ETV Bharat / state

HC on Primary Teacher Recruitment : 13 বছরের দীর্ঘ লড়াই, প্রাথমিকে টেট-উত্তীর্ণ পাঁচজনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ আদালতের - কলকাতা হাইকোর্ট

গ্রুপ ডি কর্মী, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এমনিতে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে ৷ এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট যোগ্য অথচ বঞ্চিত পাঁচজন প্রার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল (HC on Primary Teacher Recruitment) ৷

Primary Teacher Recruitment
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
author img

By

Published : Apr 7, 2022, 10:41 AM IST

কলকাতা, 7 এপ্রিল : প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে পাঁচজনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ । উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে (West Bengal Board Of Primary Education) আগামী ছ'সপ্তাহের এই নির্দেশ কার্যকরী করে এঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে ৷ 2009 সালে টেট উত্তীর্ণ এই পাঁচজনের চাকরি বিভিন্ন কারণে আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ । বুধবার বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে আগের নিয়োগ তালিকা সংশোধন এবং নতুন পদ সৃষ্টি করে এঁদের নিয়োগ করতে হবে (HC orders North 24 Pgs Primary Education to recruit 5 eligible candidate as Primary Teacher) ।

2009-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতা চলছিল । কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে প্রায় এক দশক পরে গত বছর সেই জটিলতা কাটে । আদালতের নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ হলেও মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার শামীমা খাতুন-সহ মোট পাঁচজনের কপাল ফেরেনি । এঁদের সকলেরই জমিহারা হিসেবে শংসাপত্র রয়েছে এবং সবাই উত্তর 24 পরগনা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ।

আরও পড়ুন : SSC Recruitment Case : এসএসসি মামলায় ফের শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, জবাবে সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা

নিয়োগ পরীক্ষাতে এই পাঁচ প্রার্থী যে নম্বর পেয়েছেন, তার থেকে কম নম্বর প্রাপককে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে । বেশি নম্বর পেয়েও নিয়োগ তালিকায় নাম ছিল না পাঁচজনের । এই পরিস্থিতিতে এঁদের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী অরিন্দম দাস । এঁরা চাকরি পাওয়ার অধিকারী প্রমাণ করতে যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করেন তিনি । উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে যুক্তি, এঁরা এক্সেমপটেড ক্যাটাগরি বা জমিহারা হিসেবে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত, তার কোনও প্রমাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দেখাতে পারেননি । তাই নিয়োগ তালিকায় নাম রাখা যায়নি । এর পালটা মামলাকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস নথি দিয়ে দেখান, বিশেষ শ্রেণিভুক্ত হওয়াতেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাধারণ শ্রেণির তুলনায় কম নম্বর পেয়েও এই চাকরির পরীক্ষায় বোর্ড তাঁদের বসতে দিয়েছিল । যদি সেই শংসাপত্র বোর্ড না দেখে থাকত, সে ক্ষেত্রে তাঁরা পরীক্ষাই দিতে পারতেন না ।

সওয়াল-জবাবে আদালত আইনজীবী অরিন্দম দাসের যুক্তি মেনে নেয় ৷ পাঁচজন বঞ্চিতকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয় । তখন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ দাবি করে, 370 টি পদের একটিও এখন আর ফাঁকা নেই । সব পদ পূরণ হয়ে গিয়েছে । আদালত সেই যুক্তি খারিজ করে দেয় । আদালতের পাল্টা যুক্তি, যোগ্য এবং নির্দিষ্ট শ্রেণিভুক্ত হিসেবেই নিয়োগ করার দায় বোর্ডের । প্রয়োজনে তালিকা আবার সংশোধন করে এঁদের জন্য পদ তৈরি করে সেখানে নিয়োগ করতে হবে ।

আরও পড়ুন : Cal HC on Primary TET : এবার প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট দেখানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা, 7 এপ্রিল : প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে পাঁচজনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ । উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে (West Bengal Board Of Primary Education) আগামী ছ'সপ্তাহের এই নির্দেশ কার্যকরী করে এঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে ৷ 2009 সালে টেট উত্তীর্ণ এই পাঁচজনের চাকরি বিভিন্ন কারণে আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ । বুধবার বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে আগের নিয়োগ তালিকা সংশোধন এবং নতুন পদ সৃষ্টি করে এঁদের নিয়োগ করতে হবে (HC orders North 24 Pgs Primary Education to recruit 5 eligible candidate as Primary Teacher) ।

2009-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতা চলছিল । কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে প্রায় এক দশক পরে গত বছর সেই জটিলতা কাটে । আদালতের নির্দেশে বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ হলেও মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার শামীমা খাতুন-সহ মোট পাঁচজনের কপাল ফেরেনি । এঁদের সকলেরই জমিহারা হিসেবে শংসাপত্র রয়েছে এবং সবাই উত্তর 24 পরগনা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ।

আরও পড়ুন : SSC Recruitment Case : এসএসসি মামলায় ফের শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, জবাবে সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা

নিয়োগ পরীক্ষাতে এই পাঁচ প্রার্থী যে নম্বর পেয়েছেন, তার থেকে কম নম্বর প্রাপককে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে । বেশি নম্বর পেয়েও নিয়োগ তালিকায় নাম ছিল না পাঁচজনের । এই পরিস্থিতিতে এঁদের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী অরিন্দম দাস । এঁরা চাকরি পাওয়ার অধিকারী প্রমাণ করতে যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করেন তিনি । উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে যুক্তি, এঁরা এক্সেমপটেড ক্যাটাগরি বা জমিহারা হিসেবে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত, তার কোনও প্রমাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দেখাতে পারেননি । তাই নিয়োগ তালিকায় নাম রাখা যায়নি । এর পালটা মামলাকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস নথি দিয়ে দেখান, বিশেষ শ্রেণিভুক্ত হওয়াতেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাধারণ শ্রেণির তুলনায় কম নম্বর পেয়েও এই চাকরির পরীক্ষায় বোর্ড তাঁদের বসতে দিয়েছিল । যদি সেই শংসাপত্র বোর্ড না দেখে থাকত, সে ক্ষেত্রে তাঁরা পরীক্ষাই দিতে পারতেন না ।

সওয়াল-জবাবে আদালত আইনজীবী অরিন্দম দাসের যুক্তি মেনে নেয় ৷ পাঁচজন বঞ্চিতকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয় । তখন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ দাবি করে, 370 টি পদের একটিও এখন আর ফাঁকা নেই । সব পদ পূরণ হয়ে গিয়েছে । আদালত সেই যুক্তি খারিজ করে দেয় । আদালতের পাল্টা যুক্তি, যোগ্য এবং নির্দিষ্ট শ্রেণিভুক্ত হিসেবেই নিয়োগ করার দায় বোর্ডের । প্রয়োজনে তালিকা আবার সংশোধন করে এঁদের জন্য পদ তৈরি করে সেখানে নিয়োগ করতে হবে ।

আরও পড়ুন : Cal HC on Primary TET : এবার প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট দেখানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.