ETV Bharat / state

তৃতীয় দফায় মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিতরণ, বিপাকে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা - তৃতীয় দফায় মিড-ডে মিল বিতরণ

জেলায় জেলায় তৃতীয় দফায় মিড-ডে মিলের চাল বিতরণ শুরুর নির্দেশ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের । বিপাকে পড়েছেন বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা ।

Distribution of Mid day meal head master faced problems
Distribution of Mid day meal head master faced problems
author img

By

Published : May 30, 2020, 8:11 PM IST

কলকাতা, 30 মে : আগামী 1 জুন থেকে রাজ‍্যের বিভিন্ন জেলায় তৃতীয় দফায় মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিতরণ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দপ্তর থেকে । আর সেই নির্দেশিকাকে ঘিরেই একাধিক সমস‍্যায় রাজ‍্যের বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা । কোনও স্কুলে বরাদ্দের চাল এখনও পৌঁছায়নি, আবার কোনও স্কুলকে করা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টার । বহু স্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিতরণের কাজে সাহায‍্য করতে স্কুলে আসতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন । নিষেধ সত্ত্বেও পড়ুয়ারা স্কুলে বরাদ্দের চাল-আলু নিতে চলে এলে দপ্তরের রোষের মুখে না পড়তে হয় সেই আশঙ্কাও তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ।

একাধিক জেলাতে 1 জুন থেকে ও আমফান বিধ্বস্ত জেলাগুলিতে 5 জুন কিংবা 8 জুন থেকে জুন মাসের জন্য প্রতি পড়ুয়া পিছু 2 কেজি চাল ও 2 কেজি আলু বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । তারজন্য প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । নির্দেশ মতো স্কুল চত্বর জীবাণুমুক্ত করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, স‍্যানিটাইজার, সাবানের ব‍্যবস্থা করার কাজ করছেন তাঁরা । কিন্তু, অনেক স্কুলেই এখনও পর্যন্ত পৌঁছায়নি বরাদ্দের চাল । বিভিন্ন জেলা তো বটেই এমনকী, খাস কলকাতাতেও এমনই অভিযোগ উঠেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানাচ্ছেন, “মিড-ডে মিলের চাল সরবরাহের দায়িত্ব যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উপর ন‍্যস্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি । ফলে, এখনও পর্যন্ত চাল-আলু প‍্যাকেট করার কাজ শুরু করতে পারেনি ওই স্কুল ।” একই অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নন্দীশ নিয়োগীর । তিনি বলেন, "আজ 30 মে । আমরা এখনও পর্যন্ত বরাদ্দের চাল পাইনি । ডিলারকে বারবার ফোন করা হলে তাঁরা বলছেন আমাদের পক্ষে এখন চাল দেওয়া সম্ভব নয় ।"


