কলকাতা, 8 জুন: একাদশ-দ্বাদশে ওএমআর কারচুপির বিষয়ে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কী কী হয়েছে তদন্তে, কাউকে ডাকা হয়েছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না ৷ এই সমস্ত বিষয়ই জানতে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । 28 জুনের মধ্যে এই রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।
907টি ওএমআর কারচুপি'র ধরন কী ? এই ওএমআর প্রকাশ করা যায়নি কেন ? প্রকাশ করা গেলে তা কবে যাবে ? এই সমস্ত বিষয়ই রিপোর্টে বিস্তারিত জানাতে হবে রিপোর্টে এসএসসিকে। একইসঙ্গে সিবিআইকে 907টি ওএমআর কারচুপি তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী 28 জুনের মধ্যে । গোলাম নবি আজাদের করা মামলায় এহেন নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস বলেন, "2016 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া। গোলাম নবি আজাদ ও নাসিমা খাতুন দু'জন বাংলা বিষয়ে ওয়েট লিস্টেড প্রার্থী ৷ তাঁদের র্যাঙ্ক 10 ও 11 ৷ কিন্তু চাকরি পাননি ৷ অথচ সাবিরুল ইসলামের র্যাঙ্ক 12 হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু চাকরি পেয়ে গিয়েছে । এই মর্মেই দায়ের হয়েছিল মামলা । এই মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত করছে । 2016 সালের সমস্ত বিষয়ের নিয়োগেই কারচুপি হয়েছে বলে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।"
অভিযোগ ছিল, 2016 সালের একাদশ ও দ্বাদশে নিয়োগ ওএমআর শিট বিকৃত করে নম্বর বাড়ানো হয়েছে, র্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে । এই ধরনের 907টি ওএমআর সিটের তথ্য আগেই আদালতের হাতে দিয়েছিল সিবিআই । সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কী তদন্ত হয়েছে তা জানতে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ।