কলকাতা, 19 মে : বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের হেরিটেজ ভবন "ত্রিপুরা হাউজ"-কে মাল্টি স্টোরেজ বিল্ডিং বানানোর সম্মতি দেয় কলকাতা পৌরনিগম ৷ কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (HC orders CBI investigate into consent to construct building)। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন । বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, হেরিটেজ হাউজকে মাল্টি স্টোরেজ বিল্ডিং বানানোয় সম্মতি দেওয়ার পিছনে টাকা লেনদেন হয়ে থাকতে পারে । সেই কারণে সিবিআই-কে এই বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ।
2018 সালে ত্রিপুরা হাউসের পাশে শিরোমণি আবাসনের বাসিন্দারা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন হেরিটেজ হাউজ নষ্ট করে মাল্টি স্টোরেজ বিল্ডিং বানানো হচ্ছে । বাসিন্দাদের দাবি ছিল, কলকাতা পৌরনিগমের আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হেরিটেজ ভবন ধবংস করে এই বিল্ডিং বানানো হচ্ছে । আদালত সূত্রে খবর, ত্রিপুরা ভবনের জায়াগায় নতুন 22টি বাড়ি বানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন : মধুসূদন দত্তের হেরিটেজ বাড়িতে প্রমোটার চক্র, ঐতিহ্য রক্ষার আশ্বাস প্রশাসনের
এই 22টি বাড়ির মালিক এবং যাঁরা বানিয়েছেন তাঁদেরকে প্রত্যেকটা বাড়ির জন্য 1 কোটি টাকা করে ব্যাঙ্কে ডিপোজিট করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । অর্থাৎ মোট 44 কোটি টাকা জমা করতে হবে । এর মধ্যে কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতরের নামে 22 কোটি এবং সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের নামে 22 কোটি টাকা ব্য়াঙ্কে ডিপোজিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে 15 জুনের মধ্যে । এই নির্দেশ অমান্য করলে পুরসভা আইন মাফিক ব্যবস্থা নিতে পারবে ।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই হেরিটেজ কমিটির চেয়ারম্যান শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায় সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । কারণ সম্মতি না থাকলে এইভাবে হেরিটেজ হাউজের জায়গায় বিল্ডিং নির্মাণ সম্ভবই হত না ।