কলকাতা, 20 জুলাই: সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু'র মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে আপাতত কোনও বাধা নেই বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাঁর নির্দেশে জানান, আদালত এই পরিস্থিতিতে তদন্তকারী সংস্থার নথিপত্র জোগাড় করার বিষয়কেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু কণ্ঠস্বরের নমুনা আদৌ তদন্তের কাজে লাগবে কি না, অথবা তা আদৌ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়ে আদালত পরে বিচার করবে বলেও জানান বিচারপতি।
নিম্ন আদালত গত 14 জুলাই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা গ্রহণ করার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলাকারীর তরফে বৃহস্পতিবার আর্জি জানানো হয়, প্রেসিডেন্সি জেলে নয়, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ এসএসকেএম হাসপাতালে করানো হোক ৷ সে বিষয়েও অবশ্য এদিন কোনও হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট ৷ সে ক্ষেত্রে মামলাকারীকে ফের নিম্ন আদালতে এই বিষয়টি নিয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এদিন সুজয়ের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, "হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সম্পূর্ণ মিথ্যা। নির্দিষ্ট পদ্ধতি না-মেনে কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা যায় না। কেন্দ্র বা রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনও আধিকারিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সেটা করতে পারে।" কালীঘাটের কাকুর তরফে সওয়াল শেষে বিচারপতি বলেন, "যদি তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের জন্য ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে কী করবে?" সুজয়ের আইনজীবী কিশোর দত্ত ফের বলেন, "টেলিফোনে ব্যাক্তিগত আলাপ যে কোনও ব্যাক্তির প্রাইভেসিতে হস্তক্ষেপ করা। আইন তার অনুমতি দেয় না।"
আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের বক্তব্যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ! জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
যদিও সেই সওয়ালে আমল দেয়নি আদালত ৷ পালটা বিচারপতি বলেন, "কিন্তু তদন্তের এই পর্যায়ে আদালতের পক্ষে কি অনুমতি না দেওয়া সম্ভব ?" 18 অগস্ট ফের এই মামলার শুনানি। এর আগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বা কালী ঘাটের কাকু'র জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তবে তাঁর স্ত্রী'র পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দু'দফায় প্যারোলের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই প্যারোল শেষে জেলে ফিরতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ৷ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করানো হয় ৷