কলকাতা, 25 অগস্ট: পুলিশ আবাসনের ঘর থেকে উদ্ধার হল কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্টের ঝুলন্ত দেহ। দেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম সৌরভ দত্ত। লালবাজার সুত্রের খবর, তিনি ইস্ট ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার কাশীপুরে কলকাতা পুলিশের সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ানের আবাসনের ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে গলায় ফাঁস লাগার কারণেই মৃত্যু কি না, তা এখনই হলফ করে বলতে পারছেন না কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে, আচমকা কেন ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট গলায় ফাঁস লাগালেন তা নিয়েও ধন্দ্বে পুলিশ ৷ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পুলিশ ওই সার্জেন্টের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছে। পাশাপাশি ওই সার্জেন্টের ব্যবহার করা ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি ৷ ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি, ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় কাশীপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
লালবাজার সুত্রের খবর দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট হবেন তদন্তকারীরা। এদিন আবাসনের ওই সার্জেন্টের অন্যান্য সহকর্মীরা তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই সার্জেন্ট বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক কষ্টে ভুগছিলেন। কিন্তু কেন তিনি মানসিক কষ্টে ভুগছিলেন সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি তদন্তকারীদের কাছে। তদন্তে নেমে সংশ্লিষ্ট সার্জেন্টের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টসকে তলব লালবাজারের, ডাক রেজিস্ট্রারকেও
চাকরি করতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন কি না, নাকি আবাসনের মধ্যে কারও সঙ্গে তাঁর গন্ডগোল হয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে যাবতীয় প্রমাণ সংগ্রহ করারও কাজ করছেন তদন্তকারীরা। যদিও এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিকই এদিন মন্তব্য করতে চাননি।