কলকাতা 2 অগস্ট: সারদা মামলায় কাঁথি থানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট (HC Seeks Sarada Case Diary of Charges Against Suvendu Adhikari)৷
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার বলেন, "সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে অথচ শুভেন্দুকে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। যেখানে সারদা কর্তা নিজেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনছেন তাঁকে কেন তদন্তের বাইরে রাখা হবে ? অবিলম্বে, এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক।"
এর পালটা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, "সারদার ঘটনা নজরে আসার পর এক বছর পুলিশ তদন্ত করেছিল। তখন পুলিশি তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীর নাম উঠে আসেনি। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে সিবিআই 7টি চার্জশিট পেশ করেছে। তাতেও নাম নেই তাঁর ৷ তাই আদালত বিশেষভাবে নজর দিক যে সময় সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখেছিলেন সেই সময়টা বিধানসভার নির্বাচনের পূর্বে।"
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ কমিটিতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেন ? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের
তিনি আরও বলেন, "সুদীপ্ত সেনের চিঠির কথা সর্বসমক্ষে এনেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এই কুণাল ঘোষই সারদা কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত । পরবর্তীকালে রাজীব কুমার-সহ তৃণমূলের বহু নেতাকে এই তদন্তে সংযুক্ত করে সিবিআই। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীর নাম কখনও আসেনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুদীপ্ত সেনের এই চিঠি লেখেন ৷ ওই সময়েই সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা । তাই এই মামলা খারিজ করুক আদালত।"
সিবিআই আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, "এই আবেদন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সিবিআই ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে। এমতাবস্থায় এই ধরনের আবেদন আদালতে কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এই আবেদন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।"
আরও পড়ুন: হাওড়ার অঙ্কুরহাটির অশান্তি নিয়ে রাজ্যকে ফের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে কাঁথি পৌরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছিলেন। যার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। এদিন অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী নতুন করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যে সারদা তদন্ত করছে সিবিআই। সুতরাং একই বিষয়ে কখনও রাজ্য পুলিশ তদন্ত করতে পারে না। তারপরই প্রধান বিচারপতি সারদা মামলায় কাঁথি থানায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সেই সংক্রান্ত কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার 5 অগস্ট।