কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddique) জামিন সংক্রান্ত মামলায় সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও কারা আহত হয়েছে সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট পুলিশকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ । বুধবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্যে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট । একটা মিছিল থেকে 88জনকে কী করে গ্রেফতার করা হয় সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি । পুলিশের মতে, এগুলি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা । কিন্তু বিচারপতির প্রশ্ন, সাধারণত নেতা স্থানীয় ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয় । কিন্তু এখানে গ্রেফতার করা হয়েছে 88 জনকে, তাঁদের আবার 32 দিন ধরেও জেলে রাখা হয়েছে কেন ?
রাজ্যের যুক্তি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের নামে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে । ভাঙচুর চালানো হয়েছে । কিন্তু মামলাকারী নওশাদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, শান্তিপূর্ণ মিছিলই হচ্ছিল । পুলিশ অত্যাচার করায় মিছিলকারীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে । শুনানিতে রাজ্য জানায়, সব মামলার কাগজ এখনও আসেনি । সময় দেওয়া হোক কিছুদিন ৷ তারপর হলফনামা দিয়ে রাজ্য নিজের বক্তব্য জানাবে ।
মামলাকারীর তরফের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "একজনই অভিযুক্ত, একটাই ঘটনা । দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের দিন গ্রেফতার করা হয় আইএসএফের একমাত্র বিধায়ককে । সেই থেকে 32 দিনের বেশি সয়ে ধরে তিনি জেলে ।"এই বিষয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বক্তব্য, "মিছিল করা আলাদা বিষয় । তবে মিছিলের নামে ভাঙচুর গ্রহণযোগ্য নয় ।"
বিকাশের দাবি,"মিছিলকারীদের প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল । কোনওভাবেই তারা শুরুতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেনি । মিছিলের অনুমতি ছিল । মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় 88 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । বিক্ষোভের আগেই প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছে ।" বিচারপতি বিস্মিত হয়ে বলেন, "88 জন বিক্ষোভের আগেই প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট কীভাবে ?" এরপরই বিচারপতি রাজ্যকে সমস্ত ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে জমা করতে নির্দেশ দিয়েছেন । আগামী বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে । প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর জামিন পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ সিদ্দিকী । সেই মামলার শুনানিতেই ভিডিয়ো ফুটেজ চাইল ডিভিশন বেঞ্চ ৷
আরও পড়ুন : নওশাদের বন্ধুর চেন্নাইয়ের বাড়িতে হানা কলকাতা পুলিশের, 'হেনস্থা' থেকে বাঁচতে মামলা হাইকোর্টে