বউবাজার, 13 মে : তিন মাস পিছিয়ে গেল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শেষের মেয়াদ (Bowbazar Metro Disaster)। আগামী জানুয়ারিতে শেষ করার পরিবর্তে এপ্রিলে শেষ হবে সেই কাজ বলে পৌরনিগমের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানান কেএমআরসিএল এমডি চন্দ্রেস্বরনাথ ঝাঁ । বউবাজার বিপর্যয় নিয়ে পৌরনিগমের সঙ্গে এদিন উচ্চপর্যায় বৈঠক সারলেন তিনি ।
বউবাজার বিপর্যয় নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হল কলকাতা পৌরনিগমে । এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিল্ডিং বিভাগ ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকরা, কেএমআর সিএল এমডি সিএন ঝাঁ এবং স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ৷ এছাড়া ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই অধ্যাপক ।
আরও পড়ুন : বউবাজারে মেট্রো বিপর্যয়ের ঘরছাড়াদের পুর্নবাসনের দাবি কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র
এদিন বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, "মাটির অবস্থা কী প্রতিদিন নিয়মিত নজর রাখতে হবে । কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছে চারটি রিপোর্ট । আগামী সপ্তাহে কেএমআরসিএল কলকাতা পৌরনিগমের হাতে দেবে রিপোর্ট । কলকাতা পৌরনিগম সেই রিপোর্ট যাদবপুরে পাঠাবে । এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সিভিল ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে পৌরনিগম । এরপরেই বিল্ডিংগুলোর স্বাস্থ্য মূল্যায়ন হবে । গতবার 23টি বাড়ি এবার 7-8টি বাড়ি বিপজ্জনক বলে উঠে এসেছে বৈঠকে । এই সংখ্যা বাড়তে পারে । তবে বিল্ডিং বিভাগ সব রিপোর্ট দেখে বাড়িগুলির স্বাস্থ্য দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে কতগুলো বাড়ি ভাঙা হবে আর কতগুলো থাকবে ।"
এছাড়াও বিপর্যয়ের মুখে পড়া বাসিন্দাদের সঙ্গে কেএমআরসিএল সংস্থা দুর্ব্যবহার করেছে বলে বৈঠকে অভিযোগ আনেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপর সিদ্ধান্ত হয় একটি পিআর টিম থাকবে । সংস্থার তরফে তারা দুঃখ প্রকাশ করবেন ও সমস্যা হলে সেবিষয়গুলো দেখবেন । স্থানীয় কাউন্সিলরের দফতরে আগামিকাল থেকেই বসবে এই টিম । পাশাপাশি বর্ষায় এলাকায় জল জমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । এর কারণ হিসেবে ফিরহাদের দাবি, নির্মাণ কাজের জেরে পৌরনিগমের নিকাশি নালা সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে । সেগুলো ঠিক করতে টাকা দাবি করেছে পৌরনিগম । কেএমআরসিএল জানায়, বিষয়টা তারা খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করবেন । এদিন মেয়রের কথায় স্পষ্ট যে এই ঘটনায় সরাসরি রেলের সঙ্গে কোনও সংঘাতে যাবে না কলকাতা পৌরনিগম । কারণ এই কাজ হলে শহরবাসী উপকৃত হবেন ।