ETV Bharat / state

Alo-Aandhari: বিশ্ব বিখ্যাত 'আলো আঁধারী'র লেখিকা, পরিচারিকা বেবির জীবনের আঁধার আজও ঘুচল না ! - বেবি হালদার

বিশ্ব বিখ্যাত বই 'আলো আঁধারী'র লেখিকা বেবি হালদার তাঁর জীবন তুলে ধরেছেন তাঁর বইয়ে ৷ সেখানে রয়েছে তাঁর জীবন সংগ্রামের কাহিনী ৷ সৎ মা, স্বামীর কাছে অত্যারিত হওয়ার পর কীভাবে এগোল পরিচারিকা বেবির জীবন, দেখে নেওয়া যাক ৷

Aalo Aandhari
Aalo Aandhari
author img

By

Published : May 22, 2023, 7:37 PM IST

কলকাতা, 22 মে: বেবি হালদার । বয়স 50 বছর । বিশ্বের মানুষ তাঁকে চেনেন তাঁর সৃষ্টি 'আলো আঁধারী'র জন্য । তাঁর বই 26টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে । তাঁর বইতে বর্ণিত হয়েছে তাঁর জীবন কাহিনী । সেই কাহিনীতে বেবি হালদারের পরিবর্তে অন্য কেউ থাকলে হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতেন । কিন্তু, না । বেবি আত্মহত্যা করেননি । হাল ছাড়েনি তিনি । পরিচারিকার কাজ করে তিনি আলো জালিয়েছেন নিজের জীবনে । একই ভাবে তাঁর লড়াই অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মকে । তিনি এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন । এখনকার লড়াই দারিদ্র্য ও মারণ ব্যধি ক্যানসারের সঙ্গে । তাই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সরকারি সহায়তায় চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থার জন্য তিনি সাহায্যপ্রার্থী ৷

1973 সালে কাশ্মীরে জন্ম বেবির । বাবা সেনা কর্মী ছিলেন । বেবির বয়স যখন 4 বছর, তখন মা তাঁকে এবং তাঁর মদ্যপ বাবাকে ছেড়ে চলে যান । স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বেবি ও তাঁর ভাইবোনদের নিয়ে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা । পরবর্তীতে দুর্গাপুরে বসবাস শুরু করেন তাঁরা । বেবির বাবা পুনরায় বিয়ে করেন । এর পরেই সৎ মায়ের অত্যাচার শুরু হয় বেবি ও ভাইবোনের উপর ।

বেবি পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, ষষ্ঠ শ্রেণির পর তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হয় । বেবির বয়স যখন 12, তখন তাঁকে তাঁর থেকে 14 বছরের বড় এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল । সৎ মায়ের অত্যাচারে বেবির অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে অল্প বয়সে বিয়ে করেও তিনি খুশি ছিলেন । বিয়ের সময় তিনি তাঁর এক বান্ধবীকে বলেছিলেন, "ভালো হয়েছে, আমি বিয়ে করছি । এখন অন্তত পেট ভরে খাবার পাব ।" কিন্তু, বেবি আন্দাজ করতে পারেননি যে, তাঁর জীবন চালিত হতে চলেছে আরও অন্ধকারের পথে ৷

বিয়ের তিন-চার দিন পর 12 বছরের বেবিকে ধর্ষণ করেন তাঁর স্বামী । সঙ্গে চলতে থাকে মারধর ৷ এ সব সহ্য করেই 13 বছর বয়সে সন্তানের মা হন বেবি । তাঁর বয়স যখন 15 বছর, তখন তিনি 3 সন্তানের মা । প্রায় প্রতিদিনই স্বামীর লাঞ্ছনা ও মারধরের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে । একদিন বেবিকে গ্রামের অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন তাঁর স্বামী । রাগের চোটে বেবির মাথায় পাথর দিয়ে রক্তাক্ত করেন তাঁর স্বামী । যত সময় গড়াতে থাকে, ততই তার পক্ষে এ সব অসহ্য হয়ে উঠতে থাকে ৷

