ETV Bharat / state

HC on Darivit Students Death: দাঁড়িভিটে 2 ছাত্রের মৃত্যু, 5 বছর বাদে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের - Darivit Agitation Update

2018 সালে উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিটেতে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয় ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে দু'জন ৷ আজ এই মামলার শুনানিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Calcutta High Court
দাঁড়িভিটেয় দুই ছাত্রের মৃত্যু
author img

By

Published : May 10, 2023, 12:31 PM IST

Updated : May 10, 2023, 12:43 PM IST

কলকাতা, 10 মে: পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনআইএ (ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেটশন এজেন্সি) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি আগের মতোই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত চালিয়ে যবে ৷ বুধবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷ একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে ৷

2018 সালে উর্দু ভাষার শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দাঁড়িভিটে স্কুলে বিক্ষোভ চলে ৷ সেই সময় গুলিতে মৃত্যু হয় দুই প্রাক্তন ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের ৷ অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের ৷ সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মৃত ছাত্রদের পরিবার ৷ এই মামলার শুনানিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল আদালত ৷ তাই বিচারপতি যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে ভরসা রাখতে পারেন, তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল ৷

দাঁড়িভিটে প্রায় পাঁচ-সাতশো আন্দোলনকারী জনতার উপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছিল বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আদালতে পেশ করা রিপোর্টে জানিয়েছে, মৃতের বাবার চিঠি পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ডিআইজির নেতৃত্বে 2018 সালের 11 অক্টোবর ইসলামপুর যায় ৷ কিন্তু বারংবার রাজ্যকে বলার পরেও কোনও নথি দেওয়া হয়নি ৷ প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা না-পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা নিজেরাই গ্রামে যান এবং তদন্ত শুরু করেন ৷

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, গুলিতেই তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়েছে ৷ শূন্যে গুলি চালানোয় তাতে খুন হন তাপস ৷ রাজেশ সরকারের মৃত্যুও গুলিতেই হয়েছে ৷ খুব কাছ থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে । দেহের মধ্যে ঢুকে গুলিটি ঘুরেছে ৷ তাই শরীরের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ তাদের দাবি, রাইফেল থেকে গুলি ছুড়লেই এমন হতে পারে ৷ এই ঘটনায় পরিমল অধিকারী নামের পুলিশ কর্মী গুলিতে জখম হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল ৷ তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, তাঁর গুলি লাগেনি ৷ তিনি উন্মত্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট সেই কথাই বলছে বলে আদালতে জোর সওয়াল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ এবার এই ঘটনার তদন্ত করবে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটশন এজেন্সি ।

আরও পড়ুন: শহিদ সম্মান যাত্রায় দাঁড়িভিটে নিহত পড়ুয়াদের বাড়িতে নিশীথ প্রামাণিক

কলকাতা, 10 মে: পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনআইএ (ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেটশন এজেন্সি) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি আগের মতোই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত চালিয়ে যবে ৷ বুধবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷ একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে ৷

2018 সালে উর্দু ভাষার শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দাঁড়িভিটে স্কুলে বিক্ষোভ চলে ৷ সেই সময় গুলিতে মৃত্যু হয় দুই প্রাক্তন ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের ৷ অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের ৷ সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মৃত ছাত্রদের পরিবার ৷ এই মামলার শুনানিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল আদালত ৷ তাই বিচারপতি যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে ভরসা রাখতে পারেন, তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল ৷

দাঁড়িভিটে প্রায় পাঁচ-সাতশো আন্দোলনকারী জনতার উপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছিল বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আদালতে পেশ করা রিপোর্টে জানিয়েছে, মৃতের বাবার চিঠি পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ডিআইজির নেতৃত্বে 2018 সালের 11 অক্টোবর ইসলামপুর যায় ৷ কিন্তু বারংবার রাজ্যকে বলার পরেও কোনও নথি দেওয়া হয়নি ৷ প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা না-পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা নিজেরাই গ্রামে যান এবং তদন্ত শুরু করেন ৷

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, গুলিতেই তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়েছে ৷ শূন্যে গুলি চালানোয় তাতে খুন হন তাপস ৷ রাজেশ সরকারের মৃত্যুও গুলিতেই হয়েছে ৷ খুব কাছ থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে । দেহের মধ্যে ঢুকে গুলিটি ঘুরেছে ৷ তাই শরীরের ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ তাদের দাবি, রাইফেল থেকে গুলি ছুড়লেই এমন হতে পারে ৷ এই ঘটনায় পরিমল অধিকারী নামের পুলিশ কর্মী গুলিতে জখম হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল ৷ তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, তাঁর গুলি লাগেনি ৷ তিনি উন্মত্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট সেই কথাই বলছে বলে আদালতে জোর সওয়াল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ এবার এই ঘটনার তদন্ত করবে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটশন এজেন্সি ।

আরও পড়ুন: শহিদ সম্মান যাত্রায় দাঁড়িভিটে নিহত পড়ুয়াদের বাড়িতে নিশীথ প্রামাণিক

Last Updated : May 10, 2023, 12:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.