কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) আতঙ্ক । ইতিমধ্যেই নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ও স্বাস্থ্যসচিব । সেই বৈঠকে নবান্নের পক্ষ থেকে 24 ঘণ্টার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর খোলার কথা বলা হয়েছে । তার মধ্যেই ফের অ্যাডভাইজারি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (Advisory on Adenovirus Preparedness) ।
সেখানে বলা হয়েছে, সব সরকারি হাসপাতালগুলিতে 24 ঘণ্টা 'এআরআই' ক্লিনিক খুলতে হবে । আউটডোরের বাইরেও সব সরকারি হাসপাতালগুলিতে আলাদাভাবে ক্লিনিক খুলতে হবে । এমার্জেন্সিতে সর্বক্ষণ থাকবে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ৷ জেলা হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে সুপারের অনুমতি ছাড়া রেফার করা যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । প্রতিটি হাসপাতালে উপযুক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে । যদি দরকার হয় তবে কোভিডের জন্য বরাদ্দ বেডগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে । এমনকী কোভিডের জন্য যে সমস্ত ভ্যান্টিলেশন ছিল, সেগুলো ব্যবহার করা যাবে ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক । হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা । বেডের অভাবের তথ্য সামনে আসছে ৷ এই বিষয়টি স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে এসেছে বলে খবর ৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেড আছে কি না, তা নজরে রাখতে বলা হয়েছে । বিসি রায় হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল বাঁকুড়া, মালদা মেডিক্যাল কলেজে এবার শিশু চিকিৎসার হাব করা হয়েছে । বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে ।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে 20টি বেডের প্রতিটি ভরতি । একজন শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত । 14 জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক । বিসি রায় শিশু হাসপাতাল মোট বেড সংখ্যা 500 । আইসোলেশন বেড 50টি । সবকটি ভরতি । ভেন্টিলেটর যুক্ত বেড 48টি । সবকটি ভরতি । 20টি শিশু অ্যাডিনো পজেটিভ । 90জন শিশু থেকেও বেশিজন ভর্তি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি নিয়ে । এদিকে নতুন করে বেড বাড়ানো হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে । সেখানে 25টি বেড এখনও চালু করা হয়েছে । দরকারে আরও বাড়ানো হবে জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মাঝেই 24 ঘণ্টায় রাজ্যে 4 শিশুর মৃত্যু নিউমোনিয়ায়