এছাড়া, গত 23 মার্চ প্রথম দফায় মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিতরণের সময় থেকে, দ্বিতীয় দফা ও বর্তমানে তৃতীয় দফার বিতরণের ক্ষেত্রেও বহু প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা একটি সমস‍্যার মুখে পড়ছেন। তা হল, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই কাজে সাহায্য করতে স্কুলে আসতে না করে দিচ্ছেন । এ বিষয়ে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "গণপরিবহন ব্যবস্থা না থাকার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে আসায় মারাত্মক অনীহা প্রকাশ করছেন । এমনিতে তাঁরা কোরোনা আতঙ্কে ভুগছেন । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বারেবারে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা যাঁরা দূরে থাকেন তাঁদের কষ্ট করে আসতে হচ্ছে । এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া অত্যন্ত জরুরি ।" নন্দীশ নিয়োগী বলেন, "আমি একটি গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষক । মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী 1 জুন থেকে 6 জুন পর্যন্ত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাল-আলু বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এদিকে স্কুল বন্ধ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ে আসতে ইচ্ছুক হচ্ছেন না । তাঁদের প্রকৃত বক্তব্য, এই কোরোনা আবহে তাঁদের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে? কিন্তু, প্রধান শিক্ষকদের উপরে নিয়মিত রিপোর্ট দেওয়া নেওয়া করার ব্যবস্থা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । তাঁদের উপরেই যেন সব দায়িত্ব । এমতাবস্থায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমাদের অনুরোধ যে দয়া করে একটি অর্ডার পাস করুন । যাতে করে যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা দূরে রয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে যাঁদের অসুবিধা রয়েছে, তাঁরা বাদ দিয়ে, যাঁরা কাছে রয়েছে তাঁরা অন্তত আসতে বাধ্য হন ।"
এ ছাড়া, বর্তমানে রাজ‍্যজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন । তাঁদের রাখার জন্য কোয়ারানটিন সেন্টার করা হয়েছে বহু স্কুলকে । সেইসব স্কুল থেকে কী করে চাল-আলু বিতরণ করা সম্ভব হবে তাও ভাবাচ্ছে প্রধান শিক্ষকদের । আবার প্রথম দফার মতো বারণ করা সত্ত্বেও কোনও পড়ুয়া স্কুলে বরাদ্দের চাল-আলু নিতে চলে এলে শিক্ষা দপ্তরের রোষের মুখে পড়ার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা । এ বিষয়ে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, " পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী 1 জুন থেকে 6 জুন সরকার পোষিত এবং সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে তৃতীয় দফায় এবং আলু মিড-ডে মিলের বরাদ্দ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে । সারা রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের এবং কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে অব্যাহতির জন্য কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে বিদ্যালয়গুলিতে । প্রায় 90 শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দেখা যাচ্ছে এইরকম কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি হচ্ছে । সেই বিদ্যালয়গুলিতে থেকে কী করে মিড-ডে মিল আমরা অভিভাবকদের হাতে তুলে দেব সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা আমাদের কাছে আসেনি । আমরা তাই বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা সরকারকে এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি । রেড জোনে থাকা বিদ্যালয়গুলিরও একই অবস্থা । এছাড়া, আমাদের বারণ করা সত্ত্বেও পড়ুয়ারা অভিভাবকদের সঙ্গে বিদ্যালয় চলে আসলে কেউ যেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ শিকার না হন এবং তাঁদের সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হয় । পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে না আসে তা আমরা বারবার বলছি । কিন্তু, তা সত্ত্বেও যদি কেউ এসে পড়ে তারজন্য প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়ি করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার অনুরোধ, আবেদন থাকছে শিক্ষা দপ্তরের কাছে ।"


মিড-ডে মিলের বিতরণকে কেন্দ্র করে এই ধরনের একাধিক সমস‍্যার কথা জানিয়ে শিক্ষা দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের তরফ থেকে । চিঠি পাঠানো হয়েছে কুকড মিড-ডে মিল প্রোগ্রামের ডাইরেক্টরের কাছেও ।

কলকাতা, 30 মে : আগামী 1 জুন থেকে রাজ‍্যের বিভিন্ন জেলায় তৃতীয় দফায় মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিতরণ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দপ্তর থেকে । আর সেই নির্দেশিকাকে ঘিরেই একাধিক সমস‍্যায় রাজ‍্যের বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা । কোনও স্কুলে বরাদ্দের চাল এখনও পৌঁছায়নি, আবার কোনও স্কুলকে করা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টার । বহু স্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিতরণের কাজে সাহায‍্য করতে স্কুলে আসতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন । নিষেধ সত্ত্বেও পড়ুয়ারা স্কুলে বরাদ্দের চাল-আলু নিতে চলে এলে দপ্তরের রোষের মুখে না পড়তে হয় সেই আশঙ্কাও তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ।

একাধিক জেলাতে 1 জুন থেকে ও আমফান বিধ্বস্ত জেলাগুলিতে 5 জুন কিংবা 8 জুন থেকে জুন মাসের জন্য প্রতি পড়ুয়া পিছু 2 কেজি চাল ও 2 কেজি আলু বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর । তারজন্য প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । নির্দেশ মতো স্কুল চত্বর জীবাণুমুক্ত করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, স‍্যানিটাইজার, সাবানের ব‍্যবস্থা করার কাজ করছেন তাঁরা । কিন্তু, অনেক স্কুলেই এখনও পর্যন্ত পৌঁছায়নি বরাদ্দের চাল । বিভিন্ন জেলা তো বটেই এমনকী, খাস কলকাতাতেও এমনই অভিযোগ উঠেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানাচ্ছেন, “মিড-ডে মিলের চাল সরবরাহের দায়িত্ব যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উপর ন‍্যস্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি । ফলে, এখনও পর্যন্ত চাল-আলু প‍্যাকেট করার কাজ শুরু করতে পারেনি ওই স্কুল ।” একই অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নন্দীশ নিয়োগীর । তিনি বলেন, "আজ 30 মে । আমরা এখনও পর্যন্ত বরাদ্দের চাল পাইনি । ডিলারকে বারবার ফোন করা হলে তাঁরা বলছেন আমাদের পক্ষে এখন চাল দেওয়া সম্ভব নয় ।"