Baby Halder
বেবি হালদার

অবশেষে 1999 সালে বেবি তাঁর তিনটি সন্তানের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যান । যদিও তিনি জানতেন না যে, তিনি কোথায় যাবেন ৷ কিন্তু নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ নাম-গন্তব্য না জানা ট্রেনে উঠে পড়েন বেবি । সন্তানদের নিয়ে ট্রেনের শৌচালয়ে বসেছিলেন । তাঁর ভাগ্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় । এখান থেকে তিনি পৌঁছেছেন গুরগাঁও । সে শহর এবং সেখানকার মানুষজন বেবির কাছে সম্পূর্ণ অজানা ৷ তা সত্ত্বেও তিনি শান্তিতে ছিলেন ৷ অন্তত সেখানে ছিল না তাঁর স্বামীর অত্যাচার ৷ বেবি তার তিন সন্তানকে নিয়ে একটি কুঁড়েঘরে বাস করা শুরু করেন ৷ আর বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ শুরু করেন তিনি ৷

জীবনটা কোনওরকমে কেটে যাচ্ছিল । সংগ্রামের এই দিনগুলিতে, তাঁর ভাগ্য তাঁকে হিন্দি সাহিত্যের জনক মুন্সি প্রেমচাঁদের নাতি প্রবোধ কুমারের দোরগোড়ায় নিয়ে আসে । প্রবোধ কুমার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক । বেবি তাঁর বাড়িতে কাজ চাইতে গিয়েছিলেন । কিন্তু, বেবি জানতেন না যে, তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনগুলির দরজায় কড়া নাড়ছে ৷

ইটিভি ভারতকে বেবি জানান, প্রবোধ কুমারের বাড়িতে ঝাড়ু দেওয়ার সময় তাঁর বাড়িতে রাখা বইগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতেন । বেবির এই কাজটা প্রবোধ সব সময় খেয়াল করতেন । একদিন বেবির জন্য একটা খাতা-কলম নিয়ে এসে তিনি বললেন, "নিজের সম্পর্কে লিখুন ৷ ভুল হলে কিছু যায় আসে না । শুধু লিখতে থাকুন ।"

প্রবোধ কুমারের পরামর্শে বেবি লিখতে শুরু করেন । এখন তাঁর লেখার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে । তিনি রান্নার সময়ও তাঁর সঙ্গে খাতা কলম রাখতে শুরু করেন । বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ার পর গভীর রাত পর্যন্ত লিখতেন । তিনি তাঁর মনের সব কিছু লিখে রেখেছিলেন । একদিন এমন হল যে, তাঁর লেখার অভ্যেসের কারণে, বাড়িতে কাজ করা বেবি তাঁর পুরো জীবনী লিখে ফেলেন । সেটি প্রবোধকে দেখালেন তিনি । বেবি যা লিখেছিলেন তা বাংলায়, প্রবোধ সেটির হিন্দি অনুবাদ করে 'আলো আঁধারী' নামে একটি বই প্রকাশ করেন ৷

বেবির এই জীবনী বাজারে প্রকাশ পেতেই পাঠকরা তা সাদরে গ্রহণ করে । বেবি বলেন, একের পর এক বইয়ের কত সংস্করণ বিক্রি হয়েছে জানি না । এই বইটি আসার কয়েক বছর পরে, ঊর্বশী বুটালি নামে একজন লেখক সেই বইটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন । নাম দেন 'আ লাইফ লেস অর্ডিনারি'। এই ইংরেজি সংস্করণের জন্য বইটি সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেয় । পরে বহু ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এই বই । এভাবেই একজন পরিচারিকা হয়ে গেলেন বিশ্ব বিখ্যাত লেখক ।

বেবি আলো আঁধারী-সহ তিনটি বই লিখেছেন । বিশ্বের নানা সাহিত্য উৎসবে তিনি আমন্ত্রিত হন । এখন বেবির লেখার এমন অভ্যেস হয়ে গিয়েছে যে, না লিখে থাকতে পারেন না । ইটিভি ভারতকে তিনি জানান, নতুন করে আবারও একটি বই লিখছেন । পাণ্ডুলিপি আছে । আগের তিনটি বইয়ের রয়্যালটির টাকায় হালিশহরে জমি কিনে ঘর করেছেন । তাঁর বড় ছেলে বাবার কাছে চলে গিয়েছে । ছোট ছেলে বেকার । মেয়ে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন ।

