কলকাতা, 29 জুন : বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে আবার খুলতে পারে ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকালই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে এই ছাড়পত্র পায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । কলেজগুলি এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী ফের যাতে ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল খুলতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পাঠানো সেই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়েছে । আবেদন না করলেও একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি ।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে চলছে ভরতি প্রক্রিয়া । 7 জুলাই পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে চলবে এই ভরতি প্রক্রিয়া । অনেক কলেজে যে এখনও বহু আসন ফাঁকা আছে তা ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে গেছে । জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের জেনেরাল আসনে 80 শতাংশ ভরতি সম্পূর্ণ হয়েছে । রিজ়ার্ভেশনে এখনও অনেক আসন ফাঁকা আছে । আর জেনেরালে যে কয়েকটা আসন বাকি আছে আশা করছি তা পূরণ করতে পারব । এখনও তো কয়েকটা দিন বাকি আছে । রিজ়ার্ভেশনটা তো তিন বার করে দিতে হয় । তারপরে ডি-রিজ়ার্ভ করে জেনেরাল করতে হয় । তাতেই বড় ফাঁকা দেখায়।"
মুরলিধর কলেজ ফর গার্লসের অধ্যক্ষা কিঞ্জনকিনি বিশ্বাস বলেন, "জেনেরাল হচ্ছে বেশিরভাগটাই । হয়তো 10 শতাংশ মতো ফাঁকা আছে । সংস্কৃত, দর্শনের মতো কয়েকটা বিষয় হচ্ছে না । রিজ়ার্ভ ক্যাটাগরিতে প্রায় 40 শতাংশের মতো আসন ফাঁকা আছে । বাকিটা ক্লাস শুরু হলে বোঝা যাবে । সবাই হয়তো চার-পাঁচটা কলেজে ভরতির জন্য আবেদন করছে । ভেরিফিকেশনেই বুঝতে পারব ঠিক কতজন আসছে । সিট ফাঁকা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে । তাই আবার পোর্টাল ওপেন করার কথা হয়েছে । আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছি ।"
অধিকাংশ কলেজেই 5 থেকে 6টি মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ফাঁকা রয়ে গেছে বহু আসন । বেশিরভাগই তার মধ্যে সংরক্ষিত । আবার যারা ভরতি হচ্ছেন তাঁরাও শেষ পর্যন্ত আসবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । এইসব কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন । গতকাল সেই চিঠির উত্তর দেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর । জানানো হয় প্রয়োজন হলে আবার পোর্টাল খোলাতে তাদের আপত্তি নেই ।
আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অনেক কলেজের বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে । সেই সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিলাম । সেই কারণে 2019-20 শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ভরতির জন্য পোর্টাল রি-ওপেন করার অনুমতি চেয়েছিলাম । গতকাল সেই চিঠির উত্তর দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর । সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, 2019-20 শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে প্রথম বর্ষের ফাঁকা আসন ভরতি করার জন্য আবার অ্যাডমিশন পোর্টাল ওপেন করা যেতে পারে ।"
আবেদন না করলেও একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি । স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরি বলেন, "আমরা আবেদন করিনি । সম্ভবত আবেদনটা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গেছে । গতকাল সন্ধে 7টা নাগাদ দপ্তরের কাছ থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে । আমরা কলেজগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছি । কলেজগুলো আসনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে পোর্টাল ওপেন করবে ।"