কলকাতা, 11 মে: গভীর নিম্নচাপ মঙ্গলবার অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে । বুধবার রাতেই এই গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে । বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ হবে বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে 1 হাজার 460 কিমি দূরে । শনিবার থেকে এই ঝড় অনেকটা দূর্বল হয়ে রবিবার বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে অতিক্রম করে তা বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কাকডিউ বা চাক দিও-র মধ্য আছড়ে পড়বে ।
এর প্রভাবে বুধবার থেকেই আন্দামানে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় 40 কিমি । আজ তার গতি বেড়ে ঘণ্টায় 50 থেকে 60 কিলোমিটার হবে । এদিকে দুর্যোগের বদলে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে এবং উত্তরবঙ্গের সমতল অঞ্চলে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । শনিবার তারিখ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস ।
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলোতে চলছে তাপপ্রবাহ । বুধবার রাজ্যের উষ্ণতম জেলা ছিল সিউড়ি ৷ এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 43.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস । দ্বিতীয় স্থানে বাঁকুড়া 43.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস । পুরুলিয়ায় ছিল 42.7 ডিগ্রি, আসানসোল 42.3 ডিগ্রি ও পূর্ব বর্ধমানে ছিল 41.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস । বুধবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 38.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস । বীরভূম, মেদিনীপুর, মালদা ও দুই 24 পরগনায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি আজও বজায় থাকবে ।
আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহে সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস । রবিবার দুই 24 পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে । আবহাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই আন্দামান-নিকোবরে যে সর্তকতার নির্দেশ দিয়েছিল তা একই রয়েছে ৷ অর্থাৎ সমস্ত ফেরি বন্ধ রাখার পাশাপাশি সেখানকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে এবং বন্দরগুলিতেও একই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে ।
দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ আজও বজায় থাকবে । কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া বুধবারের পর থেকে বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সর্তকতা থাকছে । উত্তরবঙ্গের মালদায় তাপপ্রবাহ চলবে ৷
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীবারে কপালে কি লক্ষ্মীলাভ আছে ? গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান কেমন ?