কলকাতা, 5 অক্টোবর : রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে, তা করতে হবে কাছের কোনও সরকারি হাসপাতাল থেকে। তবে, সেখানেও যদি ওই ব্যবস্থা না থাকে, তা হলে বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। মেডিকেল কলেজ স্তর থেকে শুরু করে প্রাইমারি লেভেলের প্রতিটি হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা করতে হবে। এক নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে এমনই গাইডলাইন দিল স্বাস্থ্য দপ্তর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজ স্তরের হাসপাতাল থেকে শুরু করে প্রাইমারি লেভেলের প্রতিটি হাসপাতালে ল্যাবরেটরি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ম্যানপাওয়ার রয়েছে যাতে বিনামূল্যে অধিকাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই করা সম্ভব হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রোটোকল থাকবে তার জন্য গাইডলাইনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে । যাতে সরকারি হাসপাতালে এবং প্রয়োজনে সরকারি হাসপাতালের বাইরে বেসরকারি কোনও ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো সম্ভব হয়। এই গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য এই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নোটিফিকেশনে জানানো হয়েছে, কোন হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, তার তালিকা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ওয়েবসাইট এবং সেখানকার এমারজেন্সি, আউটডোর সহ প্রতিটি বিভাগে সার্কুলেট করতে হবে। এই তালিকা টাইম টু টাইম আপডেট করতে হবে। যদি কোনও রোগীর ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা যদি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে না থাকে, তাহলে ওই হাসপাতালের কাছের কোনও সরকারি হাসপাতালে যেখানে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখান থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। যদি কাছের ওই সরকারি হাসপাতালেও ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে NABL অ্যাক্রেডিটেড বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। মেডিকেল কলেজ স্তর থেকে শুরু করে সেকেন্ডারি লেভেলের হাসপাতাল পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য 24x7 অর্থাৎ, দিন হোক বা, রাত, যে কোনও সময়ের জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যাতে দীর্ঘ সময় লেগে না যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের এই ধরনের গাইডলাইনের বিষয়ে সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এর ফলে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের রাস্তা আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া হল।" তিনি বলেন, "সরকারি হাসপাতালেই যদি সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, তা হলে সরকারেরই অর্থ খরচ কম হবে। অন্যদিকে, এর ফলে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।"
বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাবে সরকারি হাসপাতাল, গাইডলাইন স্বাস্থ্য দপ্তরের - Government hospitals conduct tests from private laboratories
প্রয়োজনে বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারে সরকারি হাসপাতাল । এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর । এর বিরোধিতা করে চিকিৎসকদের একটি সংগঠন, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদ সজল বিশ্বাস বলেন, "এর ফলে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের রাস্তা আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া হল।"
কলকাতা, 5 অক্টোবর : রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে, তা করতে হবে কাছের কোনও সরকারি হাসপাতাল থেকে। তবে, সেখানেও যদি ওই ব্যবস্থা না থাকে, তা হলে বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। মেডিকেল কলেজ স্তর থেকে শুরু করে প্রাইমারি লেভেলের প্রতিটি হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা করতে হবে। এক নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে এমনই গাইডলাইন দিল স্বাস্থ্য দপ্তর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজ স্তরের হাসপাতাল থেকে শুরু করে প্রাইমারি লেভেলের প্রতিটি হাসপাতালে ল্যাবরেটরি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ম্যানপাওয়ার রয়েছে যাতে বিনামূল্যে অধিকাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই করা সম্ভব হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রোটোকল থাকবে তার জন্য গাইডলাইনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে । যাতে সরকারি হাসপাতালে এবং প্রয়োজনে সরকারি হাসপাতালের বাইরে বেসরকারি কোনও ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো সম্ভব হয়। এই গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য এই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নোটিফিকেশনে জানানো হয়েছে, কোন হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, তার তালিকা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ওয়েবসাইট এবং সেখানকার এমারজেন্সি, আউটডোর সহ প্রতিটি বিভাগে সার্কুলেট করতে হবে। এই তালিকা টাইম টু টাইম আপডেট করতে হবে। যদি কোনও রোগীর ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা যদি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে না থাকে, তাহলে ওই হাসপাতালের কাছের কোনও সরকারি হাসপাতালে যেখানে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখান থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। যদি কাছের ওই সরকারি হাসপাতালেও ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে NABL অ্যাক্রেডিটেড বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। মেডিকেল কলেজ স্তর থেকে শুরু করে সেকেন্ডারি লেভেলের হাসপাতাল পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য 24x7 অর্থাৎ, দিন হোক বা, রাত, যে কোনও সময়ের জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যাতে দীর্ঘ সময় লেগে না যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের এই ধরনের গাইডলাইনের বিষয়ে সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এর ফলে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের রাস্তা আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া হল।" তিনি বলেন, "সরকারি হাসপাতালেই যদি সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, তা হলে সরকারেরই অর্থ খরচ কম হবে। অন্যদিকে, এর ফলে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।"