ETV Bharat / state

কলেজে ফাঁকা বহু আসন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ফের ভরতির পোর্টাল খোলার অনুমতি দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর

কলেজে এখনও ফাঁকা বহু আসন । তাই ফের ভরতির পোর্টাল খোলার অনুমতি দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর ।

বিকাশ ভবন
author img

By

Published : Jun 29, 2019, 11:35 PM IST

কলকাতা, 29 জুন : বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে আবার খুলতে পারে ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকালই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে এই ছাড়পত্র পায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । কলেজগুলি এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী ফের যাতে ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল খুলতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পাঠানো সেই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়েছে । আবেদন না করলেও একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি ।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে চলছে ভরতি প্রক্রিয়া । 7 জুলাই পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে চলবে এই ভরতি প্রক্রিয়া । অনেক কলেজে যে এখনও বহু আসন ফাঁকা আছে তা ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে গেছে । জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের জেনেরাল আসনে 80 শতাংশ ভরতি সম্পূর্ণ হয়েছে । রিজ়ার্ভেশনে এখনও অনেক আসন ফাঁকা আছে । আর জেনেরালে যে কয়েকটা আসন বাকি আছে আশা করছি তা পূরণ করতে পারব । এখনও তো কয়েকটা দিন বাকি আছে । রিজ়ার্ভেশনটা তো তিন বার করে দিতে হয় । তারপরে ডি-রিজ়ার্ভ করে জেনেরাল করতে হয় । তাতেই বড় ফাঁকা দেখায়।"

মুরলিধর কলেজ ফর গার্লসের অধ্যক্ষা কিঞ্জনকিনি বিশ্বাস বলেন, "জেনেরাল হচ্ছে বেশিরভাগটাই । হয়তো 10 শতাংশ মতো ফাঁকা আছে । সংস্কৃত, দর্শনের মতো কয়েকটা বিষয় হচ্ছে না । রিজ়ার্ভ ক্যাটাগরিতে প্রায় 40 শতাংশের মতো আসন ফাঁকা আছে । বাকিটা ক্লাস শুরু হলে বোঝা যাবে । সবাই হয়তো চার-পাঁচটা কলেজে ভরতির জন্য আবেদন করছে । ভেরিফিকেশনেই বুঝতে পারব ঠিক কতজন আসছে । সিট ফাঁকা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে । তাই আবার পোর্টাল ওপেন করার কথা হয়েছে । আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছি ।"

অধিকাংশ কলেজেই 5 থেকে 6টি মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ফাঁকা রয়ে গেছে বহু আসন । বেশিরভাগই তার মধ্যে সংরক্ষিত । আবার যারা ভরতি হচ্ছেন তাঁরাও শেষ পর্যন্ত আসবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । এইসব কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন । গতকাল সেই চিঠির উত্তর দেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর । জানানো হয় প্রয়োজন হলে আবার পোর্টাল খোলাতে তাদের আপত্তি নেই ।

আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অনেক কলেজের বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে । সেই সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিলাম । সেই কারণে 2019-20 শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ভরতির জন্য পোর্টাল রি-ওপেন করার অনুমতি চেয়েছিলাম । গতকাল সেই চিঠির উত্তর দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর । সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, 2019-20 শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে প্রথম বর্ষের ফাঁকা আসন ভরতি করার জন্য আবার অ্যাডমিশন পোর্টাল ওপেন করা যেতে পারে ।"

আবেদন না করলেও একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি । স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরি বলেন, "আমরা আবেদন করিনি । সম্ভবত আবেদনটা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গেছে । গতকাল সন্ধে 7টা নাগাদ দপ্তরের কাছ থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে । আমরা কলেজগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছি । কলেজগুলো আসনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে পোর্টাল ওপেন করবে ।"

কলকাতা, 29 জুন : বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে আবার খুলতে পারে ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকালই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে এই ছাড়পত্র পায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । কলেজগুলি এই ছাড়পত্রের ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী ফের যাতে ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল খুলতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পাঠানো সেই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়েছে । আবেদন না করলেও একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি ।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে চলছে ভরতি প্রক্রিয়া । 7 জুলাই পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে চলবে এই ভরতি প্রক্রিয়া । অনেক কলেজে যে এখনও বহু আসন ফাঁকা আছে তা ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে গেছে । জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের জেনেরাল আসনে 80 শতাংশ ভরতি সম্পূর্ণ হয়েছে । রিজ়ার্ভেশনে এখনও অনেক আসন ফাঁকা আছে । আর জেনেরালে যে কয়েকটা আসন বাকি আছে আশা করছি তা পূরণ করতে পারব । এখনও তো কয়েকটা দিন বাকি আছে । রিজ়ার্ভেশনটা তো তিন বার করে দিতে হয় । তারপরে ডি-রিজ়ার্ভ করে জেনেরাল করতে হয় । তাতেই বড় ফাঁকা দেখায়।"

মুরলিধর কলেজ ফর গার্লসের অধ্যক্ষা কিঞ্জনকিনি বিশ্বাস বলেন, "জেনেরাল হচ্ছে বেশিরভাগটাই । হয়তো 10 শতাংশ মতো ফাঁকা আছে । সংস্কৃত, দর্শনের মতো কয়েকটা বিষয় হচ্ছে না । রিজ়ার্ভ ক্যাটাগরিতে প্রায় 40 শতাংশের মতো আসন ফাঁকা আছে । বাকিটা ক্লাস শুরু হলে বোঝা যাবে । সবাই হয়তো চার-পাঁচটা কলেজে ভরতির জন্য আবেদন করছে । ভেরিফিকেশনেই বুঝতে পারব ঠিক কতজন আসছে । সিট ফাঁকা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে । তাই আবার পোর্টাল ওপেন করার কথা হয়েছে । আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছি ।"

