কলকাতা, 25 অক্টোবর: সংশোধনাগারে প্রায় 2 হাজার 100 আবাসিকদের জন্য চালু হল অত্যাধুনিক মানের জিম বা শরীরচর্চার কেন্দ্র। এই জিমে রয়েছে শহরের আর পাঁচটা জিমের মতোই আধুনিক মানের সরঞ্জামও। রয়েছে ডাম্বেল, চেন পুলিং সিস্টেম-সহ একাধিক জিম সরঞ্জাম। কিন্তু সংশোধনাগার সূত্রের খবর, কোনও আবাসিক চাইলেই নিজে থেকে শরীরচর্চা কেন্দ্রে বা জিমে আসতে পারবেন না। এর আগে সংশোধনাগারের যিনি চিকিৎসক রয়েছেন তার কাছে নিজের স্বাস্থ্যের যাবতীয় পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক ।
কোন আবাসিক কী রোগে আক্রান্ত এবং সেই রোগের জন্য কোন ধরনের শরীরচর্চার প্রয়োজন তার একটি লিখিত চার্ট বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোনও আবাসিক যদি হার্টের বা হৃদরোগ জনিত সমস্যায় আক্রান্ত থাকেন, সেক্ষেত্রে তার ট্রেডমিলে দৌড়ানো বা হাঁটা উচিত কি না, সেটাও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হচ্ছে।
সংশোধনাগার সূত্রের খবর, সংশোধনাগরের মধ্যে এই অত্যাধুনিক জিম বা শরীরচর্চার কেন্দ্র গড়ে ওঠার ফলে প্রায় সকাল-সন্ধ্যা দিনে দু'বার করে ঘাম ছড়াচ্ছে আবাসিকরা । আর জিম আসার পর থেকে বেজায় খুশি এবং উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের অন্দরে। পুজো উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বেশ ভালো খাওয়ার আয়োজনও করা হয়েছিল। সেই খাওয়ার পর অনেকেই শরীরের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড শরীর থেকে বার করতে সেদিন সকাল থেকেই জিমে ভিড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যোগার মাধ্যমে বুদ্ধের জীবনী, তুলে ধরবেন 23 জন বন্দি
এই বিষয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগরের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী ইটিভি ভারতকে বলেন, "বহুদিন ধরেই সংশোধনাগারের অন্দরে বন্দিদের বা বলা চলে আবাসিকদের মন-মেজাজকে সতেজ রাখার জন্য এবং সংশোধনাগারের ভিতরে একটা সামাজিক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য একটি জিম তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে জিমের যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং তাকে আধুনিকীকরণ গড়ে তোলা এবং বিশাল অংকের টাকা খরচ করে ধীরে ধীরে জিম ইকুইপমেন্ট বা সরঞ্জাম কেনার পরিকল্পনা করা হয়। সংশোধনাগারের এই জিম বা শরীরচর্চার কেন্দ্র গড়ে ওঠার পর থেকে আবাসিকদের মধ্যে একটা খুশি এবং উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।"