কলকাতা ,১৫ মার্চ: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় দু'সপ্তাহের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ(Teacher Recruitment Case)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত 3 মার্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে যে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, তাতে প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও শেখ ইনসান আলি নামে ব্যক্তিকে দু'বার সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। ওই প্রার্থী কখনও কাউন্সেলিংয়েও অংশ গ্রহণ করেননি। বিচারপতি জানান, এটা কোনও ভুল নয়। এর পেছনে জড়িয়ে রয়েছে বড়সড় দুর্নীতি। স্কুল সার্ভিস কমিশন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পাঁচজন সরকারি আধিকারিককে নিযুক্ত করেছিল। সেই পাঁচ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। অন্যদিকে, জুঁই দাস ও আজাদ আলি মির্জা নামে দু'জন বাংলা বিষয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থী এই মামলায় যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু এঁদের নাম ছিল না প্যানেলে।
জুঁই দাসের তরফে আইনজীবী সুবীর সান্যাল এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চে জানান, তাঁকে এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হোক। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী বৃহস্পতিবার হলফনামা দিয়ে তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে এই মামলার। আর একটি অন্য মামলায় আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, গুরুপদ গড়াই নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক প্রার্থী জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। কিভাবে তিনি চাকরি পেয়েছেন হলফনামা দিয়ে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 29 মার্চ আদালতে হাজির হয়ে জানাতে হবে কিভাবে তিনি চাকরি পেয়েছেন।