অধিকাংশ কলেজেই 5 থেকে 6টি মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ফাঁকা রয়ে গেছে বহু আসন । বেশিরভাগই তার মধ্যে সংরক্ষিত । আবার যারা ভরতি হচ্ছেন তাঁরাও শেষ পর্যন্ত আসবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । এইসব কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন । গতকাল সেই চিঠির উত্তর দেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর । জানানো হয় প্রয়োজন হলে আবার পোর্টাল খোলাতে তাদের আপত্তি নেই ।

আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অনেক কলেজের বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে । সেই সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিলাম । সেই কারণে 2019-20 শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ভরতির জন্য পোর্টাল রি-ওপেন করার অনুমতি চেয়েছিলাম । গতকাল সেই চিঠির উত্তর দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর । সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, 2019-20 শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে প্রথম বর্ষের ফাঁকা আসন ভরতি করার জন্য আবার অ্যাডমিশন পোর্টাল ওপেন করা যেতে পারে ।"

আবেদন না করলেও একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি । স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরি বলেন, "আমরা আবেদন করিনি । সম্ভবত আবেদনটা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গেছে । গতকাল সন্ধে 7টা নাগাদ দপ্তরের কাছ থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে । আমরা কলেজগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছি । কলেজগুলো আসনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে পোর্টাল ওপেন করবে ।"

Intro:কলকাতা, ২৯ জুন: বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে আবার খুলতে পারে ভর্তির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকালই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এমন ছাড়পত্র পেয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে। ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পাঠানো সেই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে কলেজগুলি এই ছাড়পত্র দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী আবার ভর্তির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল খুলতে পারে। তবে, আবেদন না করেও একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি।

Body:চলছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া। ৭ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে। কিন্তু, ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে গেছে অনেক কলেজে এখনও ফাঁকা বহু আসন। জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের তো হয়ে গেছে ৮০ শতাংশ জেনারেলে। রিজার্ভেশনে একটু বেশিভাবে বাকি আছে। জেনারেলে যা আসন আছে তার ৭০-৮০ শতাংশ আমরা পূরণ করে ফেলেছি। এখনও তো কয়েকটা দিন বাকি আছে। আশা করছি পূরণ করে ফেলতে পারব। রিজার্ভেরটা তো তিন বার করে দিতে হয় তারপরে ডি-রিজার্ভ করে জেনারেল করতে হয়। তাতেই বড় ফাঁকা দেখায়।" মুরলীধর কলেজ ফর গার্লসের অধ্যক্ষা কিঞ্জনকিনি বিশ্বাস বলেন, "জেনারেল হচ্ছে বেশিরভাগটাই। হয়তো ১০ শতাংশ মতো ফাঁকা আছে। সংস্কৃত, ফিলোজপির মতো কয়েকটা বিষয় হচ্ছে না। রিসার্ভ ক্যাটাগরিতে প্রায় ৪০ শতাংশের মতো আসন ফাঁকা আছে। বাকিটা ক্লাস শুরু হলে বোঝা যাবে। সবাই হয়তো চারটে-পাঁচটা কলেজে করছে। ভেরিফিকেশনেই বুঝতে পারব ঠিক কতজন আসছে। এতে সিট ফাঁকা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। তাই আবার পোর্টাল ওপেন করার কথা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছি।"

এইভাবে অধিকাংশ কলেজেই ৫ থেকে ৬টি মেধাতালিকা প্রকাশের পরও ফাঁকা রয়ে গেছে বহু আসন। বেশিরভাগই তার মধ্যে সংরক্ষিত। আবার যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন তাঁরাও শেষ পর্যন্ত আসবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই সব কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। গতকাল সেই চিঠির উত্তরে উচ্চশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে প্রয়োজন হলে আবার পোর্টাল খোলাতে তাঁদের আপত্তি নেই। আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অনেক কলেজের বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে। কারো টেকনিক্যাল সমস্যা, কেউ ভর্তি নিতে পারেনি। কার কী সমস্যা সেগুলো তুলে ধরেছিলাম। সেই কারণে ২০১৯-'২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ভর্তির জন্য পোর্টাল রি-ওপেন করার অনুমতি চেয়েছিলাম।" গতকাল সেই চিঠির উত্তর দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, দপ্তরের কোনও আপত্তি নেই। প্রয়োজন হলে, ২০১৯-'২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে প্রথম বর্ষের ফাঁকা আসন ভর্তি করার জন্য আবার অ্যাডমিশন পোর্টাল ওপেন করা যেতে পারে।

আবেদন না করে একই ছাড়পত্র পেয়েছে স্টেট ইউনিভার্সিটি। স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরী বলেন, "আমরা আবেদন করিনি। সম্ভবত আবেদনটা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে গেছে। গতকাল সন্ধে ৭টা নাগাদ দপ্তরের কাছ থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আমরা কলেজগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছি। কলেজগুলো আসনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে তাঁরা তাঁদের মতো ওপেন করবে।"
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.