কলকাতা, 10 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Bengal Recruitment Scam) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে গ্রেফতার করল ইডি (ED) । শুক্রবার বেলা 12টায় সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে ঢোকেন শান্তনু । শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সঠিক কী ? এর আগে কুন্তল ঘোষকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন যে তিনিও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ৷
ইডি সূত্রে খবর, চাকরি নিয়ে কত টাকায় রফা হবে ও কোন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে কত টাকা কীভাবে নেওয়া হবে, তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতেন শান্তনু । শান্তনুকে সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন তদন্তকারীরা । তবে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি ৷ অন্যদিকে ইডি আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেন ৷ তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ আগামিকাল, শনিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে ৷ তাঁকে হেফাজতে চাইবে ইডি ৷
সূত্রের খবর, এর আগে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উঠে আসে । এই সব নথিপত্র ঘেঁটে তদন্তকারীরা একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে পারেন । জানা যায়, মূলত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা এবং তিনি তাঁর প্রভাব ও প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অনৈতিক কাজ করেছিলেন ।
কুন্তল ঘোষও ছিলেন হুগলি যুব তৃণমূল নেতা । মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম থেকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ও সিবিআইকে (CBI) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন । এই তাপস মণ্ডলের মুখ থেকেই প্রথম কুন্তল ঘোষের নাম পরিচয় জানা যায় । এরপর কুন্তলের হুগলির বাড়ি ও নিউটনের আবাসনে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি ৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করে ৷
ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ এক সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুক্ত ছিলেন । তাই শান্তনুকে হেফাজতে নিয়ে কুন্তলের বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারেন তদন্তকারীরা ৷ প্রয়োজনে কুন্তল ও শান্তনুকে মুখোমুখিও জেরার জন্য বসানো হতে পারে ৷
আরও পড়ুন: কুন্তল, নীলাদ্রি ও তাপসের জামিনের আবেদন খারিজ আলিপুর বিশেষ আদালতের