ETV Bharat / state

কোরোনা রোগীকে নেগেটিভ বলে ছুটি দিল হাসপাতাল ? পুনরায় ভরতির পরে মৃত্যু

author img

By

Published : Apr 29, 2020, 8:50 AM IST

প্রথমে স্বাস্থ্য ভবন জানায়, রোগীর কোরোনা পজ়িটিভ । পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর ফের স্বাস্থ্য ভবন জানায় রিপোর্ট পজ়িটিভ । গতকাল রোগীর মৃত্যু হয় MR বাঙুরে । এবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তির অভিযোগ পরিবারের ।

ছবি
ছবি

কলকাতা, 29 এপ্রিল : প্রথমে বলা হয়েছিল রিপোর্ট পজ়িটিভ, তার পর বলা হয় নেগেটিভ । হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হয় রোগীকে । পরে ফের জানানো হয়, রিপোর্ট পজ়িটিভ । বাড়ি থেকে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে । এর পরে রোগীর মৃত্যু হয় । COVID-19-এর রিপোর্টের বিষয়ে এমনই বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে MR বাঙুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে । যদিও এই অভিযোগ সত্যি কি না, সেবিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

68 বছর বয়সি এই রোগী আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা। পয়লা বৈশাখের পর থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন । স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় MR বাঙুর হাসপাতালে । গত বুধবার বাঙুরে তাঁকে ভরতি করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, শনিবার এই রোগীর ছেলেকে স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর বাবার সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে । পরের দিন স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারানটিনে থাকতেও বলা হয় । কিন্তু ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ রবিবার, 26 এপ্রিল বিকালে MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে এই রোগীর ছেলেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর বাবার সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । তাঁর বাবাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে ‌। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথামতো ওইদিন রাতেই রোগীকে MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ।

এরপর সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে এই রোগীর পরিবারের সদস্যদের কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয় । তখন তাঁর ছেলে জানান, বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, হাসপাতাল থেকে তাঁর বাবাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । এরপরে স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে জানানো হয়, এই রোগীর রিপোর্ট পজ়িটিভ । এই রোগীকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হবে । ওইদিন রাতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয় । ফের তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় MR বাঙুর হাসপাতালে ।

হাসপাতাল থেকে এরপর মাঝরাতে ফোন করে জানানো হয়, রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় । এর পরের দিন অর্থাৎ গতকাল সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর মৃত্যু হয়েছে । পরিবারের অভিযোগ, আগের দিন রাতে যে রোগী হেঁটে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে হাসপাতালে গেলেন, পরের দিন সকালে তাঁর মৃত্যুর কথা শুনতে হল । এটা কীভাবে সম্ভব ? তাদের আরও বক্তব্য, হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর বাড়িতে রোগীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন । রিপোর্টের এমন বিভ্রান্তির জেরে তাঁদেরকেও তো বিপদে পড়তে হতে পারে । হোম কোয়ারানটিনে থাকায় পুরো বিষয়টাই তাঁরা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছেন ।

এদিকে, এই অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় । তিনি ফোন ধরেননি । জানা গেছে, এই অভিযোগ সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দপ্তর ।

কলকাতা, 29 এপ্রিল : প্রথমে বলা হয়েছিল রিপোর্ট পজ়িটিভ, তার পর বলা হয় নেগেটিভ । হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হয় রোগীকে । পরে ফের জানানো হয়, রিপোর্ট পজ়িটিভ । বাড়ি থেকে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে । এর পরে রোগীর মৃত্যু হয় । COVID-19-এর রিপোর্টের বিষয়ে এমনই বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে MR বাঙুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে । যদিও এই অভিযোগ সত্যি কি না, সেবিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

68 বছর বয়সি এই রোগী আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা। পয়লা বৈশাখের পর থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন । স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় MR বাঙুর হাসপাতালে । গত বুধবার বাঙুরে তাঁকে ভরতি করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, শনিবার এই রোগীর ছেলেকে স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর বাবার সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে । পরের দিন স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারানটিনে থাকতেও বলা হয় । কিন্তু ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ রবিবার, 26 এপ্রিল বিকালে MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে এই রোগীর ছেলেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর বাবার সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । তাঁর বাবাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে ‌। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথামতো ওইদিন রাতেই রোগীকে MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ।

এরপর সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে এই রোগীর পরিবারের সদস্যদের কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয় । তখন তাঁর ছেলে জানান, বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, হাসপাতাল থেকে তাঁর বাবাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । এরপরে স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন করে জানানো হয়, এই রোগীর রিপোর্ট পজ়িটিভ । এই রোগীকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হবে । ওইদিন রাতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয় । ফের তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় MR বাঙুর হাসপাতালে ।

হাসপাতাল থেকে এরপর মাঝরাতে ফোন করে জানানো হয়, রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় । এর পরের দিন অর্থাৎ গতকাল সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর মৃত্যু হয়েছে । পরিবারের অভিযোগ, আগের দিন রাতে যে রোগী হেঁটে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে হাসপাতালে গেলেন, পরের দিন সকালে তাঁর মৃত্যুর কথা শুনতে হল । এটা কীভাবে সম্ভব ? তাদের আরও বক্তব্য, হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর বাড়িতে রোগীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন । রিপোর্টের এমন বিভ্রান্তির জেরে তাঁদেরকেও তো বিপদে পড়তে হতে পারে । হোম কোয়ারানটিনে থাকায় পুরো বিষয়টাই তাঁরা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছেন ।

এদিকে, এই অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় । তিনি ফোন ধরেননি । জানা গেছে, এই অভিযোগ সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দপ্তর ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.