কলকাতা, 17 মার্চ: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে যেমন কোমর বেঁধেছে রাজ্যের শাসকদল (TMC) তাতে কিন্তু পিছিয়ে নেই বিজেপি (BJP) । এবার আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত জেলা এবং গ্রামগুলিতে একেবারে তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে সূচনা হতে চলছে ওবিসি মোর্চার 'গ্রাম গ্রাম চলো ঘর ঘর চলো' কর্মসূচি।
দোরগোড়ায় রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে যে গ্রামাঞ্চলের জনতাই কি ফ্যাক্টর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই রাজ্যের গ্রামগুলিতে নিজেদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এবং সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে ইতিমধ্যে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। তাই এবার রাজ্যের যেসব এলাকাগুলিতে তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মানুষজন সংখ্যাগরিষ্ঠ সেইসব জায়গায় আরও বেশি মনোনিবেশ করতে চায় বিজেপি। তাই আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং ওবিসি মোর্চার সভাপতি অজিত দাস এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
ওবিসি মোর্চার সভাপতি অজিত দাস বলেন, "আগামিকাল রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই কর্মসূচির সূচনা করবেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই ন'বছরের সুশাসন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় পাঁচ হাজর গ্রামে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ওবিসি মানুষজন সংখ্যাগুরু সেই সব জায়গায় অনেক বেশি নজর দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ওবিসিদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিলেও রাজ্য সরকার কিন্তু তাঁদের বঞ্চিত করেছে সব দিক থেকে। এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে জনসাধারণকে অবগত করা হবে।"
আরও পড়ুন: ফিরহাদ থেকে দেবাশিষ সবাই আটকাবে গেরোতে, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
আগামী 6 এপ্রিল বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিনই গ্রামে গ্রামে শুরু হয়ে এই কর্মসূচি। সাত দিন ধরে চলবে এই গ্রাম গ্রাম চলো ঘর ঘর চলো অভিযান। প্রসঙ্গত, সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে আজই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে গ্রামের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে ৷
আগামী 1 এপ্রিল থেকে অন্তত প্রতি সপ্তাহের তিন দিন গ্রামে গ্রামে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা কটাক্ষ করে অজিত দাস বলেন, "রাজ্যে পঞ্চায়েতকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি একের পর এক কর্মসূচি করে চলেছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা অন্যান্য নেতৃত্ব বিভিন্ন গ্রামে যাওয়া শুরু করেছেন। তাই এসব দেখে সরকার বুঝতে পেরেছে যে সরকারের বিপদ। সেই বিপদ থেকে শিক্ষা নিয়েই তাঁরা মানুষের কাছে পৌঁছবার চেষ্টা করছে।"