কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: পরিচারিকাকে মারধরে পঙ্কজ রায়ের নাতি ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কেন এখনও তাঁরা অধরা ? মামলাকারী নির্যাতিতার এখনও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি কেন ? কেন অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি ? কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়নি ? তাঁরা যদি ফেরার হয় তাহলে কেন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি ? মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্নবাণে নিশ্চুপ শ্যামপুকুর থানা ।
এদিন বিচারপতি বলেন, "এখনই সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তদের দু'জনের যে কোনও একটি মোবাইলে ফোন করুন । ফোন সুইচ অফ বলবে ।" বিচারপতির আশঙ্কা নিশ্চিত করেই আইনজীবী ফোন করলেও উলটোদিকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । পুলিশের ভূমিকায় বিরক্ত আদালত 5 অক্টোবর ফের শুনানির দিন ধার্য করেছে । ওইদিন তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে ।
এর আগের শুনানিতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি । তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ ছিল 11 অগস্ট মারধরে আহত পরিচারিকার চিকিৎসার মেডিক্যাল রিপোর্ট আরজিকর হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করে পুলিশ ৷ তারপরে পরিচারিকার মেয়েকে বলেছে ফের মেডিক্যাল রিপোর্ট আনতে । পরিচারিকাকে বলা হয়, মারধর যে করা হয়েছে তার প্রমাণে সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতে । কিন্তু এখনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি ।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাইরে কোনও ডিসির নজরদারিতে তদন্ত চলবে । কেস ডায়েরি ও তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে হবে পুলিশকে । কিন্তু এদিনও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি । কারণ পুলিশ হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও কার্যত কিছু করেইনি ।
প্রাক্তন ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের নাতি ও পুত্রবধূর বেদম প্রহারে ওই পরিচারিকার মুখ বিকৃত করে দেওয়ার অভিযোগে শ্যামপুকুর থানায় ওই পরিচারিকা মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ করেন মিতা রায় ও পুষ্কর রায়ের বিরুদ্ধে । অভিযুক্ত দু'জন কুমারটুলি পার্কে থাকেন । প্রাক্তন ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের নাতি ও পুত্রবধূ । ওই বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি । অভিযোগ তাকে এতটাই মারা হয় যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ।