কলকাতা, 25 মে: আজ জামাইদের মহাভোজের দিন ৷ পাতে থাকবে নাকি ইলিশ ? তবে এবারের জামাইষষ্ঠীতে বর্ষা আসেনি ৷ তাই ষষ্ঠীর বাজারে পদ্মার ইলিশ নেই ৷ মায়ানমার ইলিশেই রসনা তৃপ্তি করতে হবে জামাইদের ৷ হয়তো একে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো বলে ৷
জামাইষষ্ঠীর দিনে জামাইয়ের পাতে ইলিশ দিতে চান না, এমন শ্বশুর-শাশুড়ির সংখ্যা হাতে গোনা ৷ তবে এখন ভালো মানের আর ঠিকঠাক সাইজের ইলিশের স্বাদ-গন্ধ পাওয়া মুশকিল ৷ কারণ কলকাতার বাজারে এই মুহূর্তে এমন সুস্বাদু ইলিশের বেজায় অভাব ৷ জামাইষষ্ঠীতে কলকাতার বাজারে নেই ভালো মানের বাংলাদেশি ইলিশ ৷ হিমঘরে থাকা বাংলাদেশ ও রাজ্যের ইলিশ রয়েছে সামান্যই।
বাংলাদেশি ইলিশ নেই ৷ তবে বাজারে ইলিশ নেই, তেমনটা নয় ৷ এখন কলকাতা এবং তার লাগোয়া শহরতলির বাজারগুলিতে মিলছে মায়ানমারের ইলিশ ৷ পূর্ববঙ্গ বা পশ্চিমবঙ্গের ইলিশের যে স্বাদ, তার সঙ্গে এই ইলিশের তুলনা চলে না ৷ এদিকে বাঙালির হাতে অন্য কোনও মায়ানমার ছাড়া গতি নেই ৷ তাই একরকম বাধ্য হয়েই বাজারে গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির দল যা কিনছেন, তার বেশিরভাগটাই মায়ানমার থেকে আমদানিকৃত ৷
এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিশ ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (হিলসা) সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস জানান, জামাইষষ্ঠীতে প্রতি বছর গৃহস্থেরা জামাইয়ের পাতে ইলিশ তুলে দিতে চান ৷ আর সে কারণে এই সময় ইলিশের চাহিদা বেশি থাকে ৷ জামাইষষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই আগের বছর থেকে ইলিশ মজুত করে রাখা হয় হিমঘরে ৷ কিছুটা অবশ্য আসে অন্য দেশ থেকে ৷ এ বছর হিমঘরের ইলিশ বের করা হয়েছে ভালো পরিমাণেই ৷ দামটা কিছুটা চড়া থাকলেও চাহিদার কথা মাথায় রেখে জামাইষষ্ঠীর জন্য প্রায় 80 টন ইলিশ বাজারে এসেছে ৷ তবে এই ইলিশের 80 শতাংশই মায়ানমারের ৷ বাকিটা বাংলাদেশ ও এ রাজ্যের ৷
স্বাভাবিক যে, এই তথ্য শুনে অনেক খাদ্যরসিক কিছুটা নিরাশ হবেন ৷ ভাজা, ভাপা, পাতুরিতে ভালো মানের ইলিশ না পেলে অনেক জামাইয়ের মন খারাপ হয় ৷ তবে উপায় নেই ৷ এবছর দুধের স্বাদ ঘোলেই মিটিয়ে জামাইয়ের পাতরক্ষা করতে হবে ৷
আরও পড়ুন: ইলিশকে ছাপিয়ে গেল চিংড়ি, দেখে নিন জামাই ষষ্ঠীর বাজারদর