কলকাতা , 20 অক্টোবর : রাজ্যের সমস্ত পুজো মণ্ডপে নো-এন্ট্রি ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । পাশাপাশি , কোরোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো নিয়ে হাইকোর্ট বেশ কিছু বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে । কোর্টের নির্দেশিকা মেনে পুজো করতে হবে পুজো উদ্যোক্তাদের । হাইকোর্টের এই নির্দেশে হতাশ পুজো উদ্যোক্তারা ।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পক্ষ থেকে জেনেরাল সেক্রেটারি শাশ্বত বসু জানিয়েছেন , কোর্টের রায় মেনে পুজো করতে হবে ঠিক কথা । কিন্তু কীভাবে পুজো হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয় । তবে আদালতের রায়ে পুজো উদ্যোক্তারা হতাশ বলে জানিয়েছেন তিনি । মোটামুটি সমস্ত মণ্ডপ তৈরি হয়ে গেছে । ইতিমধ্যে বেশ কিছু মণ্ডপ উদ্বোধন হয়ে গেছে । এই পরিস্থিতিতে নতুন করে মণ্ডপ খুলে আর তৈরি করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি । বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো এটা ভুলে গেলে চলবে না, তাই কোরোনা সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় তার বিভিন্নরকম ব্যবস্থা নিয়েই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের ।
শাশ্বত বসু বলেন , "হাইকোর্ট রায় দিয়েছে 25 জনের বেশি সদস্য মণ্ডপে একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারবেন না । এই 25 জন সদস্য কারা থাকবেন তার সিদ্ধান্ত কে নেবে । চতুর্থ থেকে দশমী পর্যন্ত 25 জনকে থাকতে হবে, নাকি প্রত্যেকদিন এই নামগুলি পরিবর্তন করা যাবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট উত্তর আমাদের জানা নেই । এত বড় একটা পুজোর আয়োজন করতে বহু মানুষের প্রয়োজন হয় । তাছাড়া , সরকার যা যা বিধি-নিষেধ বেঁধে দিয়েছিল সেই সব কিছু মাথায় রেখেই কলকাতার পুজো উদ্যোক্তা কমিটিগুলি সেই মতো ব্যবস্থা নিয়েছিল । মাস্ক বাধ্যতামূলক ছিল এবং প্রত্যেকটি মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করার সময় স্যানিটাইজ়ার টানেল বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল । কিন্তু এখন কোর্টের রায়ের পর সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে । সেইসঙ্গে কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে ছোটো পুজোর ক্ষেত্রে 5 মিটার ও বর্গক্ষেত্রের 10 মিটার দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক । কলকাতার প্রায় 85 শতাংশ পুজো হয় গলির ভিতরে । যদি 10 মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হয় তাহলে দর্শনার্থীদের বেরোবার পথ কী হবে । অন্যান্যবার একটি প্রবেশপথ ও আর একটি বাইরে যাওয়ার পথ তৈরি করি । এবছর সরকারি নির্দেশিকা মেনে মণ্ডপের দুই ধারে বেরোবার পথ অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং মণ্ডপের ভিতর ছোটো করা হয়েছিল যাতে কম সংখ্যক মানুষ মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারে এবং বেশি সংখ্যক মানুষ মণ্ডপে দুইধার দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারেন । "
কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ দিয়েছিল, তা মেনে আমরা পুজোর প্রস্তুতি নিয়েছি । রাজ্য সরকার এবার কী সিদ্ধান্ত নেবে তার উপরই সবটা নির্ভর করছে। কোটের এই রায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরের দুর্গাপুজো কমিটিগুলির । এবার সবকিছুই নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর । ফোরাম ফর দুর্গোৎসব সরকারি নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।