ETV Bharat / state

কার্নিভালে ডেকে এনে অপমান, ক্ষোভ রাজ্যপালের - দুঃখপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়

আজ সস্ত্রীক ন্যাশনাল লাইব্রেরি গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কার্নিভাল নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তিনি বলেন, সারা বিশ্ব দেখেছে । চার ঘণ্টার মধ্যে এক সেকেন্ডের জন্যও টেলিভিশনে রাজ্যপালের মুখ দেখানো হল না । আমি অস্পৃশ্য নই । তা সত্ত্বেও এই ধরনের অসহিষ্ণুতা সহ্য করা যায় না । এটা আপনাদের খুঁজে বের করার বিষয় ।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
author img

By

Published : Oct 15, 2019, 5:53 PM IST

Updated : Oct 16, 2019, 6:24 AM IST

কলকাতা, 15 অক্টোবর : রাজ্যের দুর্গাপুজোর কার্নিভাল ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর অভিযোগ, কার্নিভালে ডেকে চার ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অপমান করা হয়েছে তাঁকে ৷ পশ্চিমবঙ্গ একটি সাংস্কৃতিক রাজ্য হওয়ার পরও তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে ৷ ঘটনায় তিনি গভীরভাবে ব্যথিত ৷ কারা এটা করেছে তা খুঁজে বের করতে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি ৷

আজ সস্ত্রীক ন্যাশনাল লাইব্রেরি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ সেখানে সাংবাদিকদের কাছে কার্নিভাল নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি ৷ বলেন, "আমি অত্যন্ত ব্যথিত ৷ 11 অক্টোবর রাজ্যবাসী আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন ৷ পারফরমেন্সে তাঁদের সব থেকে ভালোটা দিয়েছেন এবং সারা বিশ্ব সেটা উপভোগ করেছে । আমি তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছি এবং বহু প্যান্ডেলে গিয়েছি । যেটা আমায় গভীরভাবে ব্যথিত করেছে, তা হল আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে । এই ব্যবহারের তিনটি ভাগ ছিল । প্রথমত, চার ঘণ্টার বেশি সময় আমি ওখানে ছিলাম এবং আপনাদের রাজ্যপালকে পুরো ব্ল্যাক আউট করে রাখা হয়েছিল । এটা একটা চোখে পড়ার মতো বিষয় । কী করে কেউ এই পদে থাকা একজনকে আমন্ত্রণ জানানোর পর ব্ল্যাক আউট করে রেখে দেয়? এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি । অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না ।"

এই ধরনের ঘটনার পর গণমাধ্যম কেন 3 দিন চুপ ছিল, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল । তিনি বলেন, "একজন আমায় ফোন করে বলেন, স্যার এটা জরুরি অবস্থার সময়ের কথা মনে করাচ্ছে । তখন মিডিয়া সামনে এগিয়ে এসেছিল । আমি আমার মিডিয়া বন্ধুদের অনুরোধ করব, কেন আপনারা তিন দিন চুপ ছিলেন? যখন সারা বিশ্ব এটা দেখছিল, বহু মানুষ আমায় ফোন করছিলেন, সংসদের সদস্যরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন । তাঁরা সমবেদনা জানাচ্ছিলেন । আমি মিডিয়াকে বলছি, কঠোরভাবে সমালোচনা কর আমার । কিন্তু, অন্যদেরও সমালোচনা কর ।"

আপনাকে কী ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল? রাজ্যপাল বলেন, " আমি জানি না । ওঁদের জিজ্ঞেস করুন । সারা বিশ্ব দেখেছে । চার ঘণ্টার মধ্যে এক সেকেন্ডের জন্যও টেলিভিশনে রাজ্যপালের মুখ দেখানো হল না । আমি অস্পৃশ্য নই । তা সত্ত্বেও এই ধরনের অসহিষ্ণুতা সহ্য করা যায় না । এটা আপনাদের খুঁজে বের করার বিষয় । আমি এটা করিনি । আমি ভুক্তভোগী । অনেক লাইভ অনুষ্ঠান ছিল ওখানে । কিন্তু, আমি আমার একটাও লাইভ অনুষ্ঠান দেখতে পাইনি । ভিডিয়ো দেখলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে ।"

