কলকাতা, 12 মে : হুগলির তেলেনিপাড়ার ঘটনা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানা ধরনের পোস্ট চলছে । ছড়ানো হচ্ছে গুজবও । লকডাউনের সময়ও চলছে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা । এই বিষয়টিতে পুলিশকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র দপ্তর । কলকাতা পুলিশ-সহ গোটা রাজ্যের পুলিশকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর । বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সাইবার সেলকে ।
কোরোনা নিয়ে আতঙ্কের আবহে এমনিতেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে নানা ধরনের গুজব । মাঝেমধ্যেই পোস্ট করা হয়েছে মেটিয়াব্রুজ, গার্ডেনরিচ কিংবা খিদিরপুরের নামে ফেক ভিডিয়ো । সেই সব ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে । অভিযোগ ওঠে, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই ছড়ানো হচ্ছে ওই সব ফেক ভিডিয়ো । এরই মাঝে রবিবার হুগলির তেলেনিপাড়ায় দু'টি গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল বচসা হয় । অভিযোগ, কিছু বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় । এমনকী, বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে । ভাঙচুর চালানো হয় কয়েকটি গাড়িতে । লুটপাট চালানো হয় সোনার দোকানে । ঘটনার জের এখনও রয়েছে । ইতিমধ্যে সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে শান্তি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন ।
ঘটনাটির ছবি দিয়ে টুইট করেন BJP-র সাইবার সেলের প্রধান অমিত মালব্য । সেই টুইট বাবুল সুপ্রিয়-সহ অনেকেই রিটুইট করেছেন । এই বিষয়ে আজ নবান্নে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "কয়েকটি রাজ্যে কেউ কিছু বললেই তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে । সাংবাদিকদেরও ছাড়া হচ্ছে না । সেখানে এরাজ্যে কিছুই হয় না । অথচ আপনাদের কিছু নেতা এখনও হিন্দু-মুসলিম করছেন । সেটা করবেন না । এসব ঘটনা নিয়ে যাঁরা উত্তেজক টুইট করছেন, তাঁদের কী হবে সেটা মানুষের হাতেই ছেড়ে দিলাম ।"
তবে সূত্রের খবর, এইসব ঘটনা নিয়ে যাতে কোনওভাবেই সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো না হয়, ইতিমধ্যেই তা দেখতে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে । প্রয়োজনে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ।