ETV Bharat / state

ECL School: কেন বেতন বন্ধ করা হল শিক্ষকদের, ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে 6 লাখ টাকা জমা করতে নির্দেশ হাইকোর্টের

author img

By

Published : May 2, 2023, 8:01 PM IST

নিয়োগপত্রে লেখা থাকা সত্ত্বেও বেতন বাড়ানো হচ্ছে না ৷ এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতেই শিক্ষকদের বেতন পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ইসিএল স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ সেই নিয়ে আদালত কী নির্দেশ দিল ?

Etv Bharat
কলকাতা হাইকোর্টের ছবি

কলকাতা, 2 মে: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ইসিএলের একাধিক স্কুল চললেও কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় ইসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে 6 লক্ষ টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় । বাধ্য হয়ে ইসিএল পরিচালিত স্কুলের ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের 44 জন শিক্ষক স্কুলের জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

ইসিএল পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা মোট 16টি । যার মধ্যে ঝাড়খণ্ডে রয়েছে 9টি এবং বাংলায় 7টি । মামলাকারী 44 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ তাদের চাকরি জীবনের মেয়াদ শেষ হতে কারও 4, কারওর 3 তো আবার কারও 8 বছর বাকি । ইসিএল পরিচালিত এই স্কুলগুলিতে বেতন পরিকাঠামো হল মাধ্যমিক বা ম্যাট্রিক পাশ পাবেন 5 হাজার, স্নাতক ডিগ্রি পাবেন 5 হাজার 500, বিএড পাশ 7 হাজার । এর পাশাপাশি অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা ছাড়াও বছরের বেতন বৃদ্ধি করা হবে । শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের সময় ইসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছিল ।

মামলকারীদের অভিযোগ, উচ্চহারে বেতন বৃদ্ধির কথা তাঁদের নিয়োগপত্রে থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ । এক এক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রায় 40 বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন । বর্তমানে মামলাকারীরা সকলেই চাকরি হারানোর অনিশ্চয়তা মধ্যে রয়েছেন । বর্তমানে এক একটি স্কুলে প্রায় 60 থেকে 80 জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে ।

আগেই এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছিলেন । মঙ্গলবার মামলার শুনানি শুরু হতেই আদালত বান্ধব প্রদীপ কুমার ঘোষ একটি মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেন । এরপর স্পেশাল অফিসার জানান, 16টি স্কুল বর্তমানে চলছে । 9টি ঝাড়খণ্ড ও 7টি পশ্চিমবঙ্গে । এর মধ্যে দুটি স্কুলের পরিস্থিতি বেশ খারাপ । কয়েকটি স্কুলে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই ।

শিক্ষকদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, শিক্ষক-শিক্ষিকারা মামলা দায়ের করায় গত 7বছর ধরে তাদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ । 20 জানুয়ারিতে ইসিএল একটি রিপোর্ট দিয়েছে আদালতে ৷ সেখানে তারা দাবি করে স্কুলগুলো চলছে না । কিন্তু স্পেশাল অফিসারের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে 26টি স্কুলই চলছে । কয়েকটিতে ছাত্রছাত্রী কম । ফলে দুই রিপোর্টই সম্পূর্ণ পরস্পরের বিরোধী । সেই জন্য বিচারপতি ইসিএলকে 6 লাখ টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ডিপোজিট রাখার নির্দেশ দেন । 10 দিনের মধ্যে এই টাকা জমা করতে হবে । যাতে প্রয়োজনে এই টাকা দিয়ে বেতন দেওয়া যায় ।

ইসিএল ভিজিল্যান্স অফিসারের রিপোর্ট মামলাকারীদেরকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । এর পাশাপাশি স্পেশাল অফিসারকে 25 হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিতে হবে । যার মধ্যে 20 হাজার টাকা দিতে হবে ইসিএলকে । বাকি 5 হাজার টাকা দেবে মামলাকারীরা । 10 দিনের মধ্যে দিতে হবে এই টাকা । 11 মে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।

কলকাতা, 2 মে: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ইসিএলের একাধিক স্কুল চললেও কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় ইসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে 6 লক্ষ টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় । বাধ্য হয়ে ইসিএল পরিচালিত স্কুলের ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের 44 জন শিক্ষক স্কুলের জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

ইসিএল পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা মোট 16টি । যার মধ্যে ঝাড়খণ্ডে রয়েছে 9টি এবং বাংলায় 7টি । মামলাকারী 44 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ তাদের চাকরি জীবনের মেয়াদ শেষ হতে কারও 4, কারওর 3 তো আবার কারও 8 বছর বাকি । ইসিএল পরিচালিত এই স্কুলগুলিতে বেতন পরিকাঠামো হল মাধ্যমিক বা ম্যাট্রিক পাশ পাবেন 5 হাজার, স্নাতক ডিগ্রি পাবেন 5 হাজার 500, বিএড পাশ 7 হাজার । এর পাশাপাশি অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা ছাড়াও বছরের বেতন বৃদ্ধি করা হবে । শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের সময় ইসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছিল ।

মামলকারীদের অভিযোগ, উচ্চহারে বেতন বৃদ্ধির কথা তাঁদের নিয়োগপত্রে থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ । এক এক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রায় 40 বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন । বর্তমানে মামলাকারীরা সকলেই চাকরি হারানোর অনিশ্চয়তা মধ্যে রয়েছেন । বর্তমানে এক একটি স্কুলে প্রায় 60 থেকে 80 জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে ।

আগেই এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছিলেন । মঙ্গলবার মামলার শুনানি শুরু হতেই আদালত বান্ধব প্রদীপ কুমার ঘোষ একটি মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেন । এরপর স্পেশাল অফিসার জানান, 16টি স্কুল বর্তমানে চলছে । 9টি ঝাড়খণ্ড ও 7টি পশ্চিমবঙ্গে । এর মধ্যে দুটি স্কুলের পরিস্থিতি বেশ খারাপ । কয়েকটি স্কুলে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই ।

শিক্ষকদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, শিক্ষক-শিক্ষিকারা মামলা দায়ের করায় গত 7বছর ধরে তাদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ । 20 জানুয়ারিতে ইসিএল একটি রিপোর্ট দিয়েছে আদালতে ৷ সেখানে তারা দাবি করে স্কুলগুলো চলছে না । কিন্তু স্পেশাল অফিসারের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে 26টি স্কুলই চলছে । কয়েকটিতে ছাত্রছাত্রী কম । ফলে দুই রিপোর্টই সম্পূর্ণ পরস্পরের বিরোধী । সেই জন্য বিচারপতি ইসিএলকে 6 লাখ টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ডিপোজিট রাখার নির্দেশ দেন । 10 দিনের মধ্যে এই টাকা জমা করতে হবে । যাতে প্রয়োজনে এই টাকা দিয়ে বেতন দেওয়া যায় ।

ইসিএল ভিজিল্যান্স অফিসারের রিপোর্ট মামলাকারীদেরকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । এর পাশাপাশি স্পেশাল অফিসারকে 25 হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিতে হবে । যার মধ্যে 20 হাজার টাকা দিতে হবে ইসিএলকে । বাকি 5 হাজার টাকা দেবে মামলাকারীরা । 10 দিনের মধ্যে দিতে হবে এই টাকা । 11 মে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।

আরও পড়ুন : বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের থেকে নিয়োগ দুর্নীতির 2টি মামলা গেল বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.