কার্নিভালে সংবাদমাধ্যমকে ভিডিয়োর বিশেষ কিছু অংশ দিয়েছিল রাজ্য । রাজ্যপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমি শুধু বলছি যেটা হয়েছে তাতে আমায় অপমান করা হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষ এটা সমর্থন করবেন না । যদি আমি ব্যথিত হই, তাঁরাও ব্যথিত হবেন । শুধু আলাদা পোডিয়াম নয় । দেখুন তাঁরা আমার জন্য কী বানিয়েছিল । হোমওয়ার্ক করুন, তদন্ত করুন, জেনে যাবেন কী করা হয়েছে । এটা উচিত হয়নি । আমরা যে দেশে বাস করি সেখানে অতিথি দেবতাসম । আমার এই আঘাত সারাতে করতে তিনদিন সময় লেগেছে । আমি মনে করি, এটা হয় ব্যাখ্যা দেওয়া হবে, নইলে গণমাধ্যম খুঁজে বার করবে । এটা আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক ।"

ভিডিয়োয় শুনুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বক্তব্য

রাজ্য সরকারকে কি কোনও চিঠি দেবেন রাজ্যপাল? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "না । আমি দেব না । আমি প্রোটোকলের তোয়াক্কা করি না । আমি তার থেকে বেশি গুরুত্ব মনে করি আমার পদকে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি আমার যে ভালোবাসা আছে তার । এই পদে থাকা মানুষকে চার ঘণ্টা ধরে ব্ল্যাক আউট করে রাখা । আমি নিশ্চিত যে, কেউ এটা সমর্থন করবে না‌ ।"

এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ রাজ্যপালের কোনও মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এতদিন রাজ্য প্রশাসনের তরফে যিনি মন্তব্য করছিলেন, এবারও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনিই ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, এটা "শুধু আমার নয়, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির অপমান ।"

কলকাতা, 15 অক্টোবর : রাজ্যের দুর্গাপুজোর কার্নিভাল ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর অভিযোগ, কার্নিভালে ডেকে চার ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অপমান করা হয়েছে তাঁকে ৷ পশ্চিমবঙ্গ একটি সাংস্কৃতিক রাজ্য হওয়ার পরও তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে ৷ ঘটনায় তিনি গভীরভাবে ব্যথিত ৷ কারা এটা করেছে তা খুঁজে বের করতে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি ৷

আজ সস্ত্রীক ন্যাশনাল লাইব্রেরি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ সেখানে সাংবাদিকদের কাছে কার্নিভাল নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি ৷ বলেন, "আমি অত্যন্ত ব্যথিত ৷ 11 অক্টোবর রাজ্যবাসী আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন ৷ পারফরমেন্সে তাঁদের সব থেকে ভালোটা দিয়েছেন এবং সারা বিশ্ব সেটা উপভোগ করেছে । আমি তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছি এবং বহু প্যান্ডেলে গিয়েছি । যেটা আমায় গভীরভাবে ব্যথিত করেছে, তা হল আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে । এই ব্যবহারের তিনটি ভাগ ছিল । প্রথমত, চার ঘণ্টার বেশি সময় আমি ওখানে ছিলাম এবং আপনাদের রাজ্যপালকে পুরো ব্ল্যাক আউট করে রাখা হয়েছিল । এটা একটা চোখে পড়ার মতো বিষয় । কী করে কেউ এই পদে থাকা একজনকে আমন্ত্রণ জানানোর পর ব্ল্যাক আউট করে রেখে দেয়? এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি । অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না ।"

এই ধরনের ঘটনার পর গণমাধ্যম কেন 3 দিন চুপ ছিল, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল । তিনি বলেন, "একজন আমায় ফোন করে বলেন, স্যার এটা জরুরি অবস্থার সময়ের কথা মনে করাচ্ছে । তখন মিডিয়া সামনে এগিয়ে এসেছিল । আমি আমার মিডিয়া বন্ধুদের অনুরোধ করব, কেন আপনারা তিন দিন চুপ ছিলেন? যখন সারা বিশ্ব এটা দেখছিল, বহু মানুষ আমায় ফোন করছিলেন, সংসদের সদস্যরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন । তাঁরা সমবেদনা জানাচ্ছিলেন । আমি মিডিয়াকে বলছি, কঠোরভাবে সমালোচনা কর আমার । কিন্তু, অন্যদেরও সমালোচনা কর ।"

