কলকাতা, 5 জুলাই: পঞ্চায়েতের ভোট গণনাতেও এবার নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ নির্বাচনের পর গণনাকেন্দ্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদেরও দিতে হবে নিরাপত্তা। নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
হাইকোর্ট সুত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের আগে গণনা হত সাধারণত বরিষা হাইস্কুলে। যেহেতু তা কলকাতা কর্পোরেশনের আওতায় তাই 2018 সালে বদল হয়ে যায় গণনাকেন্দ্র ৷ পরিবর্তে ব্রতচারী বৃদ্ধাশ্রমে গণনাকেন্দ্র করা হয়। 2018-তে কোনও বিরোধীকে গণনার সময় থাকতে দেওয়া হয়নি বলে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মামলাকারী আইনজীবী।
পরবর্তী কালে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়, যাতে চলতি নির্বাচনে গণনাকেন্দ্র বদল করে চাট্টা সুবিধ আলি ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। কমিশনের তরফে মামলাকারী কোনও জবাব না পাওয়ার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। 21 জুন হাইকোর্ট সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে আদালতের নির্দেশের পরও কমিশন মামলাকারীদের বক্তব্য শুনলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে ফের অভিযোগ ওঠে। আবারও আদালতের দ্বারস্থ হয় মামলাকারীরা।
কমিশন রিপোর্ট দিয়ে জানায় রসপুঞ্জ পি কে হাইস্কুলে হবে মহেশতলা ব্লকের ভোট গণনা। একই সঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রসপুঞ্জ গণনা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে কমিশনকে। পাশাপাশি সমস্ত প্রার্থী ও গণনার কাজে যুক্ত রাজনৈতিকদলের এজেন্টদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কমিশন।
আরও পড়ুন: মনোনয়নের দিনগুলিতে ভাঙড় থানা ও বিডিও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকার প্রায় 65 হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছে রাজ্যে। পাশাপাশি 70 হাজার সশস্ত্র রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও থাকছে চলতি নির্বাচনে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে 50 শতাংশ অনুপাতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে গতকাল।