এ সবের মাঝেই জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়েছে বেবির । আরজি কর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারলেও ঔষধের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন । সম্প্রতি রাজ্যের রাজ্যপাল তাঁর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বেবিকে আমন্ত্রণ করেন । অনুষ্ঠান শেষে কয়েক হাজার টাকার চেক লিখে দিয়েছেন তিনি । কিন্তু, তা দিয়ে অদূর ভবিষ্যত চলবে না । তাই বিকল্পের সন্ধানে আছেন বেবি হালদার ।

আরও পড়ুন: রাজা রামমোহন রায়ের 251তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ সম্মান অভিনেত্রীকে

কলকাতা, 22 মে: বেবি হালদার । বয়স 50 বছর । বিশ্বের মানুষ তাঁকে চেনেন তাঁর সৃষ্টি 'আলো আঁধারী'র জন্য । তাঁর বই 26টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে । তাঁর বইতে বর্ণিত হয়েছে তাঁর জীবন কাহিনী । সেই কাহিনীতে বেবি হালদারের পরিবর্তে অন্য কেউ থাকলে হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতেন । কিন্তু, না । বেবি আত্মহত্যা করেননি । হাল ছাড়েনি তিনি । পরিচারিকার কাজ করে তিনি আলো জালিয়েছেন নিজের জীবনে । একই ভাবে তাঁর লড়াই অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মকে । তিনি এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন । এখনকার লড়াই দারিদ্র্য ও মারণ ব্যধি ক্যানসারের সঙ্গে । তাই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সরকারি সহায়তায় চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থার জন্য তিনি সাহায্যপ্রার্থী ৷

1973 সালে কাশ্মীরে জন্ম বেবির । বাবা সেনা কর্মী ছিলেন । বেবির বয়স যখন 4 বছর, তখন মা তাঁকে এবং তাঁর মদ্যপ বাবাকে ছেড়ে চলে যান । স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর বেবি ও তাঁর ভাইবোনদের নিয়ে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা । পরবর্তীতে দুর্গাপুরে বসবাস শুরু করেন তাঁরা । বেবির বাবা পুনরায় বিয়ে করেন । এর পরেই সৎ মায়ের অত্যাচার শুরু হয় বেবি ও ভাইবোনের উপর ।

বেবি পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, ষষ্ঠ শ্রেণির পর তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হয় । বেবির বয়স যখন 12, তখন তাঁকে তাঁর থেকে 14 বছরের বড় এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল । সৎ মায়ের অত্যাচারে বেবির অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে অল্প বয়সে বিয়ে করেও তিনি খুশি ছিলেন । বিয়ের সময় তিনি তাঁর এক বান্ধবীকে বলেছিলেন, "ভালো হয়েছে, আমি বিয়ে করছি । এখন অন্তত পেট ভরে খাবার পাব ।" কিন্তু, বেবি আন্দাজ করতে পারেননি যে, তাঁর জীবন চালিত হতে চলেছে আরও অন্ধকারের পথে ৷

বিয়ের তিন-চার দিন পর 12 বছরের বেবিকে ধর্ষণ করেন তাঁর স্বামী । সঙ্গে চলতে থাকে মারধর ৷ এ সব সহ্য করেই 13 বছর বয়সে সন্তানের মা হন বেবি । তাঁর বয়স যখন 15 বছর, তখন তিনি 3 সন্তানের মা । প্রায় প্রতিদিনই স্বামীর লাঞ্ছনা ও মারধরের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে । একদিন বেবিকে গ্রামের অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন তাঁর স্বামী । রাগের চোটে বেবির মাথায় পাথর দিয়ে রক্তাক্ত করেন তাঁর স্বামী । যত সময় গড়াতে থাকে, ততই তার পক্ষে এ সব অসহ্য হয়ে উঠতে থাকে ৷

Baby Halder
বেবি হালদার

অবশেষে 1999 সালে বেবি তাঁর তিনটি সন্তানের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যান । যদিও তিনি জানতেন না যে, তিনি কোথায় যাবেন ৷ কিন্তু নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন তিনি ৷ নাম-গন্তব্য না জানা ট্রেনে উঠে পড়েন বেবি । সন্তানদের নিয়ে ট্রেনের শৌচালয়ে বসেছিলেন । তাঁর ভাগ্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় । এখান থেকে তিনি পৌঁছেছেন গুরগাঁও । সে শহর এবং সেখানকার মানুষজন বেবির কাছে সম্পূর্ণ অজানা ৷ তা সত্ত্বেও তিনি শান্তিতে ছিলেন ৷ অন্তত সেখানে ছিল না তাঁর স্বামীর অত্যাচার ৷ বেবি তার তিন সন্তানকে নিয়ে একটি কুঁড়েঘরে বাস করা শুরু করেন ৷ আর বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ শুরু করেন তিনি ৷