আপনাকে কী ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল? রাজ্যপাল বলেন, " আমি জানি না । ওঁদের জিজ্ঞেস করুন । সারা বিশ্ব দেখেছে । চার ঘণ্টার মধ্যে এক সেকেন্ডের জন্যও টেলিভিশনে রাজ্যপালের মুখ দেখানো হল না । আমি অস্পৃশ্য নই । তা সত্ত্বেও এই ধরনের অসহিষ্ণুতা সহ্য করা যায় না । এটা আপনাদের খুঁজে বের করার বিষয় । আমি এটা করিনি । আমি ভুক্তভোগী । অনেক লাইভ অনুষ্ঠান ছিল ওখানে । কিন্তু, আমি আমার একটাও লাইভ অনুষ্ঠান দেখতে পাইনি । ভিডিয়ো দেখলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে ।"

কার্নিভালে সংবাদমাধ্যমকে ভিডিয়োর বিশেষ কিছু অংশ দিয়েছিল রাজ্য । রাজ্যপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমি শুধু বলছি যেটা হয়েছে তাতে আমায় অপমান করা হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষ এটা সমর্থন করবেন না । যদি আমি ব্যথিত হই, তাঁরাও ব্যথিত হবেন । শুধু আলাদা পোডিয়াম নয় । দেখুন তাঁরা আমার জন্য কী বানিয়েছিল । হোমওয়ার্ক করুন, তদন্ত করুন, জেনে যাবেন কী করা হয়েছে । এটা উচিত হয়নি । আমরা যে দেশে বাস করি সেখানে অতিথি দেবতাসম । আমার এই আঘাত সারাতে করতে তিনদিন সময় লেগেছে । আমি মনে করি, এটা হয় ব্যাখ্যা দেওয়া হবে, নইলে গণমাধ্যম খুঁজে বার করবে । এটা আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক ।"

ভিডিয়োয় শুনুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বক্তব্য

রাজ্য সরকারকে কি কোনও চিঠি দেবেন রাজ্যপাল? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "না । আমি দেব না । আমি প্রোটোকলের তোয়াক্কা করি না । আমি তার থেকে বেশি গুরুত্ব মনে করি আমার পদকে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি আমার যে ভালোবাসা আছে তার । এই পদে থাকা মানুষকে চার ঘণ্টা ধরে ব্ল্যাক আউট করে রাখা । আমি নিশ্চিত যে, কেউ এটা সমর্থন করবে না‌ ।"

এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ রাজ্যপালের কোনও মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এতদিন রাজ্য প্রশাসনের তরফে যিনি মন্তব্য করছিলেন, এবারও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনিই ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, এটা "শুধু আমার নয়, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির অপমান ।"

Intro:কলকাতা, 15 অক্টোবর: এবার কার্নিভালকে নিয়ে রাজ‍্য রাজ্যপাল সংঘাত সামনে এল। রাজ‍্যপালের বক্তব্য, কার্নিভালে ডেকে, চার ঘন্টা বসিয়ে রেখে অপমান করা হয়েছে তাঁকে। পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক রাজ‍্য। সেখানে তার সঙ্গে আনকালচারড ব‍্যবহার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তিনি গভীরভাবে ব‍্যাথিত বলে মন্তব্য করেছেন। কে বা কাঁরা এটা করেছে তা খুঁজে বের করতে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।