এছাড়া, গত 23 মার্চ প্রথম দফায় মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিতরণের সময় থেকে, দ্বিতীয় দফা ও বর্তমানে তৃতীয় দফার বিতরণের ক্ষেত্রেও বহু প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা একটি সমস‍্যার মুখে পড়ছেন। তা হল, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই কাজে সাহায্য করতে স্কুলে আসতে না করে দিচ্ছেন । এ বিষয়ে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "গণপরিবহন ব্যবস্থা না থাকার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে আসায় মারাত্মক অনীহা প্রকাশ করছেন । এমনিতে তাঁরা কোরোনা আতঙ্কে ভুগছেন । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বারেবারে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা যাঁরা দূরে থাকেন তাঁদের কষ্ট করে আসতে হচ্ছে । এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া অত্যন্ত জরুরি ।" নন্দীশ নিয়োগী বলেন, "আমি একটি গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষক । মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী 1 জুন থেকে 6 জুন পর্যন্ত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাল-আলু বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এদিকে স্কুল বন্ধ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিদ্যালয়ে আসতে ইচ্ছুক হচ্ছেন না । তাঁদের প্রকৃত বক্তব্য, এই কোরোনা আবহে তাঁদের যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে? কিন্তু, প্রধান শিক্ষকদের উপরে নিয়মিত রিপোর্ট দেওয়া নেওয়া করার ব্যবস্থা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । তাঁদের উপরেই যেন সব দায়িত্ব । এমতাবস্থায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমাদের অনুরোধ যে দয়া করে একটি অর্ডার পাস করুন । যাতে করে যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা দূরে রয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে যাঁদের অসুবিধা রয়েছে, তাঁরা বাদ দিয়ে, যাঁরা কাছে রয়েছে তাঁরা অন্তত আসতে বাধ্য হন ।"
এ ছাড়া, বর্তমানে রাজ‍্যজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন । তাঁদের রাখার জন্য কোয়ারানটিন সেন্টার করা হয়েছে বহু স্কুলকে । সেইসব স্কুল থেকে কী করে চাল-আলু বিতরণ করা সম্ভব হবে তাও ভাবাচ্ছে প্রধান শিক্ষকদের । আবার প্রথম দফার মতো বারণ করা সত্ত্বেও কোনও পড়ুয়া স্কুলে বরাদ্দের চাল-আলু নিতে চলে এলে শিক্ষা দপ্তরের রোষের মুখে পড়ার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা । এ বিষয়ে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, " পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী 1 জুন থেকে 6 জুন সরকার পোষিত এবং সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে তৃতীয় দফায় এবং আলু মিড-ডে মিলের বরাদ্দ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে । সারা রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের এবং কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে অব্যাহতির জন্য কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে বিদ্যালয়গুলিতে । প্রায় 90 শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দেখা যাচ্ছে এইরকম কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি হচ্ছে । সেই বিদ্যালয়গুলিতে থেকে কী করে মিড-ডে মিল আমরা অভিভাবকদের হাতে তুলে দেব সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা আমাদের কাছে আসেনি । আমরা তাই বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা সরকারকে এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি । রেড জোনে থাকা বিদ্যালয়গুলিরও একই অবস্থা । এছাড়া, আমাদের বারণ করা সত্ত্বেও পড়ুয়ারা অভিভাবকদের সঙ্গে বিদ্যালয় চলে আসলে কেউ যেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ শিকার না হন এবং তাঁদের সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হয় । পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে না আসে তা আমরা বারবার বলছি । কিন্তু, তা সত্ত্বেও যদি কেউ এসে পড়ে তারজন্য প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়ি করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার অনুরোধ, আবেদন থাকছে শিক্ষা দপ্তরের কাছে ।"


মিড-ডে মিলের বিতরণকে কেন্দ্র করে এই ধরনের একাধিক সমস‍্যার কথা জানিয়ে শিক্ষা দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের তরফ থেকে । চিঠি পাঠানো হয়েছে কুকড মিড-ডে মিল প্রোগ্রামের ডাইরেক্টরের কাছেও ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.