জীবনটা কোনওরকমে কেটে যাচ্ছিল । সংগ্রামের এই দিনগুলিতে, তাঁর ভাগ্য তাঁকে হিন্দি সাহিত্যের জনক মুন্সি প্রেমচাঁদের নাতি প্রবোধ কুমারের দোরগোড়ায় নিয়ে আসে । প্রবোধ কুমার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক । বেবি তাঁর বাড়িতে কাজ চাইতে গিয়েছিলেন । কিন্তু, বেবি জানতেন না যে, তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনগুলির দরজায় কড়া নাড়ছে ৷

ইটিভি ভারতকে বেবি জানান, প্রবোধ কুমারের বাড়িতে ঝাড়ু দেওয়ার সময় তাঁর বাড়িতে রাখা বইগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতেন । বেবির এই কাজটা প্রবোধ সব সময় খেয়াল করতেন । একদিন বেবির জন্য একটা খাতা-কলম নিয়ে এসে তিনি বললেন, "নিজের সম্পর্কে লিখুন ৷ ভুল হলে কিছু যায় আসে না । শুধু লিখতে থাকুন ।"

প্রবোধ কুমারের পরামর্শে বেবি লিখতে শুরু করেন । এখন তাঁর লেখার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে । তিনি রান্নার সময়ও তাঁর সঙ্গে খাতা কলম রাখতে শুরু করেন । বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ার পর গভীর রাত পর্যন্ত লিখতেন । তিনি তাঁর মনের সব কিছু লিখে রেখেছিলেন । একদিন এমন হল যে, তাঁর লেখার অভ্যেসের কারণে, বাড়িতে কাজ করা বেবি তাঁর পুরো জীবনী লিখে ফেলেন । সেটি প্রবোধকে দেখালেন তিনি । বেবি যা লিখেছিলেন তা বাংলায়, প্রবোধ সেটির হিন্দি অনুবাদ করে 'আলো আঁধারী' নামে একটি বই প্রকাশ করেন ৷

বেবির এই জীবনী বাজারে প্রকাশ পেতেই পাঠকরা তা সাদরে গ্রহণ করে । বেবি বলেন, একের পর এক বইয়ের কত সংস্করণ বিক্রি হয়েছে জানি না । এই বইটি আসার কয়েক বছর পরে, ঊর্বশী বুটালি নামে একজন লেখক সেই বইটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন । নাম দেন 'আ লাইফ লেস অর্ডিনারি'। এই ইংরেজি সংস্করণের জন্য বইটি সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেয় । পরে বহু ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এই বই । এভাবেই একজন পরিচারিকা হয়ে গেলেন বিশ্ব বিখ্যাত লেখক ।

বেবি আলো আঁধারী-সহ তিনটি বই লিখেছেন । বিশ্বের নানা সাহিত্য উৎসবে তিনি আমন্ত্রিত হন । এখন বেবির লেখার এমন অভ্যেস হয়ে গিয়েছে যে, না লিখে থাকতে পারেন না । ইটিভি ভারতকে তিনি জানান, নতুন করে আবারও একটি বই লিখছেন । পাণ্ডুলিপি আছে । আগের তিনটি বইয়ের রয়্যালটির টাকায় হালিশহরে জমি কিনে ঘর করেছেন । তাঁর বড় ছেলে বাবার কাছে চলে গিয়েছে । ছোট ছেলে বেকার । মেয়ে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন ।

এ সবের মাঝেই জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়েছে বেবির । আরজি কর হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারলেও ঔষধের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন । সম্প্রতি রাজ্যের রাজ্যপাল তাঁর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বেবিকে আমন্ত্রণ করেন । অনুষ্ঠান শেষে কয়েক হাজার টাকার চেক লিখে দিয়েছেন তিনি । কিন্তু, তা দিয়ে অদূর ভবিষ্যত চলবে না । তাই বিকল্পের সন্ধানে আছেন বেবি হালদার ।

আরও পড়ুন: রাজা রামমোহন রায়ের 251তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ সম্মান অভিনেত্রীকে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.