কলকাতা, ১৮ নভেম্বর : মেট্রোরেল কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে সন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট । দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিন ৫ মিটার সরানোর আবেদনে সম্মতি দিল হাইকোর্ট । ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বর্তমান রুটের কাজ বউবাজারের জমি ধসের পর থমকে গেছে । এই রুটেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ আদৌও আর সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট পরিবর্তন করতে হবে কি না তাও পরিষ্কার নয় । এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । মামলার পরবর্তী শুনানি 16 ডিসেম্বর । মেট্রোরেলের কাজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে ।
১৫ নভেম্বর এই মামলার শেষ শুনানিতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশ করে আদালতে । রিপোর্টে মেট্রোরেলের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিন নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের কাছে রয়েছে । সেই মেশিন পাঁচ মিটার সরালে জীবন ও সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হবে না । পাশাপাশি রিপোর্টে আরও বলা হয়, টানেল বোরিং মেশিন সরানোর কাজ সম্পূর্ণটাই করা হবে বিশেষজ্ঞ কমিটির তদারকিতে । মেশিন সরানোর কাজে তত্ত্বাবধান করবেন চেয়ারম্যান লিউনার্ড জন এন্ডিকট ।
যদিও মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু ও রিজু ঘোষাল প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, তাঁরা রিপোর্ট না পড়ে এখনই কিছু বলতে পারবেন না । কোনও বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের মতামত নিয়ে তাঁরা মতামত জানাবেন ।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার জেরে 1 সেপ্টেম্বর বউবাজার এলাকার একাধিক বাড়ি ভাঙতে শুরু করে । বাড়িগুলোর দেওয়াল থেকে চাঙড় খসে পড়তে শুরু করে । এরপরই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় ।
মামলার শুনানির শুরুতেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রায় 9.8 কিলোমিটারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে । আর মাত্র 1 কিলোমিটার মতো কাজ বাকি আছে। কিন্ত এই কাজ আপাতত বন্ধ রাখছে তারা । হাইকোর্ট নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কাজ তারা শুরু করবে না । সেই থেকে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি । আগামী 16 ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি । সব পক্ষই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষর চুড়ান্ত রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছে । এই রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে মেট্রোরেলের কাজের গতিবিধি ।