কলকাতা, 2 নভেম্বর: রাজ্যে যখন শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি তারমাঝেই সমগ্র শিক্ষা মিশন খাতে রাজ্যের জন্য 600 কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। শিক্ষা দুর্নীতির মাঝে রাজ্যকে এই টাকা দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সমগ্র শিক্ষা অভিযানের মধ্যে সাধারণত যে বিষয়গুলি পরে সেগুলি হল স্কুলের পরিকাঠামো নির্মাণ, প্যারা টিচারদের বেতন এমনকী স্কুলের বই কিনে দেওয়ার মত বিষয়গুলিও। মূলত এই খাতে বকেয়া টাকাই পাচ্ছে রাজ্য। এক্ষেত্রে যতদূর জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই খাতে 200 কোটি টাকা রাজ্যের কাছে চলে এসেছে। বাকি টাকাও ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে বলেই খবর মিলেছে। এছাড়া এখনও এই সমগ্র শিক্ষা মিশন খাতে রাজ্য সরকারের এক হাজার 200 কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই টাকা দেওয়ার বিষয়েও একটা সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই নিয়ে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানিয়েছেন, সমগ্র শিক্ষা মিশনের যে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেটা রাজ্যের প্রাপ্য ছিল। রাজ্যকেই নিজের তহবিল থেকে টাকা খরচ করতে হচ্ছিল। এই টাকা পাওয়া গেলে সঠিকভাবে সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, এই সমগ্র শিক্ষা মিশন খাতে বিরোধীদের তরফ থেকে যথাযথ ভাবে টাকা ব্যবহার না করার অভিযোগ উঠেছিল। এই টাকা খরচের ক্ষেত্রে পালটা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল তারা। কিন্তু এরপরেও রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 16 নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রকে 100 দিনের বকেয়া মেটাতে সময় বেঁধে দিলেন মমতা
100 দিনের প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, বারবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্র রাজ্যকে তার বকেয়া প্রাপ্য দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু এই অবস্থায় দাঁড়িয়েও রাজ্যকে এই অর্থ দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।