই রক্ষা করা না-যায় !" মায়ের বাড়ি, ভগিনী নিবেদিতার বাড়ির কথা উত্থাপন করেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ৷

তিনি আরও বলেন, "প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন টাউন হলে অফিস করার কথা হয়েছিল ৷ তখন জ্যোতি বসু একটি কমিটি গঠন করেন ৷ সেই কমিটি ঐতিহ্য রক্ষার বিকল্প হিসেবে 20 হাজার স্কোয়্যার ফুট জায়গায় অফিস করার নির্দেশ দেয় ৷ হাটকো বিল্ডিং করেন ৷ এই ক্ষেত্রে যতীন দাসের বাড়িতে যাঁরা আছেন, তাঁদের হয় সরকারিভাবে পুনর্বাসন দিতে হবে অথবা ওই বাড়ির সমান জায়গা বা অতিরিক্ত এফএআর দিতে হবে ৷ যাতে বাড়ির বাসিন্দারা কোনও প্রোমোটার দিয়ে ওই বাড়ি সারিয়ে নিতে পারেন ৷ আর অতিরিক্ত এফএআর জায়গায় প্রোমোটার নির্মাণ করে বিক্রি করতে পারবেন ৷ তাহলে দুই পক্ষের স্বার্থই রক্ষিত হবে ৷ পাশাপাশি ঐতিহ্যও রক্ষা করা যাবে ৷"

কলকাতা পৌরনিগমের হেরিটেজ বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার বলেন, "ওই বাড়ি চাইলেও কেউ প্রোমোটিং করতে পারা যাবে না ৷ হেরিটেজ কমিটির কাছে আবেদন জানাতে হবে ৷ সেই অনুসারে কলকাতা পৌরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার বলে দেবেন বাড়ির কাঠামো নকশা কতটা অপরিবর্তিত রেখে সংস্কার করা যেতে পারে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. চন্দননগরে বিপ্লবী ভবনের জানালা বন্ধের অভিযোগ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
  2. পুজো বন্ধ করতে চেয়েছিল ব্রিটিশরা, বিপ্লবী আন্দোলনের স্মৃতি নিয়ে আজও কালী বন্দনায় নায়েক পরিবার
  3. প্রেমিকাকে চিঠি থেকে গোপনে বিপ্লবী যোগ, নেতাজির স্মৃতি আগলাচ্ছে গিদ্দা পাহাড়ের বাড়ি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.