Body:আজ সস্ত্রীক ন্যাশনাল লাইব্রেরি পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেখানেই তিনি বলেন, " আমি আমার ব্যথিত হৃদয় দিয়ে বলছি, 11 অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মানুষজনেরা আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে। তাঁরা তাঁদের সব থেকে ভালোটা করেছে এবং সারা বিশ্ব সেটা উপভোগ করেছে। আমি তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে এপ্রিসিয়েট করেছি এবং বহু প্যান্ডেল পরিদর্শন করেছি। যেটা আমায় এবং আমার হৃদয়কে গভীরভাবে ব‍্যাথিত করেছে, তা হল আমার সঙ্গে যে ব‍্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যবহারের তিনটি ভাগ ছিল। প্রথমত, চার ঘন্টার বেশি সময় আমি ওখানে ছিলাম এবং অফিস সার্ভেন্ট পুরো ব্ল্যাকআউট ছিল। এটা একটা লক্ষণীয় সেন্সরশিপ। কী করে তুমি এই পদে থাকা একজনকে ব্ল্যাক আউট করতে পার, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর পরে। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। এটা অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।" তারসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মিডিয়া কেন তিনদিন চুপ ছিল, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "একজন আমায় ফোন করে বলেন, স্যার এটা জরুরি অবস্থার সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। তখন মিডিয়া সামনে এগিয়ে এসেছিল। আমি আমার মিডিয়া বন্ধুদের অনুরোধ করব, কেন আপনারা তিন দিন চুপ ছিলেন? যখন সারা বিশ্ব এটা দেখছিল, বহু মানুষ আমায় ফোন করছিল, সংসদের সদস্যরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছিল। তাঁরা তাঁদের গভীর বেদনা এক্সপ্রেস করছিল। কিন্তু যদি মিডিয়া তার শিরদাঁড়া সোজা না করে, তাহলে গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য এটা দুঃখের দিন হয়ে উঠবে। তাই আমি মিডিয়াকে বলছি, আমার কঠোরভাবে সমালোচনা কর, যত কঠোরভাবে ইচ্ছা তত কঠোরভাবে সমালোচনা কর। কিন্তু, অন্যদেরও সমালোচনা কর।" আপনাকে কী ব‍্যাক আউট করা হয়েছিল? রাজ‍্যপাল বলেন, " আমি জানি না। ওনাদের জিজ্ঞেস করুন। পুরো বিশ্ব দেখেছে। চার ঘন্টার মধ্যে এক সেকেন্ডের জন্যও টেলিভিশনে অফিস সার্ভেন্টের মুখ দেখানো হল না। আমি আনটাচেবল নই। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ইনটলারেন্স সহ্য করা যায় না। এটা আপনাদের খুঁজে বের করার বিষয়। আমি এটা করিনি। আমি সাফার করেছি। অনেক লাইভ ইভেন্ট ছিল ওখানে। কিন্তু, আমি আমার একটাও লাইভ ইভেন্ট দেখতে পাইনি। ভিডিও কভারেজ দেখলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।" কার্নিভালে সংবাদমাধ্যমকে ভিডিও ফিড দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যা একটা আউটসোর্সিং ফিড। আপনি কি মনে করেন আপনার জন্য একটা আলাদা পোডিয়াম তৈরি করা উচিত ছিল? রাজ‍্যপাল বলেন, " আমি শুধু বলছি যেটা হয়েছে তাতে আমায় লজ্জা দেওয়া হয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের কোনও মানুষ এটা সমর্থন করবে না। যদি আমি ব্যথিত হই, তাঁরাও ব্যথিত হবে। শুধু আলাদা পোডিয়াম নয়। দেখুন তাঁরা আমার জন্য কী বানিয়েছিল। হোমওয়ার্ক করুন, তদন্ত করুন, জেনে যাবেন কী করা হয়েছে। এটা করা উচিত হয়নি। আমরা যে দেশে বাস করি সেখানে 'অতিথি দেব ভব'। আমার হৃদয়ের এই আঘাতটা থেকে রিকভার করতে তিনদিন সময় লেগেছে।" রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আরও বলেন, " আমি মনে করি, বিশ্বের মধ‍্যে সাংস্কৃতিক ফাউন্টেন হল বাংলা। যদি তাঁরা এইরকম আনকালচার্ড ব্যবহার করে। আমি জানি না কেন তাঁরা এটা করল, কে করল। আমি মনে করি, এটা হয় তাঁরা এক্সপ্লেন করবে, না হয় মিডিয়া খুঁজে বার করবে। আমি কি হাতজোড় করে মিডিয়ার সাইলেন্স অনুরোধ করতে পারি? এটাও আমার কাছে অত‍্যন্ত বেদনার ছিল।" এই ব্যাথিত হওয়ার বিষয় জানিয়ে রাজ্য সরকারকে কি কোনও চিঠি দেবেন? রাজ‍্যপাল বলেন, "না। আমি দেব না। আমি আমার ইগো বা প্রটোকলের কেয়ার করি না। আমি তার থেকে বেশি কেয়ার করি আমার পদের, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি আমার যে ভালোবাসা আছে তার। চার ঘন্টা ধরে এই পদে থাকা মানুষকে ব্ল‍্যাক আউট করে রাখা। আমি নিশ্চিত যে, কেউ এটার সমর্থন করবে না‌।"


Conclusion:
Last Updated : Oct 16, 2019, 6:24 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.